আবুল হুসাইন আলেগাজী
কিছুদিন আগে টেকনাফ গিয়েছিলাম রোহিঙ্গা মুসলিমদের খোঁজখবর নিতে। সেখানে তিন রাত ছিলাম। এক রাত নীলায় ও দুই রাত টেকানাফ শহরে। নীলায় আমাকে মেহমানদারি করেছিলেন আল্লামা ইসহাক সাহেব রহঃ এর বড় ছেলে মাদ্রসার শিক্ষক তালতো বোনের স্বামী মাওলনা আবদুর রহমান। তার নানার বাড়ি নাকি আরাকানের বলিবাজারে। প্রথমদিন যখন নীলা দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম, তখন জোহরের নামাজের ওজু করতে গিয়ে দেখতে পেলাম মুহাম্মদ তকী নামে আমার এক রোহিঙ্গা সহপাঠিকে। তার মাধ্যমে নামাজের পর আবিস্কার করলাম আরেক রোহিঙ্গা সহপাঠি বশীরকে যে ওই মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক। আছরের নামাযের পর তারা দুইজনসহ আরো একজন রোহিঙ্গা মাওলানাকে নিয়ে জীবনের সর্বপ্রথম নাফ নদী দেখতে গেলাম। ওই সময় মাদরাসায় কিছু রোহিঙ্গা মুহাজির আলেম আশ্রয় নিয়েছিলেন। থাকতেন মেহমান খানায়। মুহাম্মদ তাকী ছিলেন তাদেরই একজন। তাকে দেখলাম এক যুগ পর। সে আরাকানে মা‘হাদুল ইমাম বোখারী নামের এক দাওরা হাদীছ মাদরাসার মুহাদ্দিস ছিল। জালিম বর্মী সৈন্যরা সেটি জ্বালিয়ে দিয়েছে। শুধু সেটি নয়, তারা মংডুর আরো অনেক মাদ্রসা-মসজিদ জ্বালিয়ে দিয়েছে। তার ও তার ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে বর্মী সৈন্যদের দমন-পীড়নের কিছু বর্ণনা শুনলাম। ফেসবুকের কিছু ভাইয়ের কল্যাণে ওই সময় কিছু রোহিঙ্গাকে সামান্য নগদ অর্থ সহায়তা দান করেছিলাম। চলে আসার মুহাম্মদ তাকী তার পরিবার এপারে নিয়ে আসার জন্য কিছু সহায়তা করতে পারবো কি না জানতে চেয়েছিল। পরে ফেসুবক বন্ধু তৈয়েবুল আলম ভাইয়ের কল্যাণে তার কাছে কিছু অর্থ পাঠিয়েছিলাম। সে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনেকবার কল ও মেসেজ করেছে। কয়েকদিন আগে সে একটি বাংলালিংক নম্বর থেকে কল দিয়ে জানাল, সে এখন আরাকানে (আরাকানে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বাংলাদেশের মোবাইল কোম্পানীর নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়) । কি অবস্থা জিজ্ঞেস করলে জানাল, আর্মী অপারেশন বন্ধ হওয়ায় এখন পরিস্থিতি শান্ত। তবে পুলিশেরা মাঝে-মধ্যে লোকজনকে ধরে নিয়ে যায়। সে আরাকানে ফিরে যাবার উদ্দেশ্য নাকি সরকারী তালিকা থেকে বাদ না পড়া। কারণ, তাদেরকে বাংলাদেশে তাড়াতে সংকল্পবদ্ধ বর্মী সরকার সবসময় তাদের নাগরিকত্ব বাতিলের অজুহাত খুঁজে। টেকনাফ থেকে ফিরে এসে রোহিঙ্গা বিষয়ক নানা তথ্য নিয়ে একটি লেখা তৈরি করেছিলাম। নীচে সে তথ্যগুলো তুলে ধরে হলোঃ
? মায়ানমারেরর সামরিক জান্তার চরম জুলুম-পীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীটি চট্রগ্রামের ভাষাতেই কথা বলে। কক্সবাজারের লোক ও রোহিঙ্গারা একই ধর্ম-বর্ণের মানুষ।
? রোহিঙ্গাদের বসবাস বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা সংলগ্ন মিয়ানমানের আরাকান (রাখাইন) প্রদেশে। এর রাজধানীর নাম আকিয়াব (সিত্তে)।
? আরাকানের উত্তরে চীন, পূর্বে ম্যাগওয়ে অঞ্চল, ব্যাগো অঞ্চল এবং আয়েইয়ারওয়াদি অঞ্চল, পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পশ্চিমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগ।
