সঠিক ইসলামী শিক্ষার একমাত্র ধারকবাহক কওমী মাদ্রাসাই -সায়্যিদ মাহমুদ মাদানী

জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের থেকে সহস্রাধিক ধর্মপ্রাণ তাওহিদী জনতাসহ, মৌলভীবাজারের শীর্ষ আলেম-ওলামা, মাশায়েখ এবং বিভিন্ন কওমী মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে এসময় মাদরাসা মসজিদ মুখরিত ছিলো। এসময় বরুণা এলাকা যেন হাজার হাজার ওলামা-মাশায়েখ ও তরুণ আলেমের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। দুপুর ১২টায় মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়।
আমীরে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম ও বরুণা মাদরাসার প্রিন্সিপাল শায়খুল হাদিস আল্লামা শায়খ খলীলুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে অন্যান্যদের মাঝে নসিহত পেশ করেন ওলি ইবনে ওলি শায়খুল হাদিস মুফতি রশীদুর রহমান ফারুক বরুণী, শায়খুল হাদিস আল্লামা আব্দুল বারী ধর্মপুরী প্রমুখ। সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানী আরও বলেন, আল্লামা লুৎফুর রহমান বর্ণভী (রাহ.) আধ্যাত্মিকতার উচ্চ শিখরে পৌছে ছিলেন যার দরুন হজরত হোসাইন আহমদ মাদানী (রাহ.) বর্ণভীকে (রাহ.) দু’বার খেলাফত প্রদান করেছিলেন। বাস্তবেই হযরত শায়খে বর্ণভী (রাহ.) যুগের একজন আধ্যাত্মিক রাহবার ছিলেন। তারঁ উত্তরসুরীরা আজ দেশ বিদেশে ইসলামের সুমহান খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশে তাদের পরিচালিত এই বিশাল দ্বীনি খেদমত দেখে আমি অভিভুত।
সভাপতির বয়ানে আমীরে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম আল্লামা শায়খ খলীলুর রহমান হামিদী বলেন উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শায়খুল ইসলাম হযরত মাদানী (রাহ.) ভূমিকা ছিল সবার শীর্ষে। তারই স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রণী ভূমিকার সূফল আজকের ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। মাহফিল শেষে দেশের ও বিশ্বের সব মুসলমানের শান্তি, ঐক্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে ফেদায়ে মিল্লাত মাওলানা সায়্যিদ মাহমুদ মাদানী বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন। এ সময় পুরো মসজিদজুড়ে কান্নার রোল পড়ে যায়। বরুণা মাদরাসার ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনা করতে পারায় বরেণ্য অতিথি সায়্যিদ মাহমুদ মাদানীসহ আগত সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন বরুণা মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ নূরে আলম হামিদী ও মাওলানা শেখ বদরুল আলম হামিদী।