আজ ৬ ডিসেম্বর ২০১৫। চলছে বাঙালির বিজয়ের মাস। দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ তখন চলমান। ভারতের মিত্রবাহিনী আর মুক্তিবাহিনীর যৌথ আক্রমণে পাকসেনারা পিছু হটতে শুরু করে। প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের লোকসভা থেকে বাতাসে ভেসে আসে বাঙালি জাতির জন্য আনন্দঘন এক সংবাদ। দিনটি ছিলো ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। আনন্দ বার্তাটি ছিলো বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিশেবে ভারতের স্বীকৃতি। ভারতের লোকসভায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির এই ঘোষণা দেন। আবেগময় বক্তব্যে তিনি ঘোষণা করেন, ‘সতর্কতার সাথে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ লোকসভায় সর্বসম্মতভাবে স্বীকৃতি প্রস্তাব গ্রহণের আলোচনায় লোকসভার একজন সদস্য কবির ভাষায় যা বলেছিলেন, আজও আমাদের বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধারা মহান কবির সেই পঙক্তিগুলো স্মরণ করবে। ‘হে স্বাধীনতা/ যে স্নাত হয়েছে তোমার প্রজ্জ্বল শিখার আলোয়/ তোমাকে ছাড়া সে কিভাবে বেঁচে থাকতে পারে?/ কোনো নিপীড়ন ও কারাগার বন্দী করতে পারবে না তোমাকে/ পারে না তোমার পাওয়ার মহান স্পৃহাকে দমাতে।’ আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির পর মুজিবনগর সরকার ধন্যবাদ জানায় ভারত সরকারকে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতের স্বীকৃতি প্রদান বাঙালিকে আরো বেশ অনুপ্রাণিত করে। বাংলার স্বাধীনতাকামী মানুষ সহজেই বুঝতে শুরু করেন, আমাদের বিজয় একেবারে দ্বারপ্রান্তে। যে কারণে মুক্তি পাগল মানুষ আরও বিপুল উদ্যেমে শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।
এদিকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ায় ভারতের সঙ্গে তাৎক্ষণিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতে অর্থনৈতিক সাহায্য বন্ধ করে দেয়। তারপরও মিত্রবাহিনীর সদস্যরা মুক্তিবাহিনীর সাথে আক্রমন চালাতে থাকে সমানতালে। ভারতের স্বীকৃতি পেয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার স্বাদ পেতে শুরু করনপাকসেনাদের বাংলার মাটি থেকে তাড়িয়ে দিতে আরও মরিয়া হয়ে ওঠেন। রণাঙ্গনের অবস্থা তখন আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
সম্মিলিত বাহিনীর আক্রমণে দিশাহারা হয়ে পড়ে হানাদার বাহিনী। সূর্য ওঠার আগেই বিভিন্ন সীমান্ত ঘাঁটি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় তারা। চতুর্দিক থেকে মুক্তিবাহিনীর কাছে পাকহানাদারদের পালিয়ে যাবার খবর আসতে থাকে। হঠাৎ ভারতের স্বীকৃতির এই ঘোষণা শুনে সাড়ে সাত কোটি বাঙালির বিধ্বস্ত অন্তর গর্বে ফুল উঠে। মিত্রবাহিনী আকাশ থেকে অবাধ গতিতে বিমান আক্রমণ চালায়। বঙ্গোপসাগরে ভারতের নৌবাহিনী নৌ-অবরোধ সৃষ্টি করে।
একাত্তরের এ দিনে ফেনী মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা সাতক্ষীরা মুক্ত করে খুলনার দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। ঝিনাইগাতীর আহম্মদনগর হানাদার বাহিনীর ঘাঁটি আক্রমণ করা হয়। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও মুক্ত করে সেদিনই বীরগঞ্জ ও খানসামায় হানাদারদের অবস্থানের দিকে এগিয়ে ছুটে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী। এছাড়াও লাকসাম, আখাউড়া, চৌদ্দগ্রাম, হিলিতে মুক্তিবাহিনী দৃঢ় অবস্থান নেয়। রাতে আখাউড়া ও সিলেটের শমসেরনগরে যৌথবাহিনীর দখলে চলে আসে। ভারতের স্বীকৃতি আদায়ের মাধ্যমে যথাযথ জবাব দিতে সক্ষম হয় আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের।
বাংলা একাডেমি প্রকাশিত একাডেমির তৎকালীন পরিচালক ও সমকালীন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উল্লেখযোগ্য কবি আসাদ চৌধুরীর ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক গ্রন্থে ঊনিশ‘শ একাত্তর সালের ৬ ডিসেম্বরের ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে এভাবে – “নিয়াজীর নির্দেশে পাকবাহিনী বেসামাল হয়ে পড়ে। এগোনো অসম্ভব, পিছু হটা আরও অসম্ভব। ময়নামতি, জামালপুর, হিলি, চট্টগ্রামে ওরা যেভাবে ছিলো সেভাবেই রয়ে গেলো কিন্তু সিলেট এবং যশোরের ঘাঁটি ছেড়ে পালালো। মিত্রবাহিনী একই চেষ্টা করছে যাতে পাকবাহিনী কোথাও জড়ো হতে না পারে।”
তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান ও আজাদের খবর অনুযায়ী, এদিন ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ সরকারকে বৈধ সরকার বলেও ঘোষণা দেন। মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলামকে দেয়া এক চিঠিতে ইন্দিরা গান্ধী তার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তার আগেই ভুটানের রাজা মি. জিগমে ওয়ানচুক বাংলাদেশ সরকারকে বৈধ বলে স্বীকার করে নেন। পাক-ভারত যুদ্ধের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন পূর্ব পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় উপ-নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে। এ নির্বাচন ৭ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) প্রধান নূরুল আমিন সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাভাবিক এবং সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘অস্তিত্বহীন বাংলাদেশ’ নিয়ে ভারত পাকিস্তান ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে মেতেছে। ভারতীয় হামলা প্রতিহত করতে সেনাবাহিনীর সাফল্য কামনা করে ৭ ডিসেম্বর বিশেষ মুনাজাত করার জন্য গবর্নর ডা. মালিক দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
অপরদিকে এদিন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিত্ররাষ্ট্র ভারতের জওয়ানদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “ভারতের সৈন্যবাহিনীর জওয়ানরা আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশের মাটি থেকে হানাদার শত্রুদের নির্মূল করার জন্য আজ যুদ্ধ করে চলেছে।” বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশ করে ‘নিউজউইক’। ওই নিবন্ধে বলা হয়, এই সংঘাত ঠেকাতে বৃহৎ শক্তির রাষ্ট্রগুলো তাৎপর্যপূর্ণ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। চারশ’ কোটি ডলার খরচ করে ওয়াশিংটন ইয়াহিয়াকে রক্ষার শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তা যথেষ্ট ফলপ্রসূ হচ্ছে না। অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম নিউজউইক পত্রিকাকে বলেছিলেন, “আমরা যে স্বাধীন হচ্ছি, তা দেখার দূরদৃষ্টি যদি ইয়াহিয়ার থাকে, তাহলে তার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে আলোচনা হতে হবে। সে জন্য প্রথমেই শেখ মুজিবকে মুক্ত করে দিতে হবে এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে হবে। এটা শান্তিপূর্ণভাবে করতে না চাইলে আমরা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাব।”
উল্লেখ্য, ৩ ডিসেম্বর ভারতের ওপর পাকিস্তানী বিমান বাহিনীর আক্রমণ মূলত পরিস্থিতি দ্রুত বদলানোর পেছনে ভূমিকা রেখেছে। সেদিন থেকে পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। পরবর্তীতে অনুপ্রাণিত মুক্তিযোদ্ধারা একের পর এক শহর ও এলাকা দ্রুত দখল করতে থাকেন এবং পাকবাহিনীর কবল থেকে বিভিন্ন এলাকা মুক্ত করেন। প্রফেসর মযহারুল ইসলাম তার ‘বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য’ গ্রন্থে লিখেন, “এদিকে পাকিস্তান ৩ ডিসেম্বর ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলে ভারত কঠোরভাবে তার মোকাবিলা করে এবং ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। স্বীকৃতির তিনটি কারণ বর্ণনা করা হয়। এক. বাংলাদেশের জনগণের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম শুরু হওয়ার ফলে পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। দুই. প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আশা-আকাঙ্খাকে প্রতিফলিত করেছে এবং এই সরকার জনগণের সমর্থনের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তিন. ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণ করার ফলে ভারত ও বাংলাদেশের জনগণ একই শত্রুর আঘাতের শিকার হয়েছে এবং যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়েছে।”
