কওমির সনদের সরকারি স্বীকৃতি আদায়ের আন্দোলনে সফল নেতৃত্বের জন্য হেফাজতের আমির ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে আজ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে। আজ জোহরের নামাজের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পার্বতী উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাটহাজারী ওলামা পরিষদের পক্ষ থেকে শাহ আহমদ শফীকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানান আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি বলেন, ‘কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি আদায়ের আন্দোলনে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন শাহ আহমদ শফী। এছাড়া তার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের মূল ফটকের সামনে থাকা গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের আন্দোলনও সফল হতে যাচ্ছে। এ কারণে হাটহাজারী ওলামা পরিষদ তাকে এ সংবর্ধনা দেবে।’
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের (ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবি) মাস্টার্সের সমমানের ঘোষণা দেন। দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স এর সমমান করার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে ১৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। এতে সরকারের কোনও প্রতিনিধি রাখা হয়নি। কমিটির সব সদস্য কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে বেফাক সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে। এই কমিটি গত রবিবার বৈঠক করে অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আর গত ১১ ডিসেম্বর হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে হেফাজতসহ অন্য ধর্মীয় নেতারা সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ‘মূর্তি’ সরানোর দাবি তুললে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভাস্কর্য আমারও পছন্দ নয়।’ এরপর হেফাজতে ইসলামের ‘মূর্তি’ সরানোর দাবি আরও জোরালো হতে শুরু করে।