ইমরান আহমাদ
পূর্ব প্রকাশের পর
তুরান শাহ। আইয়্যূবী বংশের সর্বশেষ সুলতান। অন্যভাবে বলতে গেলে আইয়ূবীয় অথর্ব, অপদার্থ, সুলতানদের গণমিছিলের তিনিই সর্বশেষ সংযোজন। তিনি যেমন ছিলেন চরম অবিবেচক, অহংকারী—তেমনি চূড়ান্ত একগুঁয়ে, অপরিণামদর্শী। তার কাছে ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থ যতোটা মুখ্য, ঠিক ততোটাই গৌণ দেশ-জাতির বৃহত্তর স্বার্থ। মানসুরাহ্ রণাঙ্গণ থেকে ফিরেই তিনি স্বরুপে আবির্ভূত হন। কোথায় মানসুরাহ’র জাতীয় বীরদের সম্মানিত করবেন! তা না করে বরং শুরু করেন প্রবঞ্চনা। বেছে বেছে করতে থাকেন অপমানিত, পদচ্যুত।
তারই সৎমা সুলতানা শাজারাতুদ্ দুর। যিনি তার জন্যই কেবল আগলে রেখেছিলেন কায়রোর মসনদ। সুলতানের মৃত্যুর খবর চেপে রেখেছিলেন তারই আগমণের প্রতীক্ষায়। সেই শাজারাতুদ্ দুরই হলেন সবচে’ বেশি লাঞ্ছিত, তিরস্কৃত। তুরান শাহ মসনদে বসেই প্রয়াত সুলতানের মৃত্যুশয্যা থেকে নিয়ে তার ক্ষমতাসীন হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ লিখিত হিসাব চেয়ে বসেন সুলতানার কাছে। শাজারাতুদ্ দুর হিসাব দিতে ব্যর্থ হলে, তাকে সবার সামনেই চরমভাবে অপমানিত করেন। উপস্থিত মামলুক নেতৃবৃন্দ এর প্রতিবাদ জানালে, তাদের কারো ভাগ্য জোটে তিরস্কার। কারো হয় পদচ্যুতি।
সদ্যপ্রাপ্ত ক্ষমতার গরমে তুরান শাহ এতোই নির্বোধ হয়ে যান যে, মানসুরাহ যুদ্ধে বাইবার্সের হাতে গ্রেপ্তার ফরাসি সম্রাট নবম লুইকে যখন যুদ্ধবন্দী হিসেবে কায়রোর রাজ দরবারে নিয়ে আসা হলো, তখন সুলতান তুরান শাহ্ কারো কোনো পরামর্শের তোয়াক্কা না করেই দশ লাখ দিনারের বিনিময়ে এবং কেবলমাত্র আদ্ দামিয়াত ছেড়ে দেবার শর্তে সম্রাটকে মুক্তি দিয়ে দেন। তার এই হঠকারি সিদ্ধান্তে মামলুক নেতৃবৃন্দসহ রাষ্ট্রের বিশ্বস্ত অনেকেই তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। জনগণ হয়ে উঠে প্রতিবাদমুখর। কারণ, সম্রাট লুই ছিলেন ইউরোপের পরাশক্তি ফ্রান্সের সম্রাট। তিনি এমন এক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন সম্রাট, যার বিনিময়ে চাইলে অকল্পনীয় অনেক কিছুই আদায় করা যেতো। খোদ বাইবার্স, যিনি সম্রাটকে বন্দী করেছিলেন—তিনিও এ সহজ শর্ত মেনে নিতে পারেননি। তিনি চাচ্ছিলেন, মুক্তিপণ হিসেবে ফরাসিদের আরব উপনিবেশ, লেবানন ভিত্তিক কান্ট্রি অব ত্রিপোলি যেন মুসলিমদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু তুরান শাহ’র কাছে মুসলিম ভূখণ্ডের চেয়ে অর্থমূল্যের গুরুত্ব ছিল সবচে’ বেশি। ফলে বাইবার্স তুরান শাহ’র উপর ক্ষেপে যান। তাছাড়া বিজয়ী মামলুক বাহিনীর প্রতি তুরান শাহ’র অন্যায্য আচরণ, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিশ্বস্ত লোকদের হঠিয়ে নিজের অযোগ্য অনুচরদের পুনর্বাসন, মামলুকদের প্রতি অসম্ভব রকমের সহমর্মী সুলতানা শাজারাতুদ্ দুরকে লাঞ্ছিত করণ এবং রাষ্ট্রীয় আরো নানাবিধ বিষয়ে অন্যায় হস্তক্ষেপের কারণে অবশেষে মামলুকরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলে।