? আরাকানে দুটি সম্প্রদায়ের বসবাস ‘মগ’ ও ‘রোহিঙ্গা’। মগরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মগের মুল্লুক কথাটি বাংলাদেশে পরিচিত। দস্যুবৃত্তির কারণেই এমন নাম হয়েছে ‘মগ’দের। এক সময় তাদের দৌরাত্ম্য ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। মোগলরা তাদের তাড়া করে জঙ্গলে ফেরত পাঠায়।
? আরাকান পর্বত, যার সর্বোচ্চ চূড়া ভিক্টোরিয়া শৃঙ্গের উচ্চতা ৩,০৬৩ মিটার (১০,০৪৯ ফুট), রাখাইন প্রদেশকে মূল বার্মা থেকে পৃথক করে রেখেছে। রাখাইন রাজ্যে চেদুবা এবং মাইঙ্গান দ্বীপের মত বড় কিছু দ্বীপ আছে। রাখাইন রাজ্যের আয়তন ৩৬,৭৬২ বর্গকিলোমিটার।
? আরাকান ছাড়া মায়ানমারের অন্যকোনো প্রদেশের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত নেই। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সাথে আরাকানের স্থলসীমান্ত রয়েছে এবং টেকনাফের সাথে রয়েছে বিশাল নাফ নদীর জলসীমান্ত।
? বর্তমানে প্রায় ৮,০০,০০০ রোহিঙ্গা মায়ানমারে বসবাস করে। মায়ানমার ছাড়াও ৫ লক্ষের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এবং প্রায় ৫লাখ সৌদিআরবে বাস করে বলে ধারনা করা হয়, যারা বিভিন্ন সময় বার্মা সরকারের নির্যাতনের কারণে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘের তথ্যমতে, রোহিঙ্গারা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী।
? নাফ নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রান্তে বার্মা সীমান্তে অবস্থিত একটি নদী। এটি কক্সবাজার জেলার দক্ষিণ পূর্ব কোনা দিয়ে প্রবাহিত। মূলত এটি কোন নদী নয়, বঙ্গোপসাগরের বর্ধিত অংশ। তাই এর পানি লবনাক্ত। এর পশ্চিম পাড়ে বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলা এবং পূর্ব পাড়ে বার্মার আরাকান প্রদেশের আকিয়াব অবস্থিত। এর প্রস্থ স্থান বিশেষে ১.৬১ কিমি হতে ৩.২২ কিমি হয়ে থাকে।
? অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের মধ্য দিয়ে আরাকানে মুসলমানদের বসবাস শুরু হয়। আরব বংশোদ্ভূত এই জনগোষ্ঠী মায়্যু সীমান্তবর্তী অঞ্চলের (বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের নিকট) চেয়ে মধ্য আরাকানের নিকটবর্তী ম্রক-ইউ এবং কাইয়্যুকতাও শহরতলীতেই বসবাস করতে পছন্দ করতো। এই অঞ্চলের বসবাসরত মুসলিম জনপদই পরবর্তীকালে রোহিঙ্গা নামে পরিচিতি লাভ করে।
? ১৭৮৫ সালে বার্মিজরা আরাকান দখল করে। এর পরে ১৭৯৯ সালে পঁয়ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ বার্মিজদের গ্রেফতার এড়াতে এবং আশ্রয়ের নিমিত্তে আরাকান থেকে নিকটবর্তী চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলে আসে। বার্মার শোসকেরা আরাকানের হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে এবং একটা বড় অংশকে আরাকান থেকে বিতাড়িত করে মধ্য বার্মায় পাঠায়। যখন ব্রিটিশরা আরাকান দখল করে তখন যেন এটি ছিল একটি মৃত্যুপূরী। ১৭৯৯ সালে প্রকাশিত বই “বার্মা সাম্রাজ্য”তে ব্রিটিশ ফ্রাঞ্চিজ বুচানন-হ্যামিল্টন উল্লেখ করেন, “মুহাম্মদ (ছঃ) – এর অনুসারীরা”, যারা অনেকদিন ধরে আরাকানে বাস করছে, তাদেরকে “রুইঙ্গা” বা “আরাকানের অধিবাসী” বলা হয়।
