অনলাইন ডেস্ক :: সম্প্রতি মার্কিন অঙ্গরাজ্য টেক্সাসে ফ্লুগারভিল ইসলামিক সেন্টার মসজিদে ঢুকে অপবিত্র করে রেখে যায় অজ্ঞাত দুবৃত্তরা। এর প্রতিবাদে মুসলিমদের সম্প্রদায়েরর পাশে দাড়ায় ফ্লুগারভিল নিবাসীরা।
ছেলেটির নাম জ্যাক সোয়ানসন। তার মা লরার কাছ থেকে মসজিদের বিষয়টি জানতে পারে জ্যাক। এটা শোনার পরই মাটির ব্যাংকে জমানো সবটা মসজিদকে দান করে দেয় জ্যাক। মুসলিম সম্প্রদায়ের সমর্থনে স্থানীয়দের সঙ্গে জ্যাকও ফ্লুগারভিল ইসলামি সেন্টারে এসেছিল।
আইপ্যাড কেনার জন্য ব্যাংকে ২০ ডলার জমাতে পেরেছিল জ্যাক। ৭ বছরের এই বালকের বদান্যতায় আপ্লুত ফ্লুগারভিলের মুসলিম সম্প্রদায়।
মসজিদের বোর্ডের একজন সদস্য ফয়সাল নাইম বলেন, ‘অঙ্কটা হয়তো ২০ ডলার। কিন্তু জ্যাকের এক একটি পয়সা জমানো অর্থ এটা। তাই আমার ও আমার সম্প্রদায়ের কাছে এর মূল্য ২০ কোটির সমান।’
জ্যাকের মর্মস্পর্শী পদক্ষেপের জবাব দিতে দেরি করেনটি স্থানীয় মুসলিমরা। জ্যাকের অনেক দিনের আকাঙ্খিত একটি আইপ্যাড কিনে পাঠিয়ে দিয়েছে তার কাছে। আর তাই দেখে জ্যাকের আনন্দ দেখে কে।
ওই পার্সেলের সঙ্গে জ্যাকের জন্য লেখা ছোট্ট বার্তায় লেখা ছিল, ‘প্রিয় জ্যাক, তুমি অ্যাপলের একটি আইপ্যাড কেনার জন্য মাটির ব্যাংকে ২০ ডলার জমিয়েছিলে। কিন্তু এরপর স্থানীয় একটি মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটে। তাই তুমি তোমার ২০ ডলার টেক্সাসের মসজিদটির জন্য দান করে দিয়েছো। এর কারণ, তোমার হৃদয় সহানুভুতিশিল আর উদারতা অনন্যসাধারন। আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদের সঙ্গে অ্যাপলের এ আইপ্যাডটি উপভোগ করো। তোমার প্রতি ভালোবাসা রইলো- আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটি।’
জ্যাককে উপহার দেয়ার ব্যবস্থা করেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী ও দ্য ইসলামিক মানথলি ম্যাগাজিদের সম্পাদক আরসালান ইফতিখার।
তিনি বলেন, আমি যখন জ্যাকের মাটির ব্যাংকে জমানো অর্থ দান করার ঘটনা শুনি, আমার চোখে পানি এসে যায়। পরে আরসালান ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন। পরে জ্যাকের মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আরসালান জানান, ‘তার মা আমাকে বলেছেন, জ্যাক গত কয়েক মাস ধরে বাড়ির কাজ করে আইপ্যাড কেনার জন্য ২০ ডলার জমিয়েছে। এ কারণে আমি আমেরিকার মুসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষ হতে জ্যাকের জন্য একটি আইটপ্যাড কিনি।’ আর আইপ্যাড টি হাতে পেয়ে জ্যাকের খুশি ছিল বাধভাঙা।