শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ৮:৫৩
Home / সমকালীন / স্বপ্নের সোনার বাংলায় এসব কী ঘটছে?

স্বপ্নের সোনার বাংলায় এসব কী ঘটছে?

আহমেদ রশীদআহমেদ রশীদ ::
বাংলাদেশে অগণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বনে রাজনৈতিক অস্থিরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।দেশে পরস্পর দোষারোপের অপ-রাজনীতি চলছে।সরকার দলীয় বাঘা বাঘা নেতারা দেশে অবৈধভাবে বিভিন্ন পন্থায় কামাই করে তা বিদেশে সঞ্চিত করছে।সীমান্ত এলাকা থেকে আসছে অস্ত্রের ভান্ডার।যার কারণে সরকার দলীয় ক্যাডারদের হাত হচ্ছে শক্তিশালী ।বাড়ছে সন্ত্রাস আর রাহাজানি।স্বজনপ্রীতির ক্রমানুসারে দখল হচ্ছে নিয়োগ বিয়োগ এর কর্মকান্ড ।সাধারণ যুবকদের বেকারত্ব বাড়ছে।ভারতীয় চ্যানেলের মাধ্যমে অপসংস্কৃতির বেড়াজালে আটকা পড়ছে লক্ষ লক্ষ যুবক।যার দরুন বাড়ছে ধর্ষণের অহরহ দূর্ঘটনা।দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চলছে বিদেশী নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড।বিদেশীদের সাথে সর্বপ্রকার সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে।সংখ্যালঘুরা সহিংসতার শিকার হচ্ছে সর্বক্ষণ।নীতি-নৈতিকতা আর বন্ধসুলভ আচার-আচরণ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।আমলারা সরকারী অফিসে বসে চক্রহারে গুনে গুনে ঘুষ খাচ্ছে।পুলিশ র্যাব বিজেপি সবাই যার যার সেবামূলক কার্য ছেড়ে দিয়ে হিংস্র-জানোয়ারের মতো আচরণ করছে বিরোধীদল সহ সাধারণ মানুষের সাথে।মিডিয়ার বাক স্বাধীনতা আর কর্মীদের সর্বপ্রকার অধিকার হরণ করা হচ্ছে।মানুষের কঙ্কাল দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে দেশের নদ-নদী।গণতন্ত্র ক্রমে ক্রমে লেবাস স্বর্বস্ব হয়ে উঠছে।বিরোধী দলের রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়টি কেতাবে থাকলেও বাস্তবে চুড়ান্ত ভাবে তা অস্বীকার করা হচ্ছে ।যে কোন অজুহাতের কারণে মামলা জড়িয়ে নির্বিচারে গ্রেফতার আর হয়রানি করা হচ্ছে।রিমান্ডের নামে মানুষকে দৈহিক মানসিক ও বিভিন্ন নির্যাতন চালানো হচ্ছে।কারাগার গুলোকে মোরগের ফার্মে রুপ দেয়া হচ্ছে। পত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে মসজিদ-মাদরাসা বন্ধের পায়তারা করা হচ্ছে।

উপরের এত কথা এসে গেল কেবল বাংলাদেশের আজকের রাজনীতির নাজুক চালচিত্র দেখে।এভাবে দমন পীড়ন নীতি চলতে থাকলে,সরকারের কার্যক্রমে চুড়ান্ত ভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে আমজনতা। তখনই সাধারণ জনগণ উপায়ন্তর না পেলে আশ্রয় নিতে পারে বিস্ফোরণের।তাই সেই বিস্ফোরণের অপেক্ষমাণ গণতন্ত্রকামী বাংলার পনেরো কোটি মানুষ।
আমরাও অপেক্ষামান থাকলাম সুষ্ঠ গণতন্ত্র আর স্ব স্ব অধিকার ফিরে পাবার।আর তা যদি না হয় তাহলে জনবিস্ফোরণের।

লেখক : সহ-সম্পাদক, সমীক্ষা, নিউইয়র্ক

About Abul Kalam Azad

এটাও পড়তে পারেন

প্যান্ডেলের বাইরে সাউন্ড ব্যবহার করা নাজায়েয!

মুহিউদ্দীন কাসেমী: কিছুদিন আগে কী এক কাজে যেন ঢাকায় গেলাম। এশার সময় ট্রেনে ফিরলাম। স্টেশনে ...