কমাশিসা ডেস্ক : ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় নিজ সন্তানকে আইনের মারম্যাচে ফেলে ‘জঙ্গি’ প্রমাণের চেষ্টা করছেন সুভাষ শীল। চট্টগ্রামের হাটহাজারি আবদুর রহমান (অর্পণ শীল) এমনটিই দাবি করেছে একটি আঞ্চলিক পত্রিকার নিকট।
গত শনিবার চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক পূর্বকোণের কার্যলয়ে সশরীরে আবদুর রহমান পিতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন।
ইতিপূর্বে আবদুর রহমান (অর্পণ শীল) এর পিতা সুভাষ শীল ছেলে জঙ্গি গ্রুপে যোগ দিয়েছে এবং নিঁখোজ আছে উল্লেখ করে হাটহাজারি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও সুভাষ একই ধরনের তথ্য দিয়েছেন বলে জানা যায়।
পূর্বকোণ কার্যালয়ে সশরীরে এসে অর্পণ ওরফে আবদু রহমান বলেন, পত্রিকা অফিসে এসে আবার বাবা যা বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যে। আমি পবিত্র ইসলাম ধর্ম দিক্ষিত হয়েছি বিধায় মিথ্যে তথ্য দিয়ে আমাকে কখনো ‘আই এস’ কখনো ‘জঙ্গি’ সাজানোর চেষ্টা করছেন। আমি বুঝে শুনে ধর্মান্তরিত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ইসলামের প্রতি অনুগত হয়ে রাসুলের সুন্নাত পালনের উদ্দেশ্যে দাঁড়ি রেখেছি। এতে কি ‘আইএস’ হয়ে যায়?
অর্পণ বলেন, ২০১৪ সালে ২৮ এপ্রিল ‘সুলতানাত অফ ওমান’ এর মিনিটিষ্ট্র অফ এন্ডোর্সম্যান্ড এন্ড রিলিজিয়ান্স এর মাধ্যমে এফায়ার্স অফ ইফতা অফিসে ইসলাম গ্রহণ করেছি। উক্ত সংস্থা ওমানের সরকারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত।
ধর্মান্তরিত হবার পর বাবা আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। পুরনো ধর্মে ফিরে আসতে বললে তাতে রাজি না হলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
অর্পনের দাবি- ধর্মান্তরিত হবার পর তার বাবা ওমানেও একই ধরনের অভিযোগ দিয়েছিলেন কিন্তু ওমানের সরকারি অফিস তা গ্রহণ করেনি। উল্টো তার বাবাকে সতর্ক করে বলেছেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় যদি অর্পণকে কোন ধরনের মিথ্যে হয়রানি করা হয় বাবা সুভাষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অর্পণ বলেন, তিনি নারায়ণ হাট থেকে বিয়ে করেছেন তার স্ত্রীর নাম তাহরিমা তারান্নুম মীম। তিনি কখনো নিখোঁজ ছিলেন না। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরি করেন। বায়েজিদ থানার অক্সিজেন এলাকয় সপরিবারে বসবাস করেন। বাবা ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্য ও আত্মীয় স্বজনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
গতকাল শনিবার সুভাষ শীলের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, আমার সাথে অর্পনের যোগাযোগ বন্ধ তাই আমি ধারণা করেছি সে ‘জঙ্গি’ গ্রুপে যোগ দিয়েছে।
সূত্র : দৈনিক পূর্বকোণ, আওয়ার ইসলাম