কমাশিসা : ইসলামি দলের নেতারা বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে জামায়াত তাদের ঘাড়ে চড়ে বসে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাদের কাঁধে চড়ে বসে বামপন্থীরা। ইনু-মেননরা এখন প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে নাক গলাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এটা তাদেরকে বুঝতে হবে।’
গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর গুলিস্তানে কাজী বশির মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য অপসারণ, মঙ্গল শোভাযাত্রা বাধ্যতামূলকের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূলের দাবিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন ইসলামি দলের নেতা বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিম। এদেশের জনগণ ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট বিরোধী কিছু হলে তারা গর্জে উঠে। এটাই হচ্ছে এদেশের ইসলামি জনতার চেতনা। তাই সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ভিনদেশের, ভিন্ন ধর্মের গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে জনতা গর্জে উঠেছে।’ এ সময় তারা অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী মূর্তি অপসারণের দাবি জানান।
আলেমরা বলেন, ‘কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি শিক্ষার্থীদের নাগরিক অধিকার। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরপরই কিছু রাম-বাম ও কথিত সুশীল নামধারী দালালের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তাই অবিলম্বে ইনু-মেননদের মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণ করে ইসলামের বিরুদ্ধে আস্ফালন বন্ধ করতে হবে।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির মাওলানা ড. ঈসা শাহেদী, জাতীয় পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব এহিয়া চৌধুরী এমপি, ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটি এম হেমায়েত উদ্দীন, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামিদ, জামিয়া জাকারিয়ার মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী, মাওলানা আফজালুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মাওলানা আলী উসমান, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কোরবান আলী, মাওলানা আব্দুল আজিজ, কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল ও অফিস সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা হোসাইন হাবীবুর রহমান, ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুর রহীম সাঈদ ও যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলনা আবুল হাসানাত বেলালী প্রমুখ।