খতিব তাজুল ইসলাম::
আল-ক্বায়দা কার সৃষ্টি ? আমেরিকার সৃষ্টি।
আইসিস কার সৃষ্টি ? আমেরিকার সৃষ্টি।
এবার আসুন একটু ফিরে দেখি……….
রাশিয়া চালায় আফগানিস্তান আগ্রাসন।
রাশিয়াকে উচিত শিক্ষা দিতে আমেরিকা আল-ক্বায়দার নামে গড়ে উঠে জেহাদী গ্রুপ।
ক্রমে জিহাদীরা আমেরিকা বিরোধী হয়ে পড়ে। তারা এসে আসন গাড়ে আফগানিস্তান।
আফ্রিকা সহ কিছু দেশে আমেরিকার স্বার্থে আল-ক্বায়দা সুইসাইড এটাক করে। আমেরিকা ধীরে ধীরে আল-ক্বায়দাকে ধরার প্লান করে। চলে ৯/১১ ফন্দী। কারণ দেশে দেশে মুসলমানদের জাগরণ দেখে তারা ভীত ছিলো। বিশেষ করে আফগানিস্তানে মুল্লা উমরের কঠিন ইসলামী শাসন সারা বিশ্ব ব্যাপী ব্যাপক সাড়া জাগিয়ে তুলে। ভারতের কাশ্মিরও আজাদির পর্যায়ে চলে এসেছিলো। তখন ভাল করেই তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে করণীয় ঠিক করে। সেই প্লানের জের ধরেই ৯/১১। শুরু হলো আফগানিস্তান নামা। যা এখনো বহাল আছে। আফগানিস্তানের মতো বিশাল একটি দেশ তারা মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। তারা জানে মুসলমানদের ক্ষতির চাইতে তাদের ক্ষতি তেমন বেশী না।
অপরদিকে মনে পড়ে কি ? সাদ্দামকে তারা লেলিয়ে দিলো ইরানের বিরুদ্ধে। কোন কারণ ছাড়াই ইরাক ইরান দশ বছর রক্ত ঝরলো। শুধু মুসলমানদের কমজুর করা। এদিকে সাদ্দামের গুদামে জমা পড়লো অজস্ত্র মারণাস্ত্র। ক্রমে সাদ্দাম হুমকি ধমকি দিতেন পাড়া প্রতিবেশিকে। একদিন মুখ ফসকে বলেই ফেললেন যে, ইসরাইল ইরাকে কোন হামলা চালালে পুরো ইসরাইল সাদ্দাম জালিয়ে দিবেন। আর যায় কই শুরু সাদ্দাম নামা।
বোকা মুসলমানরা সাদ্দামের ছবি নিয়ে ঘুরতে আরম্ভ করলো। কিছু দিনের ভিতর আমেরিকা ইসরাইল লবি সাদ্দামকে প্ররোচিত করলো কুয়েত দখল করতে। সাদ্দাম ফাঁদে পা দিলেন। আরবের গর্দভ রাজারা মুর্খের মতো তাদের পিছু ছুটলো। নিজেদের দেশ রক্ষা করার মতো সামান্যতমও সাহস শক্তি তাদের নেই। ক্রমান্বয়ে সাদ্দামের সাথে গোটা ইরাককে তারা মিছমার করে ছাড়লো। ইসরাইল নিরাপদ হলো। তারা আরব স্প্রিংগের সুযোগে গাদ্দাফিকেও শিকার ও বধ করে। আজ ইরাক লিবিয়া জ্বলছে। এইসব দেশের আনাচে কানাচে ডাল ভাতের মতো অস্ত্রের সয়লাব তারা বইয়ে দিলো। চলছে এবার নিজেদের মাঝে খুনা খুনী হানাহানী। এই আইএস কার কাছহতে অস্ত্র পায় সাহস পায়। তারাই আইএসকে জিইয়ে রাখছে যাতে এক গুলিতে কয়েক শিকার হয়। এখন সেই আইএস দিয়ে ইউরোপের মুসলমানকে বিতাড়িত করার প্লান তারা হাতে নিয়েছে। শোনেছি বৃটিশ পুলিশ নাকি যেসব ছেলে মেয়ে সিরিয়া গেছে তারা সব জানতো। সুযোগ করে দিতো। তারা যাতে আগ্রহী হয় উগ্র হয় আইএসে যোগ দেয় সেভাবে তাদের মাইন্ড তৈরীর জন্য গোয়েন্দারা কাজ করছে। যখন চলে যায় তখনই ফলাও করে প্রচার করে।
প্যারিসের হামলা খুব নীল নকশার মাধ্যেম করা হয়েছে। যাতে আইএসের উপর দোষ দিয়ে মুসলমানরা ইউরোপের জন্য আতংক সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরীর জন্য ঘৃণ্য এই ষঢ়যন্ত্র। মুরসিকে মিশরের চেয়ার থেকে কারা নামিয়েছে। ইসরাইল ও আমেরিকা। আফ্রিকার বুকুহারামকে কে সাপোর্ট দেয়? মুসলিম দেশগুলোতে আজ অবৈধ অস্ত্রের খাজানা। তারা তাদের দেশকে নিরাপদ করে মুসলিম দেশে দেশে জ্বালাইয়া দিছে বিবাদের আগুন। এই আগুন তারা কখনো নিভাবেনা। তাদের উদ্দেশ্য নয়।
মুসলমানরা এখন পাঠার বলি তারা বানিয়েছে। নারী শিশুদের রক্তে আজ ফিলিস্তিন সিরিয়া ভাসছে। তারা আইএসের সাথে এখন বুঝাপড়া করার জন্য বোমের মিছিল শুরু করেছে। বৃষ্টির মতো বোম ঝরাচ্ছে। মরলে মুসলমান মরবে। জ্বললে মুসলমানেদর ভুমি জ্বলবে। তাদের বংশ বিনাশ হবে।
তারা খুব যত্ন করে স্বার্থক ভাবে শিয়া সুন্নী বিবাদ লাগাতে পেরেছে। আজ পুরো ইরাক সিরিয়া ব্যাপী শিয়া সুন্নীদের ক্ষুরুক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। খুব খেয়াল করে দেখবেন সুন্নী দেশ গুলোতে বিবাদ লাগিয়ে রাখতে শিয়ারা সবমময় তলে তলে ফিউল ঢালতো। এখন তারা প্রকাশ্যে এসেছে। অতএব আমাদের খুব সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে। মুসলিম নিধন এখন বিশ্বকর্মসুচী।