শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ৮:৪৪
Home / খোলা জানালা / রিভিউ খারিজ সাকা- মুজাহিদের ফাঁসির আদেশ

রিভিউ খারিজ সাকা- মুজাহিদের ফাঁসির আদেশ

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ পৃথক পৃথক রায় দু’টি দেন। অন্য বিচারপতিরা হচ্ছেন, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
শুনানি শেষে মঙ্গলবার মুজাহিদ ও বুধবার  রায়ের এ দিন ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত। দু’টি রিভিউ আবেদনেই সাকা-মুজাহিদের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আসামিপক্ষে ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন।
গত ১৪ অক্টোবর আপিল বিভাগে পৃথকভাবে রিভিউ আবেদন করেন মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরী। পরদিন আবেদন দু’টির দ্রুত শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ। ২০ অক্টোবর রিভিউ শুনানির দিন ০২ নভেম্বর ধার্য করেন আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এরপর রিভিউ শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন জানান মুজাহিদ। অন্যদিকে নিজের পক্ষে কয়েকজন সাফাই সাক্ষীকে সমন জারি করার আবেদন জানান সাকা চৌধুরী।

গত ০২ নভেম্বর কার্যতালিকায় এলেও ১৭ নভেম্বর রিভিউ দু’টির শুনানির দিন ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত। শুনানি পেছাতে মুজাহিদের আবেদন গ্রহণ করে এ দিন ধার্য করা হয়। তবে নিজের পক্ষে কয়েকজন সাফাই সাক্ষীকে সমন জারি করতে সাকা চৌধুরীর আবেদন খারিজ করে দেন।
মঙ্গলবার মুজাহিদের রিভিউ শুনানি হলেও আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাকা চৌধুরীর রিভিউ শুনানি একদিন পিছিয়ে দেন আপিল বিভাগ।
মোট ৩৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ৩২টি যুক্তি দেখিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও মৃত্যুদ- থেকে খালাস চেয়েছেন মুজাহিদ। রিভিউয়ের পেপারবুক দাখিল করা হয়েছে তিন শতাধিক পৃষ্ঠার। অন্যদিকে সাকা চৌধুরীর মোট ১০৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ১০টি যুক্তি দেখিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও মৃত্যুদ- থেকে খালাস চাওয়া হয়েছে।

গত ১৬ জুন আলী একাত্তরের কিলিং স্কোয়ার্ড আলবদর বাহিনীর প্রধান মুজাহিদ ও গত ২৯ জুলাই চট্টগ্রাম অঞ্চলের নৃশংসতম মানবতাবিরোধী অপরাধের হোতা সাকা চৌধুরীর আপিল মামলার সংক্ষিপ্তাকারে চূড়ান্ত রায় দেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদ- বহাল রেখে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ পৃথক পৃথকভাবে এ রায় দেন। অন্য বিচারপতিরা হচ্ছেন, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

পরে ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের ওই দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়। পরদিন ০১ অক্টোবর তাদেরকে আপিল বিভাগের রায় অবহিত করে কারাগার কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে পড়ে শোনানো হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা তাদের মৃত্যু পরোয়ানা।
নিয়ম অনুসারে সে থেকে নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যেই রিভিউ আবেদন করেন মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরী।
যদি এ রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যায় এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে দু’জনেরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো বাঁধা থাকবে না।

আগামিকাল দেশব্যাপী জামায়াতের সকাল-সন্ধ্যা হারতাল
31353_jamat
এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।কিছুক্ষণের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

ক্ষমা চাইবেন না মুজাহিদ

কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামান ভাইও তাদের ফাঁসির রায়ের পরে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চান নি। ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নও আসে না। কারণ, মুজাহিদ অন্যায় করেননি। তাই মুজাহিদও ক্ষমা চাইবেন না।

ফাঁসির রায় বহাল থাকায় প্রতিক্রিয়ায় মুজাহিদের বড় ভাই ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আলী আফজাল মোহাম্মদ খালেছ এসব কথা বলেন।

‘নিরীহ নিরপরাধ’ মুজাহিদকে আইনি প্রক্রিয়ায় মারার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে এ সরকার বলেও অভিযোগ করেন দেশের এই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বড় ভাই।

তিনি বলেন, আজ যে রায় ঘোষণা করা হলো তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। আমাদের পরিবার এ রায় প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি বলেন, মুজাহিদ জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার কারণে এ রায় দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ ছাড়া এমন রায়ের অন্য কোনো কারণ নেই।

খালেছ বলেন, ১৯৭০ সালে ফরিদপুর থেকে চলে যান মুজাহিদ। তারপর একাত্তরে তো তিনি ফরিদপুরেই ছিলেন না। মুজাহিদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর থেকে যে মামলা করা হয়েছে তার একটির সঙ্গেও মুজাহিদ জড়িত ছিলেন না। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, সেগুলোও ‘মিথ্যা এবং সাজানো’।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা কিছুই করতে চাই না। তবে জামায়াত যে সব কর্মসূচি দেবে, তার সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করবো।

সূত্র. বি.নি./ স.বা.

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...