২ মে, ১২৫০ সাল। তুরানশাহ এক ভোজসভা থেকে ফেরার পথে আগ থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা মামলুকরা তার উপর হামলা করে। জীবন বাঁচাতে তিনি কোনোক্রমে নীলনদে ঝাঁপিয়ে পড়েন। অদূরেই তখন ছিলেন বাইবার্স। তুরান শাহ বেঁচে যাচ্ছেন দেখে তিনিও নীলের বুকে ঝাঁপ দেন। একপর্যায়ে তাকে হত্যাও করে ফেলেন। তুরান শাহ’র এই হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে মিসর-সিরিয়ায় ৭৬ বছরের আইয়্যূবীয় শাসনের অবসান ঘটে। তুরান শাহ মাত্র দু’ মাস চারদিন মসনদে ছিলেন। আইয়ূবীয় শাসকদের মধ্যে সালাহউদ্দিন, আল-আদিল, আস্ সালিহ বাদে প্রায় সকলেই ছিলেন চরম পর্যায়ের অযোগ্য, বিলাসী, ইন্দ্রপূজারী। যে কারণে সেখানে কোন্দল, হানাহানি লেগে থাকতো প্রতিনিয়ত। বিদ্রোহ-গৃহযুদ্ধ ছিল নৈমিত্তিক। ফলে অকালেই সম্ভাবনাময় একটা সালতানাতের অপমৃত্যু ঘটলো।
.
তুরান শাহ নিহত হবার পর মামলুকদের সমর্থনে সুলতানা শাজারাতুদ্ দুর কায়রোর মসনদে বসেন। যুগ্মভাবে সুলতান করা হয় তুরান শাহ’র শিশুপুত্র আল-আশরাফ মুসাকে। প্রধান প্রশাসক নিযুক্ত হন মামলুক আমীর আইবাক। আল-আশরাফ মুসার ডাকনাম ছিল খলীল। তাই শাজারাতুদ্ দুর উপাধী ধারণ করেন—উম্মুল খলীল। মিসর-সিরিয়ায় শুরু হয় বাহরি মামলুক শাসন। যার পরোক্ষ নেতৃত্বে আছেন দু’জন। সেনাবাহিনীতে দুরন্ত বাইবার্স, মন্ত্রীসভায় প্রভাবশালী আমীর আইবাক।
বাইবার্স তুরান শাহকে হত্যা করে মিসরে মামলুক শাসন প্রতিষ্ঠা করলেন ঠিকই, কিন্তু এর সুফল তিনি ভোগ করতে পারলেন না। অথচ এ পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সবচে’ বেশি লাভবান হলেন আমীর আইবাক। প্রধান প্রশাসক হয়েই নিজের আখের গোছাতে শুরু করলেন তিনি।
তুরান শাহকে হত্যা করায় বাইবার্সের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলো তুরান শাহ’র বন্ধু, অনুচররা। ঝোপ বুঝে কোপ মারলেন আমীর আইবাকও। বাইবার্সের বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠা এ আগুনকে পুরোমাত্রায় উস্কে দিতে লাগলেন আমীর আইবাক। অথচ এই আইবাক তুরান শাহ হত্যায় প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষে জড়িত ছিলেন। এমনকি তুরান শাহকে সরাতে তিনিও ছিলেন লালায়িত।
একজন মামলুক হয়েও আইবাক কেন বাইবার্সের পিছু নিলেন, এর কারণ হিসেবে ঐতিহাসিকরা বলেন: কিশোর বয়সেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি যুদ্ধে বিশাল বিজয় ও অসীম সাহসিকতার কারণে একজন মামলুক হওয়া সত্ত্বেও পুরো মিসর-সিরিয়ায় বাইবার্স ছিলেন অসম্ভব জনপ্রিয় ব্যক্তি। অপ্রতিদ্বন্ধী সমর নায়ক। আর মামলুক রেজিমেন্টে বাইবার্সের প্রভাব তো দেহের উপর মস্তিস্কের মতোই। অথচ এসবের ন্যূনতমও ছিল না আইবাকের ব্যক্তিত্বে। তাই চতুর আইবাক বুঝে নিলেন, মিসরের ভবিষ্যৎ মামলুক শাসনে বাইবার্সই হবেন দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। সেখানে আইবাক হবেন অপাংক্তেয়। তাই পথের কাঁটা সরাতে আইবাক বাইবার্সের পিছু নিলেন। তাকে কলুষিত করতে উঠেপড়ে লাগলেন।
বাইবার্স যখন বুঝলেন, কায়রো তার জন্য আর নিরাপদ নয়। ক্রমেই পরিস্থিতি তার প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে, তখন তিনি দামেশকে চলে গেলেন। তখন দামেশকের গভর্নর ছিলেন আন্ নাসির। যিনি ছিলেন আইবাকের ঘোর বিরোধী। আইবাকের স্বভাব কূটিলতার কারণে তিনি তাকে দেখতে পারতেন না দু’চোখে। তাই বাইবার্সের মতো বীর যোদ্ধাকে পেয়ে খুশিই হলেন আন্ নাসির। সাগ্রহে বরণ করে নিলেন বাইবার্সকে।
.
