ফাহিম বদরুল হাসান :
শিল্পী মুস্তাজাবের ‘মেহেরবান’ বেশ ক’বার শুনলাম। কোনো সঙ্গীতবোদ্ধা নই, তবে বিভিন্ন ভাষার ইসলামি সঙ্গীত বেশই শোনা হয়। একজন শ্রোতা হিসেবে ‘মেহেরবান’ গানটি ভালই লেগেছে। গানটি বাংলায় রচিত শ্রেষ্ঠ হামদ- এরকম বলাটা সঠিক হবে না। তবে এটুকু বললে অত্যুক্তি হবে না যে, বাংলা ইসলামি সঙ্গীত জগতের বর্তমান যে সঙ্গিন হালত- ইসলামি সঙ্গীতের নামে যে যার মতো যাচ্ছেতাই নিয়ে চেঁচাচ্ছে, লাফাচ্ছে, কাঁপাচ্ছে, সেই মূহুর্তে সঙ্গীতটি আসলেই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
সঙ্গীতটিতে একদিকে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে অল্প কথার গাঁথুনিতে আল্লাহর বিস্তর প্রশংসা করা হয়েছে। অন্যদিকে দেয়া হয়েছে চমৎকার সুরের লহরী। গানটির গায়কী! অনেক সময় অত্যন্ত চমৎকার কথা ও সুরের কোনো গান শিল্পীর অপরিপক্কতা কিংবা উদাসীনতার কারণে বিশ্রুত হয়ে যায়।
আনোয়ারুল করিম মোস্তাজাব গানটির প্রতি অবিচার করেনি। কথা ও সুরকে শতভাগ ধারণ করে ফুটিয়ে তুলেছে তার কন্ঠে, আপন ভঙ্গিমায়। তার স্পষ্ট ও সাবলীল গাওয়া ‘সিলেটি মানুষেরা শুদ্ধ উচ্চারণ করতে পারে না’ এরকম মাশহুর প্রচারণার পাঁজরে যেন খঞ্জরের কোপ দিয়েছে সে। সমালোচনা হয়তো ঘেঁটে বের করা যাবে, তবে সাধারণ শ্রোতার কথায়, চমৎকার কম্বিনেশন হয়েছে।