যাবের আল মামুন::
গাজওয়া অর্থ যুদ্ধ বা জিহাদ, হিন্দ অর্থ ভারতবর্ষ। অর্থাৎ ভারতবর্ষে মুসলিমদের সাথে মুশরিকদের নেতৃত্বে কাফির বাহিনীর সাথে যে যুদ্ধ সংগঠিত হবে তাহাই হলো গাজওয়া-ই-হিন্দ। এখন থেকে প্রায় সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিন্দুস্থানে জিহাদের ব্যাপারে তাঁর মূল্যবান হাদীছের মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে গিয়েছেন। নিম্নে এ সংক্রান্ত একটি হাদীছ উল্লেখ করা হলো …..
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আমার উম্মতের দুটি দল, আল্লাহ্ তা‘আলা তাদেরকে জাহান্নাম হতে পরিত্রাণ দান করবেন। একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে, আর একদল যারা ঈসা ইব্ন মারিয়াম (আঃ)-এর সঙ্গে থাকবে।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩১৭৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
উল্লেখিত হাদীছটিতে হিন্দুস্থানের জিহাদ সংঘটনের সময়কাল নির্ধারণ করতে গিয়ে হাদীছ বিশারদ ওলামায়ে কেরাম বলেছেন যে, এই জিহাদ সংঘটিত হবে ঈমাম মাহদী ও ঈসা (আঃ) এর সমসাময়িক সময়ে। আর ঈমাম মাহদীর আগমন সংক্রান্ত হাদীছগুলি বিশ্লেষণ করে ওলামায়ে কেরামগণ বলেছেন যে, ঈমাম মাহদীর আগমন অত্যন্ত সন্নিকটে। কোন কোন আলেমগণ বলেছেন যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ঈমাম মাহদী আগমনের জোড়ালো সম্ভাবনা রয়েছে। আল্লাহ্ই ভাল জানেন।
ঈমাম মাহদী আগমনের পর বেশ কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হবে। যার একটি হবে এই হিন্দুস্থানের জিহাদ। ঈমাম মাহদী হয়তো এই যুদ্ধে সরাসরি নেতৃত্ব দিবেন না। হয়তো তিনি তখন অন্য অঞ্চলে যুদ্ধরত থাকবেন। এবং এক্ষেত্রে হয়তো তাঁরই মনোনীত কাউকে তিনি এই যুদ্ধের নেতৃত্বে বসাবেন। আর তিনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।
এই জিহাদ ভবিষ্যতে কখন ঘটবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ্ তায়ালার । আর আমরা শুধু বিভিন্ন তথ্য উপাদির বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভবিষ্যত সম্পর্কে শুধুমাত্র একটা ধারণা নিতে পারি মাত্র। কিন্তু এটা নিশ্চিত জ্ঞান নয় । নিশ্চিত জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ্ তায়ালার। তবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে । যদি আমরা এই সময়কালটা পেয়ে যাই তাহলে হাদীছের ভাষ্যমতে এই জিহাদে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাহান্নাম হতে নিজেদের মুক্ত করতে আমরা যেন বঞ্চিত না হই।