? কৃষিকাজের জন্য আরাকানের কম জন অধ্যুষিত এবং উর্বর উপত্যকায় আশপাশের এলাকা থেকে বাঙ্গালী অধিবাসীদের অভিবাসন করার নীতি গ্রহণ করেছিল ব্রিটিশরা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলাকে আরাকান পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিল। আরাকান ও বাংলার মাঝে কোন আন্তর্জাতিক সীমারেখা ছিল না এবং এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যাওয়ার ব্যাপারে কোন বিধি-নিষেধও ছিল না। ১৯ শতকে, হাজার হাজার বাঙ্গালী কাজের সন্ধানে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আরাকানে গিয়ে বসতি গড়েছিল। এছাড়াও, হাজার হাজার রাখাইন আরাকান থেকে বাংলায় চলে এসেছিল।
? ১৮৯১ সালে ব্রিটিশদের করা এক আদমশুমারীতে দেখা যায়, আরাকানে তখন ৫৮,২৫৫ জন মুসলমান ছিল। ১৯১১ সালে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৭৮,৬৪৭ জন হয়। অভিবাসনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ বাংলার সস্তা শ্রম যা আরাকানের ধান ক্ষেতের কাজে লাগত। বাংলার এই অধিবাসীরা (বেশিরভাগই ছিল চট্টগ্রাম অঞ্চলের) মূলত আরাকানের দক্ষিণেই অভিবাসিত হয়েছিল। এটা নিশ্চিত যে, ভারতের এই অভিবাসন প্রক্রিয়া ছিল পুরো অঞ্চল জুড়ে, শুধু আরাকানেই নয়। ঐতিহাসিক থান্ট মিন্ট-ইউ লিখেছেন: “বিংশ শতাব্দীর শুরুতে, বার্মায় আসা ভারতীয়দের সংখ্যা কোনভাবেই আড়াই লক্ষের কম নয়। এই সংখ্যা ১৯২৭ সাল পর্যন্ত বাড়তেই থাকে এবং অভিবাসীদের সংখ্যা হয় ৪৮০,০০০ জন, রেঙ্গুন নিউ ইয়র্ককেও অতিক্রম করে বিশ্বের বড় অভিবাসন বন্দর হিসেবে। মোট অভিবাসীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১.৩ কোটি (১৩ মিলিয়ন)।” তখন বার্মার রেঙ্গুন, আকিয়াব, বেসিন, প্যাথিন এবং মৌমেইনের মত অধিকাংশ বড় শহরগুলোতে ভারতীয় অভিবাসীরা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। ব্রিটিশ শাসনে বার্মিজরা অসহায়ত্ব বোধ করত এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার মাধ্যমে তারা অভিবাসীদের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করত।
? অভিবাসনের ফলে সংঘাত মূলত আরাকানেই ছিল সবচেয়ে প্রকট। ১৯৩৯ সালে, রোহিঙ্গা মুসলিম ও রাখাইন বৌদ্ধদের মধ্যকার দীর্ঘ শত্রুতার অবসানের জন্য ব্রিটিশ প্রশাসন জেমস ইস্টার এবং তিন তুতের দ্বারা একটি বিশেষ অনুসন্ধান কমিশন গঠন করে। কমিশন অনুসন্ধান শেষে সীমান্ত বন্ধ করার সুপারিশ করে, এর মধ্যে শুরু হয় ২য় বিশ্ব যুদ্ধ এবং এর পরে ব্রিটিশরা আরাকান ছেড়ে চলে যায়। ১৯৪২ সালের ২৮শে মার্চ, মায়ানমারের মিনবিয়া এবং ম্রক-ইউ শহরে রাখাইন জাতীয়তাবাদী এবং কারেইনপন্থীরা প্রায় ৫,০০০ মুসলমানকে হত্যা করে। ইতোমধ্যে, রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে প্রায় ২০,০০০ মুসলমানকে হত্যা করা হয়। এতে উপ-কমিশনার ইউ য়ু কিয়াও খায়াং-ও নিহত হন যিনি দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন।
? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, জাপানীরা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনস্হ বার্মায় আক্রমণ করে। ব্রিটিশ শক্তি পরাজিত হয়ে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যায়। এর ফলে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে। এর মধ্যে বৌদ্ধ রাখাইন এবং মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যকার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিল উল্লেখযোগ্য। এই সময়ে ব্রিটিশপন্হীদের সাথে বার্মার জাতীয়তাবাদীদেরও সংঘর্ষ হয়। জাপানীদের আক্রমণের সময় উত্তর আরাকানের ব্রিটিশপন্হী অস্ত্রধারী মুসলমানদের দল বাফার জোন সৃষ্টি করে। রোহিঙ্গারা যুদ্ধের সময় মিত্রপক্ষকে সমর্থন করেছিল এবং জাপানী শক্তির বিরোধিতা করেছিল, পর্যবেক্ষণে সাহায্য করেছিল মিত্রশক্তিকে। জাপানীরা হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের নির্যাতন, ধর্ষণ এবং হত্যা করেছিল। এই সময়ে প্রায় ২২,০০০ রোহিঙ্গা সংঘর্ষ এড়াতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলায় চলে এসেছিল। জাপানী এবং বার্মাদের দ্বারা বারংবার গণহত্যার শিকার হয়ে প্রায় ৪০,০০০ রোহিঙ্গা স্থায়ীভাবে চট্টগ্রামে চলে আসে।
? ১৯৪৭ সালে রোহিঙ্গারা মুজাহিদ পার্টি গঠন করে যারা জিহাদি আন্দোলন সমর্থন করতো। মুজাহিদ পার্টির লক্ষ্য ছিল আরাকানে একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তারা জেনারেল নে উইনের নেতৃত্বে ১৯৬২ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পূর্ব পর্যন্ত অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। নে উইন তাদেরকে দমনের জন্য দুই দশকব্যাপী সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। উল্লেখযোগ্য একটি অভিযান ছিল “কিং ড্রাগন অপারেশন” যা ১৯৭৮ সালে পরিচালিত হয়। এর ফলে অনেক মুসলমান প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে এবং শরনার্থী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যার রোহিঙ্গারা পাকিস্তানের করাচীতে চলে যায়। বর্তমানে বার্মা (আরাকান) ছাড়াও বাংলাদেশ, মালয়শিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড ও ভারতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোহিঙ্গার বসবাস রয়েছে।
? ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের ফলে রোহিঙ্গারা নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হন। তারা সরকারি অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করতে পারে না, জমির মালিক হতে পারে না এবং দুইটির বেশি সন্তান না নেওয়ার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। ১৯৯১-৯২ সালে একটি নতুন দাঙ্গায় প্রায় আড়াই লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসে। তারা জানায়, রোহিঙ্গাদের বার্মায় বাধ্যতামূলক শ্রম প্রদান করতে হয়। এছাড়া হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের স্বীকার হতে হয়। রোহিঙ্গাদের কোনো প্রকার পারিশ্রমিক ছাড়াই কাজ করতে হত। ২০০৫ সালে, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে, কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিভিন্ন ধরণের মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে এই উদ্যোগ ভেস্তে যায়।