সুলতানা শাজারাতুদ্ দুর যেমন ছিলেন রুপসী, বুদ্ধিমতি, বিচক্ষণ; তেমনি তিনি ছিলেন একজন উচ্চাভিলাষী নারী। স্রেফ সুলতানা হয়েই তার সাধ পূর্ণ হল না। তাই জুমআ’র খুতবায়ও তার নাম ঘোষণার হুকুম জারী করলেন। সেইসাথে মিসর-সিরিয়ার সুলতানা হিসেবে নিজেকে অনুমোদন করিয়ে নিতে বাগদাদের আব্বাসী খিলাফাহ’র দরবারে দূতও পাঠালেন। দূত মারফত সব জেনে খলিফা মুসতাসিম বিল্লাহ ভীষণ চটে গেলেন। কারণ, শাজারাতুদ্ দুর ছিলেন তারই ক্রীতদাসী। তাই অনুমতি দেবার পরিবর্তে কায়রোর আমীরদের কাছে ব্যাঙ্গাত্মক একখানা পত্র লিখলেন: “তোমাদের মধ্যে যদি রাষ্ট্র শাসন করার মতো কোন পুরুষ লোক না-ই থাকে, তাহলে আমাকে বললেই পারতে! আমি না হয় একজন পুরুষ পাঠিয়ে দিতাম!”
খলিফার এ ব্যাঙ্গোক্তি শুনেই মামলুক আমীররা সুলতানা শাজারাতুদ্ দুরকে তৎক্ষণাৎ অপসারণ করেন। তদস্থলে ইযযুদ্দিন উপাধী দিয়ে অামীর আইবাককে নতুন সুলতান হিসেবে মনোনীত করেন। সুলতানা শাজারাতুদ্ দুর এর শাসনকাল ছিল মাত্র চল্লিশ দিন। শাজারাতুদ্ দুর ক্ষমতা হারানোর পর এবং আইবাক ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই উভয়ের মধ্যে বিয়ে হয়ে যায়। ফলে রাজচক্রে ঘোরপাক খাওয়া একটা বিশাল সালতানাতে আপাত স্থিতিশীল আবহ তৈরী হয়। এভাবেই চললো কয়েক বছর।
কিন্তু আইবাক ছিলেন কূটিল চরিত্রের একজন বদমেজাজি লোক। তাই তার কঠিন শাসনে বিভিন্ন অঞ্চলে ধুমায়িত হতে থাকলো অসন্তোষ। দিকে দিকে দানা বাঁধলো ক্ষোভ। সর্বত্র দেখা দিল বিদ্রোহের ঘনঘটা। বাইবার্সের সাথে শত্রুতার জেরে স্বয়ং মামলুক সেনারাও তখন তার বিরোধী। মামলুক সেনাদের অধিকাংশই তাই কায়রো ছেড়ে দামেশকে অবস্থান নিয়েছে। বাইবার্সের সাথে। এমন এক সময় জাযিরায় দেখা দিল বিদ্রোহ। কূটিল আইবাক বিদ্রোহ দমন না করে শুরু করলেন কূটচাল। অবশেষে তার জন্য এটাই হয়ে উঠলো কাল। আইবাক গোপনে জাযিরার আমীরের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। উদ্দেশ্য, বিদ্রোহ দমিয়ে মৈত্রী স্থাপন। কিন্তু এখবর যার না শুনাই ছিল ভালো, তিনিই শুনে ফেললেন সর্বাগ্রে। শাজারাতুদ্ দুর চটলেন বেশ। তার আত্মসম্মানে লাগলোও খুব। হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে আইবাককে তাই হত্যার হুকুম দিয়ে দিলেন। তৎক্ষণাৎ সে হুকুম কার্যকরও হয়ে গেল। ১২৫৭ সালে ঘাতকদের হামলায় গোসলরত অবস্থায় হাম্মামখানায় নিহত হন আইবাক। আবার পালাবদল ঘটলো সদ্য অভ্যুদয় ঘটা মামলুক সালতানাতে। এবারে সুলতান হিসেবে মামলুক সিংহাসনে সমাসীন হলেন সুলতানা শাজারাতুদ্ দুর ও সুলতান আইবাকের ছয় বছরের নাবালক পুত্র আলী। তাকে উপাধী দেয়া হয় আল্ মানসুর। সেইসাথে উপ সুলতান হিসেবে মঞ্চে আসলেন এক নতুন মুখ—সাইফুদ্দিন কুতুয। তেরো বছর আগে সুলতান আস্ সালিহ’র বাইতুল মুকাদ্দাস অভিযানে খাওয়ারিজমের যে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী অংশ নিয়েছিল, সে বাহিনীরই নেতা ছিলেন এই কুতুয। তার আরো একটা বড় পরিচয় হল, তিনি হলেন খাওয়ারিজমের বিখ্যাত সুলতান আলাউদ্দিন শাহ মুহাম্মাদের নাতি। কুতুযের পিতা খান সুলতান ছিলেন শাহ মুহাম্মাদের তৃতীয় পুত্র।
