মুহিব খান
‘মূর্তি সরা’ আন্দোলন একটি মারাত্মক টেস্ট কেইস।
এ আন্দোলন এ মুহূর্তে শুরু না করলে ভিন্ন কথা ছিলো, কিন্তু শুরু করার পর ব্যার্থ হলে এদেশের সম্পূর্ণ ইসলামি শক্তিই অপাংক্তেয় ও মূল্যহীন হয়ে পড়বে এবং ওদের নীলনকশার বাকি কাজ বিদ্যুৎবেগে বাস্তবায়িত হবে।
আর এ আন্দোলন সফল হলে রাম বাম নাস্তিকপন্থী গোষ্ঠী, ক্ষমতাসীন শক্তি ও ভারতসহ গোটা ইমলামবিরোধী বিশ্ব চরম পরাস্ত হবে এবং ওদের মিশন কমপক্ষে ১০ বছর পিছিয়ে যাবে।
তাই এ আন্দোলনকে দিকভ্রান্ত করতে নতুন নতুন ইস্যু সামনে আনা হতে পারে। কওমী স্বীকৃতিও এর একটি।
শুধু তাই নয়, এ আন্দোলনের চূড়ান্ত সাফল্য ‘ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ’ মোকাবেলা ছাড়া অর্জিত হবে না। এটা এখন ওদের অস্তিত্বের লড়াই।
মুসলিম প্রধান দেশ বলেই আমাদের বঙ্গভবন, সুপ্রীমকোর্ট, হাইকোর্ট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলোর উপরে মসজিদ সাদৃশ্য মিনার রাখা হয়েছিলো।
রাজধানীর এ মুসলিম চেহারাকে ম্লান করতেই এসব এলাকায় এতো মূর্তি আগ্রাসন।
জানি, আমাদের অনৈক্য তবু শেষ হবে না। আমরা যে নিজ নিজ দলমতকেই দ্বীন ভেবে বসে আছি! সংখ্যাধিক্যের অহংকারে ডুবে আছি!
তবে সত্যিকারের বিপর্যয় যখন আসবে, তখন সবারই চূড়ান্ত বিচার হবে। হবেই।
একটা বিষয়, এরশাদ পরবর্তী সরকারপতনের প্রতিটি চূড়ান্ত আন্দোলনই ছিলো ধর্মীয় ইস্যুকেন্দ্রিক, রাজনৈতিক ততোটা নয়।
কেন জানি প্রতাপশালী সরকারগুলো দেশের সব রাজনীতিকে কন্ট্রোল ও পরাস্ত করে শেষে এসে মোল্লা মৌলভীদের কাছে ধরাশায়ী হয়।
মজবুত দূর্গ এখানে এসে রানাপ্লাজার মতো ভাজ হয়ে যায়। বিষয়টি জটিল।
ওয়াল্লাহু আ’লাম।