কমাশিসা অনলাইন ডেস্ক : এক ধাক্কায় ৪৬ জন অ্যাটর্নিকে পদত্যাগ করতে বলে নয়া বিতর্কে জড়াল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ‘হাই-প্রোফাইল’ অ্যাটর্নি প্রীত ভারভারাও। মাস তিনেক আগে প্রেসিডেন্ট নিজেই যাঁকে থেকে যেতে বলেছিলেন। রাতের খবর, পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন প্রীত। ৯৩-এর মধ্যে দেশের ৪৭ জন অ্যাটর্নি পদত্যাগ করেছিলেন আগেই। বারাক ওবামার আমলে নিযুক্ত বাকিদেরও এবার একযোগে ইস্তফা দিতে বললেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্স। রাতারাতি কেন এই নির্দেশ? অ্যাটর্নিরা যে হেতু রাজনৈতিকভাবে নিযুক্ত হন, তাই প্রশাসন বদলের পরে এমনটাই দস্তুর বলে দাবি জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের। দফতরের মুখপাত্র সারাহ ইসগুর ফ্লোরস বলেন, “হোয়াইট হাউসে সার্বিক ক্ষমতা হস্তান্তরের স্বার্থেই এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে।”
১৯৯৩ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিল ক্লিন্টন এক দিনে সব অ্যাটর্নিকে সরে যেতে বলেছিলেন। জর্জ ডবিøউ বুশও তাই। প্রাক্তন এই দুই প্রেসিডেন্টের তুলনা টেনেই আপাতত নিজের পক্ষে যুক্তি সাজাচ্ছে ট্রাম্পের প্রশাসন। বিতর্ক তবু থাকছেই। সূত্রের খবর, পরবর্তী অ্যাটর্নি নিয়োগের কাজ এখনও বিস্তর বাকি। এমনকী মনোনীত প্রার্থীদের নামও জমা পড়েনি ট্রাম্পের টেবিলে। তার আগেই ইস্তফা দিতে বলা হল ৪৬ জন অ্যাটর্নিকে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাই দেশের সার্বিক বিচারব্যবস্থা নিয়েই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন নিউ ইয়র্কের সেনেটর চার্লস স্কুমার। তার কথায়, “যে সব মামলার বিচার চলছিল, প্রশাসনের নির্দেশে এ বার বুঝি তাও ভেস্তে গেল।’’ প্রেসিডেন্ট নিজেই বিচারব্যবস্থায় বাগড়া দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আনন্দবাজার।