ইদানীং আমাদের কিছু মহাজ্ঞানী আলবেরুনীর আবির্ভাব হয়েছে, যারা বলেন- “হিন্দুদের ব্রাহ্মণরা নিজেদের কর্তৃত্ব চলে যাবে বলে সাধারণ হিন্দুদের থেকে গীতা দূরে রাখে; তদ্রূপ আলেমরা নিজেদের রুটি-রুজির জন্য সাধারণ মুসলমানদেরকে কুরআন-হাদিস থেকে দূরে রাখতে দূরে রাখতে চায়। তাদের মুখাপেক্ষী রাখতে চায়। কোর’আন-হাদিস সবার জন্য উন্মুক্ত, সবাই জানবে এবং জানাবে। আলেমের কাছে যাবে কেন”।
যদি প্রশ্ন করা হয়..
আপনি কুরআন-হাদিস থেকে নিজে নিজেই পড়ে আমল করতে চান তাহলে কেন লাইব্রেরিতে চিকিৎসা-বিজ্ঞানের সবধরনের বই রেখে ডাক্তারের কাছে যান!? রোগ হলে বই দেখে নিজে বাজার থেকে ঔষধ কিনে খেয়ে নেন না কেন!?
● সংবিধান থেকে শুরু করে আইনের সর্বপ্রকার বই গলিতে গলিতে পাওয়া যায়, আপনি মামলা করতে বা মামলায় পড়লে কেন এডভোকেট বা ব্যারিস্টার খুঁজেন!? নিজেই বই থেকে মামলার ধারা জেনে কোর্টে দাঁড়ান না কেন!?
● ভ্রাতার-ভগিনীগণ! সকল মানুষের জন্যই হাজার হাজার মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যান, জ্ঞান অর্জন করুন, প্রচার করুন। কেউ কি কখনো বাঁধা দিয়েছে? আপনারা যাবেন না, কারণ, আপনারা ‘’ধরি মাছ না ছুঁই পানি” ফর্মুলায় আলেমদের skip করে ইলম অর্জন করতে চান।
আপনারা নবীদের উত্তরাধিকারীদেরকে ডিঙিয়ে নবীদের সম্পদ তথা ইলমে ওহী অর্জন করতে চান কীভাবে! আলেমদেরকে অগ্রাহ্য করা নবী-রাসূলদেরকে অগ্রাহ্য করার নামান্তর। কারো ছেলেদেরকে অসম্মান করে তার পিতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখানো, ফাজলামি ছাড়া কিছুই নয়।
আল্লাহ আমাদের অন্তরের বক্রতা দূর করে দিন। আমিন।
লেখক : ফাহিম বদরুল হাসান, লেখক চিন্তক ও কমাশিসা প্যারিস প্রতিনিধি।