শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ৮:৪৬
Home / অনুসন্ধান / সাপের দংশনে করণীয়!

সাপের দংশনে করণীয়!

লুৎফুর রাহমান ইবরাহীম:

অনেকের ধারণা সাপকে কিছুটা আঘাত করে চলে গেলে সাপ লোকটাকে চিনে রাখে এবং রাতে সাপ ওই আঘাতকারী লোকের বাড়ি গিয়ে দংশন করে। মুলত সাপের স্মৃতি শক্তি খুবই কম এবং ঘরে গিয়ে দংশন করার প্রশ্নই আসে না। কোথায়ও সাপকে দেখলে তাকে তাকে চলে যেতে সুযোগ দিন, কোন সমস্যা হবে না।

ঘরে সাপ থাকার সম্ভাবনা থাকলে বিশেষ করে ইদুরের গর্ত থাকলে শুকনা মরিচ আগুনে পোড়া দিন। তাছাড়া বাজারে কার্বোলিক এসিড আছে, এগুলি বাড়িতে এনে বোতলসহ ঘরের মধ্যে রাখুন, সাপ চলে যাবে। কাউকে সাপে দংশন করলে ওঝা বা বুদ্ধের কাছে না গিয়ে ১০০০ টাকা দিয়ে সাপের এন্টিভ্যানম ইনজেকশন দিন। সুস্থ্য হবে নিশ্চিত।

দংশিত ব্যাক্তির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সাহস দেয়া। প্রয়োজনীয় সাহস না দিতে পারলে, রোগী হার্ট এটাকে মারা যাবে। সাপে দংশন করার পর ৭/৮ ঘন্টা পর্যন্ত রোগী বেঁচে থাকে, তাই ধৈর্য্য ধারণ করে দ্রুত ইনজেকশনের ব্যবস্থা করতে হবে। কোন সাপে কামড় দিয়েছে সেটার পরিচয় জানা গেলে চিকিৎসায় কিছুটা সুবিধা হয়, তবে খেয়াল রাখতে হবে এতে যেন বেশী সময় নষ্ট না হয়।

বাংলাদেশের বিষাক্ত প্রায় সকল সাপের বিষ নষ্ট করার ইনজেকশন আবিস্কার হয়েছে। শুধুমাত্র রাসেল ভাইপার বা শংখচুড় সাপের টিকা আবিস্কারের চেষ্টা চলছে। আর এই সাপ বাংলাদেশের রাজশাহী ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না। মনে রাখতে হবে, ওঝা বুদ্ধ নয় সচেতনতাই পারে অনেকের জীবন বাঁচাতে।

এ মূহুর্তে সাপেরা ঠান্ডা বাতাসের জন্য বেশী বিচরণ করবে, তাই এ সময়ে মানুষ বেশী দংশিত হয়। আমার এ পোস্টটি যে কোনভাবে (শেয়ার না করে কপি করুন) মানুষদের জানিয়ে দিন। হতে পারে এভাবেই একটি মানুষ সচেতন হবে, এমনকি কেহ বেঁচেও যাবে।

অনলাইন মিডিয়ার সৌজন্যে

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...