একজন মানুষ ভালো হয়েছে! অথবা এখনো ভালো হওয়ার পথে আছে….কিন্তু কার দ্বারা হলো, উক্ত মানুষ হক্বপন্থী না অন্যকোন পন্থী তা দেখার বিষয় নয়। আগে পরিপূর্ণ ভালো হোক, সৎ পথে আসুক। তারপর দেখা যাবে….
বলছিলাম জাকির নায়েক এবং মুফতী ওসামা সাহেবদ্বয়ের কথা। বহুল আলোচিত নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী এখন ইসলাম অন্বেষণের পথে। অর্থাৎ ভালো হওয়ার জন্য প্রাণপণ লড়াই করে যাচ্ছেন। এক কথায় বলতে গেলে তিনি নতুনভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন!
অনেক অশ্লীলতা করেছেন। খারাপ ফটো আপলোড দিয়েছেন। বিভিন্নজনের সাথে আড্ডা দিয়েছেন। রাত্রি যাপন করেছেন। ক্লাবে গিয়ে মদ্যপান করেছেন। নেঁচে-গেয়ে যুবকদের মাতিয়েছেন।
কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ তিনি এখন হিজাব পরিধান করেন। মাস্তুরাতের জামাতে গিয়ে তা’লীম শুনে আপ্লুত হয়েছেন। ইসলামের সত্য ও সুন্দর পথ বেছে নিয়ে আল্লাহর নাফরমানি ছেড়ে দিয়েছেন। ফেসবুকের সমস্ত ফটো হাইড করেছেন।
আশা করছি তিনি ঘোষণা দিবেন যে, আমার যত কর্ম আছে, আমি আজ থেকে তা বাতিল ঘোষণা করলাম। ছবি, নাটক সহ আমার ছবি সম্বলিত যাবতীয় কাজকর্মগুলো যেন বন্ধ হয়ে যায়, পরিচালক এবং নির্মাতাদের কাছে সবিনয় অনুরোধ করছি।
প্রথম থেকেই তার নিজস্ব পেইজে আছি। স্ট্যাটাসগুলো পড়ি। অবাক হই। রাতে এক কথা, দিনে আরেক কথা। ভাবতাম পাগলের প্রলাপ। সে জীবনেও ভালো হবেনা। কিন্তু গত ক’দিন যাবত লক্ষ্য করলাম, যা বলছেন তাই হচ্ছে। তার মুখ থেকে স্ট্যাটাস আঁকারে ক্বোরআন-হাদীসের কথামালা বের হচ্ছে। আশ্চর্য হলাম। বিশ্বাস করলাম না। হয়তো কাল আবার আরেক কথা বলবে ভেবে। কিন্তু না, তিনি অটুট। ইসলামের পথ বেছে নিয়ে হাত মুষ্টিবদ্ধ। সাথে সাথে আলহামদুলিল্লাহ বলতে কার্পণ্য করিনি।
এখন মূল কথা হলো! আমাদের অতি আবেগীয় কিছু ভাই তার সম্পর্কে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন যে, সে তো জাকির নায়েকের ভক্ত। জাকির নায়েক মানুষ ভালো না। খৃষ্টানদের দালাল। ইসলামের মাঝে অন্যধর্ম প্রচার করছে। এইসব…
আবার কেউ কেউ বলছেন, মুফতী ওসামার বাসায় গিয়ে নাজনীন আক্তার হ্যাপী ভালো হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। (কথাটা বাস্তব সত্য। উনার বাসার তা’লীম শুনে শুনে তিনি ভালো হয়েছেন)। মুফতী ওসামার ভাবসাব অন্যরকম। হয়তো কোন চক্রান্ত করছেন হ্যাপীকে নিয়ে। আমাদের জানামতে মুফতী ওসামা ভালো মানুষ না। এই এই….
.
উপরোক্ত মন্তব্যকারী ভাইসব! আপনারা এখন এগুলো দেখছেন কেন? হ্যাপী যখন খারাপ ছিলো। তখন কেন আপনারা হক্বপন্থী’রা তার কাছে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে যাননি? ইসলামের সুন্দর পথে আহবান করেন নি? এখন যখন তিনি ভালো হওয়ার পথে এসেছেন, তাহলে পরিপূর্ণ ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করুন না! দেখেন তিনি কী করেন। যদি ইসলামের ক্ষতি সাধন হয় এমন কোন কাজ হ্যাপী করেন, তাহলে অবশ্যই আপনারা একটা টিম গঠন করে তার কাছে হক্বের দাওয়াত নিয়ে যাবেন। তার পূর্বপর্যন্ত একটু নিশ্চুপ থাকুন ভাই। নয়তো লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাটাই বেশী দেখা দিবে।
সর্বোপরি আল্লাহ হেদায়াতের মালিক। ফি আমানিল্লাহ…..
লেখক : অনলাইন এক্টিভিটিক্স