বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সন্ধ্যা ৬:২০
Home / এশিয়া / ভারতকে হটাতে প্রয়োজনে চীনের সাহায্য নেবে নেপাল। ভারতের আগ্রাসি মনোভাবে প্রতিবেশিরা অতিষ্ট !

ভারতকে হটাতে প্রয়োজনে চীনের সাহায্য নেবে নেপাল। ভারতের আগ্রাসি মনোভাবে প্রতিবেশিরা অতিষ্ট !

nepal mapকমাশিসা ডেস্ক : ভারতের বিরুদ্ধে আর্থিক অবরোধের অভিযোগ তুলে তাদের কড়া অবস্থান স্পষ্ট করল নেপাল। বুধবার এক সংবাদ সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাতকারে নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী বামদেব গৌতম বলেন, তার সরকার স্থলপথে চীন থেকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আনার চেষ্টা চালাবে। এ ছাড়া আকাশ ও সমুদ্রপথেও এই উদ্যোগ চলবে গৌতম আরও বলেন, নেপালের তিনটি প্রধান দল প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালাকে প্রস্তাব দিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে নেপালের সমস্যা জানাতে বিশেষ দূত পাঠানো হোক। গৌতমের মতে, ভারতকে বোঝানো হবে নেপালে তাদের রফতানিও ব্যাহত হচ্ছে। তাতেও কাজ না হলে চীনের উপরেই নির্ভর করতে হবে। এবং চীনের মাধ্যমেই অন্যান্য দেশ থেকে জোগানের ব্যবস্থা করা হবে। এর পাশাপাশি গৌতম বলেন, এ বছরের এপ্রিল মাসে ভূমিকম্পের পর চিনের সঙ্গে যোগাযোগের যে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেটির মেরামতির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। গত ২০ সেপ্টেম্বর, নেপালের নতুন সংবিধান পার্লামেন্টে গৃহীত হওয়ার পর থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চালাচ্ছে তরাই অঞ্চলের মদেশি ও থারু সম্প্রদায়। ভারত সরকারও নেপালকে তাদের নতুন সংবিধানে অন্তত সাতটি জায়গায় সংশোধনী আনতে অনুরোধ করেছে।এর ফলে ভারত-নেপাল সীমান্তের বেশ কিছু জায়গায় আটকে পড়েছে নেপাল অভিমুখী পণ্যবাহী ট্রাক। নেপালের প্রয়োজনীয় পণ্যের শতকরা ৭০ ভাগ আসে ভারত থেকেই। এই পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ভারতের তীব্র সমালোচনা করে ইউএমএল নেতা কে পি ওলি বলেন, রান্নার গ্যাস নেই, আনাজ, জ্বালানিও বেপাত্তা। ভারতের সঙ্গে এমন বন্ধুত্ব আমাদের দরকার নেই।অন্য দিকে বুধবার, কাঠমান্ডুতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের রাষ্ট্রদূত রঞ্জিত রায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন নেপালের ওপর ভারত কোনো ‘আর্থিক অবরোধ’ চাপায়নি। এর পাশাপাশি নেপালে ক্রমবর্ধমান ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ, মোদির কুশপুত্তলিকা ওভারতের জাতীয় পতাকা পোড়ানো নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে তিনি বলেন, এতে কোনো দেশেরই উপকার হবে না।ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নেপালের প্রধান রাজনৈতিকদলের ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলি রোজই ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। রায় আরও বলেন, নতুন সংবিধান নিয়ে সমস্যা নেপালের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। মদেশি সম্প্রদায় ও নেপাল সরকারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সুরাহা হতে পারে। আমরা শুধু চাই এই নতুন সংবিধান সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হোক। সূত্র: সংবাদ সংস্থা।
সুত্র: ইনকিলাব

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...