বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা এলকে আদভানি, মুরলি মনোহর যোশী, উমা ভারতীর পুনরায় বিচার শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়, সুপ্রিমকোর্টে দেয়া এক প্রতিবেদনে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন – সিবিআই বলেছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য এলকে আদভানির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রত্যাহারের বিপক্ষে তারা। তারা মনে করেন, এই ঘটনার আদভানিসহ অন্য নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উগ্র হিন্দু মৌলবাদীরা ভারতের উত্তর প্রদেশের ফাইজাবাদ জেলার অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে। এ ঘটনার পর ভারতের প্রধান শহরগুলোয় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলায় বিজেপি নেতা আদভানি, মুরলি মনোহর যোশী, উমা ভারতী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অশোক সিঘাল, গিরিরাজ কিশোরসহ কয়েকজন নেতাকে আসামি করা হয়। ২০১০ সালে হাইকোর্টের এক রায়ে এ ঘটনায় আদভানির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রত্যাহারের আদেশ দেয়া হয়। হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছে সিবিআই’র এই তদন্ত প্রতিবেদন।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য আদভানির ভূমিকা নিয়ে সিবিআই বলেছে, মসজিদে হামলার আগে এবং ধ্বংস করার সময় আদভানিসহ অন্য নেতারা ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১৭৫ মিটার দূরে স্থাপিত সভামঞ্চ থেকে উস্কানিমূলক স্লোগান ও বক্তব্য দেন। এর ফলে উগ্র হিন্দু মৌলবাদীরা ওই স্থাপনা ধ্বংস করে।
‘মসজিদের মিনার ধসে পড়ার সময় নেতারা হাততালি দিয়ে, একে অন্যকে আলিঙ্গন করে ও মিষ্টি বিতরণ করে তা উদযাপন করেন।’ ‘উস্কানিমূলক স্লোগানের ফলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি ও জাতীয় সংহতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ওই স্থাপনা ধ্বংস হয়।
এ সময় ঘটনার কোনো প্রমাণ যাতে না থাকে সে জন্য সংবাদকর্মীদের ওপর হামলাও একই কারণে ঘটে এবং এসব অপরাধের কোনোটিই অন্যটি থেকে আলাদা নয়।’
সূত্র : কলকাতা টুয়েন্টিফোর ডটকম