শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৩:৩৪
Home / প্রতিদিন / অব্যবহৃত সিমের মালিকানা থাকবে ১৫ মাস

অব্যবহৃত সিমের মালিকানা থাকবে ১৫ মাস

sim

কমাশিসা ডেস্ক : একটানা ১৫ মাস ব্যবহার না করলে মোবাইল সিমের মালিকানা আর থাকবে না সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের। এত দিন একটি সিম টানা দুই বছর বা ২৪ মাস ব্যবহার না করলে সেটির মালিকানা হারাতেন গ্রাহক।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে অব্যবহৃত সিমের মালিকানার মেয়াদ কমানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, উন্নত দেশগুলোতে একটি সিম তিন মাস টানা ব্যবহার না করলেই সেটির মালিকানা বাতিল হয়। বাংলাদেশে এ সময়টা এখনো অনেক বেশি।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ১১ সংখ্যা বিশিষ্ট যে সব মোবাইল সিম গ্রাহকেরা ব্যবহার করেন তাতে একটি অপারেটর সর্বোচ্চ ১০ কোটি নম্বর বরাদ্দ দিতে পারে। অনেক ব্যবহারকারীই একটি সংযোগ কেনার পর অনেক দিন ফেলে রাখেন, আবার অনেকে সিম কিনে কিছুদিন ব্যবহারের পর বিদেশে চলে যান। এতে অব্যবহৃত ওই সংযোগটির মালিকানা অন্য কাউকে দিতে পারে না সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটর।
দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের বর্তমানে চালু সিম সংখ্যা ৫ কোটি ৫০ লাখ। তবে অপারেটরটি এ পর্যন্ত গ্রাহকের কাছে ৯ কোটির বেশি সংযোগ বিক্রি করেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে অপারেটরটির ১০ কোটি সিম বিক্রির কোটা পূরণ হয়ে যাবে। তাই এক বছরের বেশি সময় অব্যবহৃত আছে এমন সিম পুনরায় বিক্রি করতে বিটিআরসির কাছে আবেদন করে গ্রামীণফোন। এতে সিমের মালিকানার মেয়াদ বা অব্যবহৃত থাকার সময় কমিয়ে এক বছর করার প্রস্তাব করে অপারেটরটি।
গ্রামীণফোনের বহিঃযোগাযোগ বিভাগের প্রধান সৈয়দ তালাত কামাল আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘অব্যবহৃত সিমের মালিকানার মেয়াদ ১২ মাস নির্ধারণের জন্য আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করেছি।’
চলতি বছরের মার্চে জারি করা এক ​নির্দেশনায় অব্যবহৃত সিমের মালিকানার মেয়াদ দুই বছর বা ২৪ মাস নির্ধারণ করে বিটিআরসি। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, একনাগাড়ে কোনো মোবাইল সিম ৯০ দিন বন্ধ থাকলে তা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। আর সিমটি যদি এক বছরের বেশি সময় অব্যবহৃত থাকে তবে এটি সচল করতে গ্রাহককে ১৫০ টাকা রিচার্জ করতে হবে।
বর্তমান নির্দেশনা অনুযায়ী একটি মোবাইল সিম একনাগাড়ে দুই বছর বন্ধ থাকলেও মোবাইল কোম্পানিগুলো সেটা বিক্রি করতে পারে না। দুই বছর পর্যন্ত ওই নম্বর সংরক্ষণ করার পর বিটিআরসি বা অন্য কোনো সংস্থার আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট মোবাইল কোম্পানি ওই নম্বর বিক্রি করতে পারবে। পুনরায় বিক্রি করা সিম চলতি বাজারদরে বিক্রি করার নির্দেশনাও বলা আছে নির্দেশনায়।
বিটিআরসির সর্বশেষ হিসাবে দেশে চালু থাকা সক্রিয় সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ৮ লাখ।

সূত্র : অনলাইন পত্রিকা

About Abul Kalam Azad

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...