যে কোন জনপদে সরকারের পক্ষথেকে দায়িত্বশীল লোক থাকে। বিশেষ করে শহরে। কমিশনার মেম্বার মেয়র এমপি তাদের দায়িত্ব হলো পুরো জনপদের রক্ষণাবেক্ষণ। এখন দেখাযায় জনগণ ইচ্ছামত বাড়িঘর মসজিদ মাদরাসা স্কুল তৈরী করে। রাস্তা ছোট করে নদি নালা দখল করে। তখন ওরা থাকে কই ? ঘুষ খেয়ে চুপ থাকে। এখন দেখাযায় বছর কয়েক পর তা অবৈধ হিসাবে ঘুষিত হয়।
তাহলে অপরাধ কার ? কেন তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিচার করা হয়না ? আমরা চাই আগে ওসবের বিচার হউক। মসজিদ খুবই সেনসেটিব বিষয়। তাই সংশ্লিষ্ট উলামায়ে কেরামের সাথে পরামর্শ ক্রমে সরকার উদ্যোগ নিবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
অহেতুক ফিতনা সৃষ্টি কোন ক্রমেই কারো পক্ষথেকে কাম্য নয়।
উন্নত বিশ্বে যত্রতত্র পশু জবাই হয়না। এমন কি মুরগ ও না। বিশেষ করে পশু জবাইর ক্ষেত্রে বিরাট জিম্মাদারি। বাংলাদেশের ভংগুর অবকাঠামোর কারণে এমনিতেই শহরের ফুটপাতে নাকে রুমাল দিয়ে হাটতে হয়। সেখানে কুরবানির সময় শুরু হয় মহামারি। প্রায় মাস খানিক স্বাভাবিক চলাফেরা যায়না। বাতাসবাহী জিবাণু ছড়ায় চারিদিকে। এমতাবস্থায় সরকার তথা লোকাল গভর্মেন্ট থেকে বিশেষ ব্যাবস্থার আয়োজন প্রথমে জরুরী। হঠাৎ করে আইন যে যত্রতত্র কুরবানি করা যাবেনা ?! তাহলে ওরা করবে কোথায় ? যত্রতত্র কুরবানি অবশ্যই বর্জনীয়। কিন্তু জনগণের জন্য ভাল সুবিধা কি সরকার করে ফেলেছে ? ভাল সমজদার বিচার বিবেচক লোক কি সরকারে নেই ?
সুন্দর আদেশকে ভোগান্তিতে রূপান্তরিত না করে জনগণের জন্য উত্তম সুবিধা মত নিয়ম কানুন সুযোগের ব্যবস্থা করুন। এতে জাতি উপকৃত হবে দেশ এই দুর্যোগ মূলক পরিবেশ থেকে রক্ষা পাবে।
আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই বোনদের অনুরোধ করবো বিষয়টাকে নেতিবাচক না করে ইতিবাচক করার জন্য একে অন্যের সহযোগিতা প্রদান করুন।