ইউসুফ বিন তাশফিন::
প্রবাসে আছি তবু নাড়ির টান ভুলতে পরিনা। দেশ ও দশের কথা ঘুরে ফিরে বার বার মনে আসে। ঘুরে দেখি পিছনে ফেলে আসা দিনগুলি কেমন ছিলো। এই একটি প্লানেটর পুরো ইতিহাস আমার একটি মগজে ঠাঁই হবে কেমনে। তবু যে জিনিস আমাকে বেশি তাড়া করে ঘুরে ফিরে সে দিকে যাই।
শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক্ব রাহ মাদারিসে কওমির জন্য শেষ জীবনে এসে রাস্তায় শুয়ে পড়লেন। এই বৃদ্ধ বয়সে পুরোরাত কাটালেন রাস্তায়। আশেপাশের সবাই তামাশা দেখলো। খালেদা জিয়া আশ্বাস দিলেন। ঘোষনাও একটা দিলেন কিন্তু সব কলাপাতা ফাঁকিবাজি হিসাবে প্রতিভাত হলো। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী আলীআহসান মুজাহিদ। মনের সুখ মিটিয়ে সমাজ কল্যাণের কাজ করেছেন। সমাজ কল্যাণ সংস্থা থেকে কওমি মাদরাসা গুলোতে আগে কিছু ছিটেফুটো যেতো। সেই মহান মন্ত্রী মহুদয় সমাসীন হয়েই তা স্টপ করে দিলেন। একশো আবেদনে দশ পাঁচটিতে মন গলতো। আর মেডামকে শাসিয়ে দিলেন যে এই বজ্জাতদের স্বীকৃতি দেয়ার কোন মানে নেই।
জামাতি ইসলাম এদেশের ইসলামের ঠিকাধারী নিয়েছে। তাই তারা ছাড়া আর কেউ ইসলামের নামে রাজনীতি করতে পারেনা। এজন্য জঙ্গি ছাত্রশিবির দিয়ে মাঝে মধ্যে ছাত্র মজলিসকে দৌড়ায় পিঠায়। তাদের কাছে ছাত্রলীগ ছাত্রইউনিয়ন আর ছাত্রমসজলিস সমান। আর ছাত্রদল ছিলো মাশুতুতু ভাই। এই সিলেটের ৩টি গ্রান্ট সম্পর্কে আমার কাছে বিশেষ তথ্য আছে।আজকালের ঘটনা নয় দীর্ঘ ৩৫ বছর আগে একবার যখন সৌদী বাদশাহ খালেদ একটি কওমি মাদরাসার জন্য ২কুটি টাকা বরাদ্ধ দেন। তখন এই ইসহাক আলমাদানী সহ ঢাকা থেকে জামাতের কিছু লোক সৌদী দুতকে নিয়ে সিলেট সার্কিট হাউসে এসে সেই মাদরাসার মুহতামীমকে ডাকেন। আর বলা হয় যে যদি তুমি জামাতের ফরম পুরণ করো তাহলে তোমাকে এই টাকা দেওয়া হবে নতুবা নয়। তাদের সেই টাকায় এই মর্দে মুজাহিদ থুথু দিয়ে এসেছিলেন। এই হলো জামাতি ইসলাম। তাদের মওদুদীর ধর্মকে এভাবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছে মানুষের উপর।
সারাটা মধ্যপ্রাচ্যের বিলিয়ন বিলিয়ন যাকাত দান খয়রাতের ডলার গেছে তাদের পেটে। পরের ধন খেয়ে এই লোকগুলো আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছে। আর কওমি মাদরাসাকে কেবল হেয় করতো। এইযে গেল শাপলা চত্বরের ঘটনা জামাতি ইসলামের চররা ঘটিয়েছে। সরল সহজ আলেম উলামাদের মাঠে নামিয়ে কিছু কওমি খরিদা গোলাম দিয়ে মাঠ গরম করিয়ে তারা এক ঢিলে ২ শিকার করতে চেয়েছিলো। চাইছিলো কওমির উলামাদের উপর বন্দুক রেখে শিকার করতে।
শাইখুল হাদিসের কথা দিয়ে লিখাটা শুরু করেছিলাম শেষও করতে চাই। সেদিন আওয়ামীলীগের সাথে শাইখুল হাদিসের যে পাঁচ দফা চুক্তি সম্পাদিত হয় তখন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল জলিল নিজে শাইখুল হাদিসের কাছে আসেন। একদিকে চুক্তিতে সই করেন আব্দুর রব ইউসুফী অন্যদিকে আব্দুল জলিল। সেই পাঁচ দফা চুক্তিতে যা ছিলো তা ছিলো ১৩ দফার সারাংশ। শত আফসুসের বিষয় তখন জামাতি ইসলাম ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা মিলে চুক্তির বিরুদ্ধে কুৎসাহ রটাতে আরম্ভ করে। এমনকি কওমির আলখেল্লাধারিরাও তাতে যোগদিলেন। ৫দফা যদি খারাপ কিছু ছিলো তাহলে আবার ১৩দফা নিয়ে হেফাজতের নামে মাঠে নামার কি দরকার ছিলো?
আসলে ওরা কেউ ইসলাম চায়নি। হেফাজতের ১৩ দফার নামে কাউকে নামিয়ে অন্য কাউকে ক্ষমতায় বসানোর কৌশল ছিলো। তোমরা শতাভাগ সেই কৌশলে মার খেয়েছো। হিংসা বিদ্বেষ লোভ যারা সামলাতে পারেনা তাদের কাছে জাতি সমাজ রাষ্ট্র ইসলাম কখনো নিরাপদ নয় হতেও পারেনা। কওমির বিরুদ্ধে লেগে জামাতি ইসলাম পার পায়নি এখনও যদি কোন কাল হাত এগিয়ে আসে কওমিকে কলংখিত করতে সে হাত পুড়ে ছাই হয়ে যাবে গণরোষে তাই সাবধান!