কমাশিসা নিউজ ডেস্ক: জামেয়া উমেদনগর হবিগঞ্জ মাদরাসার টাইটেল ক্লাসের ছাত্রদের ভিডিও সাক্ষাৎকার নিয়ে মূল ঘটনায় আরো ধুম্রজাল পাকলো। আমরা ভেবেছিলাম যে, যা হবার হয়েগেছে। কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানের সুন্দর একটি উদ্যোগ নিবেন। প্রয়োজনে মিডিয়াগুলোতে প্রতিবাদ লিপি দিবেন। কিন্তু অবস্থা দৃশ্যে আমরা খুবই মর্মাহত। বিশ্বের মাঝে পরিচিত সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন মুহাদ্দীস ওয়াইজ আল্লামা তফজ্জুল হক্ব হবিগঞ্জী সাহেবের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের এমন করুণ দশা দেখে আমরা ভাবনায় পড়েগেছি। আখের এইসব প্রতিষ্ঠানে হচ্ছেটা কি? কি শিখানো হলো সারাটা বছর ধরে তাদের মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে রেখে? এসব প্রশ্ন এখন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তারা ভিডিও বার্তায় বলছে যে, আমরা পরীক্ষা দেইনি কারণ ভাল প্রস্তুতি ছিলোনা! প্রস্তুতি যদি ভাল ছিলোনা তাহলে ফিস কেন জমা দেয়া হয়েছিলো? আহাকের পক্ষথেকে বতাকা কেন প্রতিষ্ঠানে চলে আসলো? তিনজন ছাত্র কেন চুনারুঘাট পরীক্ষা কেন্দ্র্রে গিয়ে বিনা বতাকা বা প্রবেশপত্র ছাড়াই পরীক্ষা দেয়ার জন্য ধর্ণা দিলো?
গোটা বিশ্ব চষে একজন বয়োজ্যাষ্ঠ বুজুর্গ মাদরাসার জন্য ফান্ড সংগ্রহ করে তাদের লালিত পালিত করবেন! আর তারা প্রকাশ্যে ভিডিও বিবৃতির মাধ্যমে বলবে যে আমাদের ভাল প্রস্তুতি নেই। এই বার্তা দিয়ে তারা হজরতের মান সম্মানকে মাটিতে মিশিয়ে দিলো না? উমেদনগর মাদরাসায় পড়ালেখা হয়না এমন সংবাদ কি হজরতের জন্য সুখকর? হজরতের মান ইজ্জতকে এভাবে ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হবে আর কর্তৃপক্ষ নির্লিপ্ত হয়ে বসে থাকবে তা খুবই দুঃখজনক। যাকে বলা হয় বাংলার মাদানী তার প্রতিষ্ঠানের এমন দুরাবস্থা সত্যিই জাতিকে দুর্ভাবনায় ফেলে দিয়েছে। আমরা মনে করি হজরতের মান সম্মানে আঘাত করার জন্যই তারা ভিডিও বার্তা দিয়েছে।
তারা আরো বলেছ যে, যতদিন পর্যন্ত সেন্টার উমেদনগর না আসবে তথদিন পর্যন্ত আমরা পরীক্ষা দেবোনা? এ কেমন কথা? সেন্টার কোথায় হবে না হবে ওটা ছাত্রদের কাম কি? তারা হজরতের দায়ীত্বে থাকাবস্থায় আল্লামা আহমদ শফি দামাত বারাকাতুহুমের সাথে দেশের জাতীয় পর্যায়ের তামাম উলামায়ে কেরামের সিদ্ধন্তের প্রতি বৃদ্ধাংগুলি প্রদর্শন করে এমন বক্তব্য সত্যিই আশ্চর্য্যজনক! এই ছাত্রগুলো উমেদনগর জামেয়ার কর্তৃত্ব কবে থেকে হাতে নিলো তাতো কেউ জানেনা? নাকি এটা হজরতের সাথে দেখানো তাদের চরম বেআদবি?
সেন্টার দেয়া নেয়া নিয়ে এমন বিরোধ ক্রিয়েট করে ছাত্রদের পরীক্ষা না দেয়া একটা উদ্ভট কাজ বলে আমাদের কাছে প্রতিয়মান হচ্ছে। মায়ের চেয়ে মাসির মহব্বত বেশি না দেখাতে অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আচ্ছা এমন সন্তানের বাবা ও মা হলেন তারা যারা প্রকাশ্যে বাবা মার বিরুদ্ধে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে গোটা বিশ্বের দরবারে বলে দিলো যে আমরা সারাটা বছর লেখাপড়া করিনি তাই পরীক্ষা দিতে পারবো না। মানুষকে আর কত হাসাবেন? আর কত এই বুজুর্গের ইজ্জাত নিয়ে ছিনিমিলি খেলবেন বলুন দয়া করে? আপনারা যদি বলেন যে, আমরা যা ইচ্ছে তাই করবো তাতে আপনাদের যায় আসবে কেন? তাহলে একটা বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিলে ভাল হয়না যে, জামেয়া উমেদনগর সকল প্রকার আইনের উর্ধে! এখানে জাগতিক রাষ্ট্রীয় সামাজিক কোন আইন চলেনা। চলে শুধু পকেট আইনে! হায় দুর্ভাগ্য তুমি আমাদের পিছু ছাড়না নাকি তোমার পিছু আমরা ছাড়িনা কোনটা তাহলে সত্য?