ছয় বছরের শিশু আলী নামে সুলতান হলেও, সব ক্ষমতা নিজের হাতে কুক্ষিগত করে নিলেন নবনিযুক্ত উপ সুলতান সাইফুদ্দিন কুতুয। মিসরীয় মামলুক সালতানাতে এবার কার্যত শাসন চললো খাওয়ারিজমী।
এই কুতুয ছিলেন আইবাকের ঘোর সমর্থক। তাই আইবাক হত্যার দায়ে শাজারাতুদ্ দুর এর উপর তিনি ছিলেন বেজায় রূষ্ট। তাছাড়া শিশু সুলতানকে যথেচ্ছা ব্যবহার করতে গেলে মা শাজারাতুদ্ দুর বাগড়া দিতে পারেন, এই ভয়ে শাজারাতুদ্ দুর এর একটা বিহিত করার মনস্থ করলেন কুতুয। সেমতে তাকে গ্রেফতার করালেন তিনি। তাকে পাঠিয়ে দিলেন আইবাকের প্রথম স্ত্রী, সুলতানা শাজারাতুদ্ দুর এর সতীনের কাছে। কুতুযের প্রশ্রয়ে সেই ডাইনি মিসরের সাবেক সুলতানা শাজারাতুদ্ দুরকে ছিন্নবস্ত্র করে কায়রোর রাজপথে ঘোরালো। অবশেষে কাঠের খড়ম দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এই নির্মমতার এখানেই শেষ নয়, শাজারাতুদ্ দুর এর রক্তাক্ত নগ্নপ্রায় মৃতদেহ প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখা হয় নগরদুর্গের মিনারে! কুতুযের এই জঘন্য কর্মকাণ্ডে মিসরজুড়ে ধিক্কার উঠে। সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন নারী; যিনি কিনা তাদেরই একসময়ের সুলতানা। তার এমন লাঞ্ছনা মিসরবাসী মেনে নেয়নি। ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে জনগণ। শেষ পর্যন্ত কিছু সাহসী মুসলিমের প্রচেষ্টায় সুলতানা শাজারাতুদ্ দুর এর ক্ষত-বিক্ষত লাশ সেখান থেকে নামিয়ে সমাহিত করা হয় তারই প্রতিষ্ঠিত মাদরাসায়।
দামেশকে অবস্থানরত বাইবার্সের কানে এ ঘটনার বৃত্তান্ত গেলে তিনি রেগে জ্বলে উঠেন। মামলুকরাও ক্রোধে ফেটে পড়ে। কারণ, এ ঘটনা শুধুই একজন নারীর অপমান নয়; বরং গোটা নারীজাতির জন্যই কলঙ্কজনক। তাছাড়া মামলুকরা সুলতানা শাজারাতুদ্ দুরকে নিজেদের মাতৃসম ভাবতো। ফলে কুতুযের কাছ থেকে এর চরম প্রতিশোধ নিতে মামলুকরা সংকল্পবদ্ধ হলো।
প্রিয় পাঠক! মিসরে যখন এই তামাশা চলছিল, ঠিক তখন বাগদাদে আঘাত হানতে ফণা তুললো বর্বর মোঙ্গলরা। তারও আগে এই বর্বররা সুবিশাল খাওয়ারিজম সালতানাতকে বিধ্বস্ত করেছে। যেহেতু “দ্য প্যান্থার” এর সামনের ইতিহাসটা মোঙ্গল সংশ্লিষ্ট, সেহেতু মোঙ্গলঝড়ের গতিপ্রকৃতির আলোচনা কিছুটা পেছন থেকেই নিয়ে আসা বাঞ্ছনীয়। এবার আমরা তাই একটু পেছন ফিরে যাবো। বাইবার্সের জন্মেরও বেশ ক’বছর আগে। চলবে