একজন বোনকে কতোবার ধর্ষণ করলে তার ভাইদের বিবেক নড়বে? চোয়ালী প্রতিবাদী হবে?? হাত মুষ্টিবদ্ধ হবে??? অতচ প্রায় ৩০০০বার (ইন্টারনেট) ধর্ষিতা হলেন একজন বোন। কোন মায়ের লজ্জাস্থান নিয়ে কেউ টিপ্পনী কাটলে, বখাটেপনা করলে কেমন লাগবে ছেলেদের? বলবে কি কোন ছেলে ‘মা’ তোরে উলঙ্গ হলে খুউব মানায়??
অবিশ্বাসী হায়েনা, জারয, নরপশুরা ছাড়া কোন মানুষের সন্তানের মুখ দিয়ে এমন কথা বের হবে কি…??? নাউজুবিল্লাহ।
“কর্তব্য ছিলো তাঁর জীবদ্দশায় এখনকারের চেয়েও শক্ত নিন্দা জানানোর। প্রতিবাদ করার। প্রতিরোধের হুমকি দেবার। হয়তোবা তখন চাঁপের মুখে রক্ষা পেতো মুসলিম বোনটি”।
“যুগের আছিয়ার নির্মম বিদায়।” ঈমানহারা প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে ধর্ষণ করে হত্যা করলো একজন ‘মা’কে পশ্চিমা পশুরা। না, এ নিয়ে মানবতাবাদীদের কোন মাথাব্যথা নেই..! শহীদা সুমাইয়া রাযি-এর সঙ্গী হলেন শহীদা আফিয়া রহ.।
হ্যা বন্ধুগণ.! মুসলিমা বিজ্ঞানী, ঈমানদারিনী, সত্যভাষী লেখিকা, আল্লাহ ঘোষিত নোবেল বিজয়ীনী, মুসলিম পাকিস্তানী নারী ড. মরহুমা আফিয়া সিদ্দিকীর কথা লিখছি। এক আল্লাহ বিশ্বাসে, আখেরী নবী মুহাম্মাদ সা.-এর আদর্শ লালন করে, ‘মানুষের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা ইসলামকে’ নিয়ে গবেষণা করতেন। বলতেন, লিখতেন, দাওয়াত দিতেন- এটাই তারঁ অপরাধ..??? “
তিনি এখন পরপারে । মওলায়ে হাকিকীর ডাকে সাড়া দিয়ে জান্নাতবাসিনী। এখন তাঁর পক্ষে লিখে, বলে, ধর্ষণকারী লাল কুত্তাদের ধিক্কার জানিয়ে অথবা থু থু দিয়ে কী লাভ..!!! তবুও এদেরকে (ইয়াহুদী, খৃস্টান, বিধর্মীদের- অপরাধীদের) নিন্দা জানানো ঈমানের দাবী। মরহুমা বোন আফিয়াকে সর্বনাশকারীরা যত বড় ক্ষমতাধর হোক না কেনো, অচিরেই আল্লাহর আদালতে তাদেরকে দাঁড়াতে হবে। হাযিরা দেয়া লাগবেই।
বোন হে.! পারলে ক্ষমা করিও..!!! তবে, আফিয়ারা ঈমানদার-মুসলিম পরিবারেই জন্ম নেয়; কোন কাফির মুশরিকের ঘরে নয়। মনে রেখো হে অবিশ্বাসীরা.! তোমরা শুধু একজন পবিত্র কুরআনের হাফেযা আফিয়ার সর্বনাশ করো নি; বরং তোমাদের ধংস হওয়াকে অনিবার্য অথবা নিশ্চিত করেছো। মজলুমের কেউ না থাকলেও সৃস্টিকর্তা আল্লাহ আছেন যা জুলুমকারীর নেই।
লেখক : সম্পাদক, পুস্পকলি