কমাশিসা বিশেষ নিবন্ধ: আপনি আপনিই। আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। অতি সাহসী এক সম্রাজ্ঞী। কারো রক্তচক্ষু আপনাকে একচুলও নড়াতে পারেনা। আপনি ওয়াদা করেছিলেন যুদ্ধাপরাধের বিচার করবেন, করেছেনও তাই। আপনি বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন, তাও করিয়ে দেখিয়েছেন। ওয়াদা করেছিলেন যে, কওমি সনদের স্বীকৃতি প্রদান করবেন, ১১ এপ্রিল২০১৭, তাই প্রমাণ করে দিলেন। আপনাকে আমরা প্রানঢালা অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের প্রায় অর্ধশতাব্দির ইতিহাসে অন্য কেউ যা পারেনি আপনি তা পেরেছেন, করেছেন। উলামায়ে দেওবন্দের সত্য ইতিহাসটাও আপনি অবলিলায় বলে দিলেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
এই বাংলার শিক্ষার সুচনা যে কওমির মাধ্যমে সেই সত্যটুকু বলতে আপনি দ্বিধা করেননি। আপনার মতো সমঝদার বিচক্ষণ নের্তৃত্বই কেবল সাহসী উদ্যোগ গ্রহনে সক্ষম। কওমি মাদরাসা এদেশের জনগণের আত্মার অংশ। জাতির হৃদয়ের মণিকোঠায় কওমির ভালবাসা। আপনি অবহেলিত পিছিয়ে পড়া অথচ গুরুত্বপুর্ণ এই অংশকে রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডের ভিতরে শামিল করে বিরাট দায়িত্ব ও কর্তব্য আঞ্জাম দিয়েছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
আজ যারা বাম আর রাম, মাজার পুঁজারী কবর পুঁজারী! ওরাতো আপনার উচ্ছিষ্ট খেয়ে এতোদিন বেঁচে ছিলো। তাদের প্রতি আপনার অনুগ্রহ ছিলোও আছে। আর তারাই আজ সেই অনুগ্রহের কথা ভুলে গিয়ে আপনাকে কর্তব্য সাধনে বাঁধা প্রদান করছে। কওমি মাদরাসা এদেশের এজাতির গৌরবের সাথী। অথচ তারা আপনার এই ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করতে চাইছে! কতবড় স্পর্ধা আর নিমকহারাম হলে এমন হীন কর্মকান্ড তারা করতে পারে তা সহজে অনুমেয়। ওরা শুধু স্বার্থ চায়। দেশ ও জাতির কোনো কল্যাণ চায়না। আপনার সুনাম চায়না। ওরা চায় বার বার আপনাকে বিতর্কিত করে রাখতে।
আপনি কাবার ইমামদ্বয় এনে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসের পুণরাবৃত্তি করেছেন। সারা দেশময় ৫৬৪ টি মসজিদের প্রকল্প হাতে নিয়ে এদেশের জনগণের ঈমানের স্পৃহা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ধর্মপ্রাণ মানুষের শ্রদ্ধা আপনার প্রতি বেড়ে গেছে। কিন্তু সেই চিহ্নিত গোষ্ঠী যারা কওমির বিরোধীতা করছে তারা কিন্তু সত্যিকার অর্থে আপনার সরকারের সুবিধা ভোগির দল। ওরা মুনাফিক অসৎ। তারা চাইছে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে। আমরা জানি আপনি তাদের ফাঁদে কখনো পা দিবেন না।
এই দেশের উলামায়ে কেরাম সব সময় ছিলেন দায়ীত্বশীল। সন্ত্রাসবাদ জংগীবাদের বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামের ভুমিকা জাতিকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করছে। যে কারণে সন্ত্রাসীরা আজ কুণ্ঠাসা। অতীতের মতো বর্তমান ও ভবিষ্যতেও থাকবে উলামায়ে দেওবন্দের অবস্থান সুপরিচ্ছন্ন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
আমরা আপনাকে আশ্বাসা দিয়ে বলতে চাই যে, দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে, জনগণের স্বার্থে, ইসলাম ও মানবতার আদর্শ বুলন্দ করতে আমরা আপনার পাশে আছি এবং থাকবো। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন একটি ভুখন্ড উপহার দিয়েছেন। আপনি হোন এ ভুখন্ডের বিশ্বস্থ পাহারাদার। সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এটাই আমরা আশাকরি। আপনি গণভবনে উলামায়ে কেরামকে ডেকে এনে যে সম্মান প্রদর্শন করেছেন তা যেন বহাল থাকে চিরদিন চির অম্লান হয়ে। দেশগড়ার কাজে কওমির স্বীকৃতি অচিন্তনীয় ভাবে কার্যকর ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এই স্বীকৃতি ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে আপনার নাম ঝলমল করবে ইনশা আল্লাহ!