বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১১:৩৩
Home / অনুসন্ধান / ভবিষ্যদ্বাণী : রাশিয়া-তুরস্ক যুদ্ধে ধ্বংস হবে পৃথিবী!

ভবিষ্যদ্বাণী : রাশিয়া-তুরস্ক যুদ্ধে ধ্বংস হবে পৃথিবী!

index
ইহুদি ধর্মের দুই সাধু ভিলনা গাওন এবং ইসরায়েল বেন এলিজার

অনলাইন ডেস্ক ::

ইহুদিদের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যক্তি ২০০ বছর আগে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের মাধ্যমেই শেষ হবে পৃথিবী! এই যুদ্ধই পৃথিবীকে নিয়ে যাবে আমাগেডনের (শুভ ও অশুভের মধ্যে চূড়ান্ত লড়াই) দিকে।ঠিক এই মুহূর্তে যখন তুরস্ক আর রাশিয়া মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে, এক দেশ আরেক দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে, পরমাণু বোমা দিয়ে আক্রমণের হুমকি দিচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে দাঁড়িয়ে সেই বাণীই সত্যি হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

ইহুদি ধর্মের ইতিহাস থেকে জানা যায়, ইলিয়াহ বেন শ্লোমো জালমান বা ভিলনা গাওন ১৭৯৭ সালে তাঁর মৃত্যুর কিছুদিন আগে সতর্ক করে বলেছিলেন যে, যখন রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেবে তখনই ইহুদিদের শেষ দিনের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করতে হবে।

ভিলনা গাওন ছিলেন ইহুদিদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ তালমুদের বিশেষজ্ঞ। তাঁর ভয়ানক এই ভবিষ্যদ্বাণী তখন সত্যি সত্যি ভয়ের সৃষ্টির করল, যখন গত বছর ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়াকে আলাদা করে দখল করে বসলেন ভ্লাদিমির পুতিন। সাধু ভিলনা গাওন ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন যে, ক্রিমিয়া দখলের পর রাশিয়া তুরস্কের সঙ্গে যুদ্ধ করবে। আর বর্তমানে সেই সম্ভাবনাই দেখা দিয়েছে। প্রায় একই সময়ের আরেক ঋষি ইসরায়েল বেন এলিজার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, চূড়ান্ত যুদ্ধের আগে রাশিয়া মুসলমানদের সঙ্গে জোট গঠন করতে পারে।

এই মূহর্তে মস্কো মুসলিম দেশ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, ইসলামিক রাষ্ট্র ইরান এবং সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের জঙ্গি গ্রুপ হিজবুল্লাহর সঙ্গে জোট বাঁধছে।

কিছুদিন আগে তুরস্কের আকাশসীমায় একটি রাশিয়ার বিমান ঢুকে পড়লে সেটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। এরপর তুরস্কে পরমাণু হামলা চালানোর পরামর্শ দেন রাশিয়ার এক প্রভাবশালী নেতা। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।

রাশিয়া ও তুরস্কের যুদ্ধের বিষয়ে ভিলনা গাওনের ভবিষ্যদ্বাণীটি প্রথমবারের মতো গত বছর প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন রাব্বি মোশে স্ট্রের্নবাচ। সেখানে দেখা যায়, ভিলনা বলেছিলেন, ‘যখন তোমরা শুনতে পাবে যে রাশিয়া ক্রিমিয়া শহরটি দখল করে নিয়েছে, তখন তোমরা বুঝতে পারবে যে মসিহার (ইহুদি ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী ঈশ্বরের বাণীবাহক) আসার সময় হয়েছে। এই ঘটনার মাধ্যমেই তোমরা তাঁর পদধ্বনি শুনতে পাবে। এরপর যখন তোমরা শুনতে পাবে যে রাশিয়া কনস্টান্টিনোপোল শহরে প্রবেশ করেছে, তখন সাব্বাত পোশাক (ইহুদি ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী রোববার সপ্তাহের পবিত্রতম দিন এবং এই দিনের সম্মানে ভালো পোশাক পরিধান করতে হয়) পরিধান করে ফেলবে আর এগুলো খুলবে না। এর মানে হচ্ছে মসিহা যেকোনো মুহূর্তে চলে আসতে পারেন।’ যে কনস্টান্টিনোপোল শহরের কথা ভিলনা বলেছিলেন, সেই শহরটির বর্তমান নাম ইস্তাম্বুল। তুরস্কের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। গত সপ্তাহেই ইস্তাম্বুলে পরমাণু বোমা ফেলতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশটির এক রাজনৈতিক নেতা।

ইসরয়েল বেন এলিজার, যিনি বাল শেম টভ নামে বেশি পরিচিত তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন, ‘রাশিয়া আসবে, তারা ইসমাঈলের ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে আসবে।’ এখানে ইসমাঈলের ছেলে বলতে মুসলমানদের বোঝানো হয়েছে।

ব্রিটেনের গণমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টার তাদের এক প্রতিবেদনে বলছে, বিশ্বের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এখন বলছেন যে, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ নিয়ে আরব উপসাগরের মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে তাদের চিরশত্রু ইরানের একটি ক্ষমতার সংগ্রাম চলছে। তবে এই যুদ্ধটি অনেকটা ছিনতাই করে নিয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যারা এখন ক্রুসেডার জাতি যেমন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করেছে।

এদিকে মার্কিন অর্থ সহায়তা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধরত সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ওপর রাশিয়া বোমাবর্ষণের পর বিষয়টি নিয়ে জরুরি আলোচনায় বসছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দুটিই ন্যাটোভুক্ত রাষ্ট্র। চুক্তি অনুযায়ী, ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশে কেউ আক্রমণ করলে জোট তা প্রতিহত করবে।

তুরস্কও ন্যাটোভুক্ত রাষ্ট্র। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে একটি রাশিয়ার বিমান ধ্বংস করা নিয়ে যদি রাশিয়া প্রতিশোধ নিতে চায়, তাহলে সত্যিই এক ভয়াবহ যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হবে।

পুরো বিশ্বই এখন সেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়া নিয়ে এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। ঠিক সেই সময়ে এই যুদ্ধ সম্পর্কে ২০০ বছর আগে করা ভবিষ্যদ্বাণী সেই আতঙ্ককে একটু যে বাড়িয়ে দিচ্ছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্র. এনটিভি

 

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...