বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১০:৫৭
Home / প্রতিদিন / সিলেটের শিশু রাজন হত্যার অন্যতম হোতা কামরুলকে নিয়ে পুলিশ এখন ঢাকায়

সিলেটের শিশু রাজন হত্যার অন্যতম হোতা কামরুলকে নিয়ে পুলিশ এখন ঢাকায়

কামরুলসিলেটের সকাল : সিলেটের শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে সৌদি আরব থেকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ (মিডিয়া) জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার কিছুক্ষণ আগে তাদের ফ্লাইট ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে।

বিমানবন্দরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এসপি রাশেদুল ইসলাম খান জানান, দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তারা বিমানবন্দরে পৌঁছান। সৌদি আরবের সঙ্গে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় তাকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাকে বর্তমানে এপিবিএন’র কাস্টোডিতে রাখা হয়েছে।

কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাবুবুল করিম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ ও সহকারী পুলিশ কমিশনার এ এফ এফ নেজাম উদ্দিন ১২ অক্টোবর সৌদি আরব যান।

প্রসঙ্গত, ৮ জুলাই সিলেটে শিশু রাজনকে চোর অপবাদ দিয়ে কামরুলসহ আরও কয়েকজন মিলে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ মোবাইল ফোনে ধারণ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই ঘটনার তদন্ত শেষে মোট ১৩ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে জালালাবাদ থানা পুলিশ। এর মধ্যে ১০ জনকে আগেই গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ঘটনার দু’দিন পর ১০ জুলাই প্রধান আসামি কামরুল জেদ্দায় পালিয়ে যায়। প্রবাসী বাংলাদেশীরা সেখানে তাকে আটক করে।

পুলিশ সদর দফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকের নির্দেশে এআইজি (এনসিবি) মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া আসামি কামরুলকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। তিনি কামরুলের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ইন্টারপোলের মাধ্যমে এনসিবি রিয়াদকে জানান। এনসিবি রিয়াদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তখন এনসিবি ঢাকা কামরুলের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির অনুরোধ জানায়। ২১ জুলাই মো. কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে।

পুলিশ সদর দফতরের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বন্দী বিনিময়ের জন্য অনুরোধ করেন সৌদি কর্তৃপক্ষকে। এআইজি (এনসিবি) মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া এ সংক্রান্ত সার্বিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় ইন্টারপোলের মাধ্যমে আসামি কামরুলকে ফেরত দিতে সম্মত হয় সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।

About Abul Kalam Azad

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...