পাকিস্তান সরকারের আমলা, মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের সচিব ও বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম তার ‘বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১’ গ্রন্থে সেদিন ভারত সরকারের তৎপরতার কথা স্মরণ করেন এভাবে, “৬ ডিসেম্বর সকালে আমরা কয়েকজন সচিব ও কর্মকর্তা ভারতীয় উচ্চপর্যায়ের সফরকারী দলের সাথে বৈঠকে মিলিত হয়। ভারতীয় দলে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন, অর্থ এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। বৈঠক চলার সময়েই লক্ষ্য করলাম চারদিকে একটা চাঞ্চল্য। পাশের ঘরে রেডিও শোনা যাচ্ছে। গভীর আগ্রহের সাথে ভারতীয় কয়েকজন কর্মকর্তা রেডিও শুনছেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে ভাষণ দিচ্ছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মিসেস গান্ধীর দৃঢ় এবং সুস্পষ্ট কণ্ঠ ভেসে এল। ভারত সরকার বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভারতীয় পার্লামেন্টে তুমুল হর্ষধ্বনি আর করতালি দিয়ে সকলে সংবাদটিকে স্বাগত জানালেন। বিকেল ৪টায় অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের অফিস কক্ষে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হলো কয়েক ঘণ্টার ব্যবস্থায়। এতে বিশেষ কয়েকটি বিষয় সংশ্লিষ্ট ছিল বিধায় সচিবরা নিজেদের মধ্যে কার্যপত্র প্রস্তুতের দায়িত্ব বণ্টন করে নিয়েছিলেন।”
এদিন পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর যুদ্ধকৌশল ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ‘পূর্ব পাকিস্তান’ গবর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী ঢাকায় বলেন, “আমাদের বাহিনী বর্তমান পরিস্থিতিতে পূর্ব পাকিস্তান ধরে রাখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, শত্রুকে পছন্দমত জায়গায় এনে আক্রমণ করাই আমাদের লক্ষ্য। মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী এলাকা দখল করেছে- এমন দাবি শুধু ভিত্তিহীনই নয়, হাস্যকরও বটে। বরং শত্রুকে ঢুকতে দেয়া আমাদের যুদ্ধকৌশলেরই একটা অংশ।” এদিন রাতে লে. জেনারেল নিয়াজী ঝিনাইদহ অবস্থান থেকে সরে এসে তার বাহিনীকে ঢাকা রক্ষার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ঢাকার পথে পেছনে এসে মেঘনার তীরে সৈন্য সমাবেশ করার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু তা আর তাদের পক্ষে করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কারণ ততক্ষণে ঢাকা-যশোর সড়ক মিত্রবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। মধুমতি অতিক্রম করে মিত্রবাহিনীর একটি দল খুলনার দিকে এবং আরেকটি দল কুষ্টিয়ার দিকে অভিযান অব্যাহত রাখে।
নিজেদের পরাজয় ঠেকাতে হানাদার বাহিনী যুদ্ধের মাঠে এবং পাকিস্তান সরকার কূটনৈতিক পর্যায়ে সর্বশক্তি দিয়ে লড়ে যাচ্ছিল কিন্তু যুদ্ধের মাঠের মতো কূটনৈতিক মাঠেও একের পর এক তাদের পরাজয় হচ্ছিল। ক্রমেই যেন পরাজয়ের গ্লানি তাদের চারদিক ঘিরে ফেলছিল। এদিন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাক-ভারত যুদ্ধ বিরতি সংক্রান্ত মার্কিন প্রস্তাবের ওপর সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় দফা ভেটো দেয়। সোভিয়েত সরকারের একজন মুখপাত্র মস্কোতে বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সোভিয়েত ইউনিয়ন উদাসীন থাকতে পারে না। কারণ, এখানে সোভিয়েত ইউনিয়নের স্বার্থ জড়িত রয়েছে।
চূড়ান্ত বিজয়ের অগ্রযাত্রায় পাকবাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, সাতক্ষীরার কলারোয়া, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা, সুনামগঞ্জ, মৌলবীবাজারের কুলাউড়া, যশোরের চৌগাছা, মেহেরপুর, লালমনিরহাটসহ আরও কিছু এলাকা। ভারতীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে খুলনা, মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থিত পাকবাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এরপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় পর্যুদস্ত পাকবাহিনী ঢাকা অভিমুখে পলায়ন করতে থাকে। এভাবেই বাংলার পূর্ব দিগন্তে ক্রমশ লাল হতে থাকে আমাদের লালিত স্বপ্ন ‘স্বাধীনতা’ সূর্য।
তথ্য সহায়তা. উইকিপিডিয়া, বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই।