জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের বিপুল জনগোষ্ঠীর মানবিক সংকটসহ ফিলিস্তিন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আবারও নিরাপত্তা পরিষদের দৃঢ় পদক্ষেপ প্রত্যাশা করলেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
গতকাল বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্যালেস্টাইন সমস্যাসহ মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির উপর এক উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, “ইতোপূর্বে ও সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের দ্বারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিপুল জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এই সমস্যার ভয়াবহতা উপলব্দি করতে পারছি এবং সঙ্গত কারণেই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দীর্ঘস্থায়ী এই অবৈধ দখল ও ফিলিস্তিনি জনগণের মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছি”।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “বাংলাদেশ গত তিন দশক ধরে রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলা করছে। এ সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় আমরা নিরাপত্তা পরিষদের সম্মিলিত ও দৃঢ় পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি। নিরাপত্তা পরিষদ এ সকল দীর্ঘস্থায়ী সংকটের শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে ঐক্যমত প্রদর্শন করছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; তা না করলে দীর্ঘমেয়াদী এই সমস্যা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দেবে”।
প্যালেস্টাইন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোভাবের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ সর্বদাই পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে দুই রাষ্ট্র সমাধান কাঠামোর (Two state solution framework) ভিত্তিতে একটি স্বাধীন, টেকসই, সুসংহত ও সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকারসহ ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার আদায়ের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে”।
এ বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত মাসুদ ফিলিস্তিনী উদ্বাস্তুদের কার্যকর মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে আনরোয়া (The United Nations Relief and Works Agency for Palestine Refugees in the Near EastUNRWA)-কে বর্ধিত ও পর্যাপ্ত তহবিল সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশের জোরালো অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।