লিখেছেন: মুহাম্মদ আলী আহমদ
চাঁদে অভিযান নিয়ে আমেরিকার আন্তর্জাতিক নাটক : নাসার প্রতারণা
আমাদের শিশুদের আর কত মিথ্যা শিখানো হবে? চাঁদের মাটি বলে জাদুঘরে সংরক্ষীত পাথর আমেরিকার মরুভুমির!
সত্যিই কি আমেরিকা চাঁদে নভোযান পাঠিয়েছিল? আসলেই কি নাসা চাঁদে নভোচারী পাঠিয়েছিল? এক কথায় উত্তর হবে না, না এবং না। নাসা প্রতারণা করেছে মানবতার সাথে ,আমেরিকা বেইমানী করেছে পৃথিবীর সাথে। আদৌ তারা চন্দ্রাভিযান চালায়নি। চীন,ফ্রান্স, রাশিয়া, জাপান,ভারত এমনকি খোদ আমেরিকার বর্তমান উন্নত বিশ্বের বিজ্ঞানিরা পর্যন্ত বলেন চাঁদে মানুষ পাঠানো ছিল আমেরিকার একটি নাটক।
পৃথিবীর ইতিহাসে আজো পর্যন্ত কেউ চাঁদে অভিযান চালায়নি। নীল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স ও বুজ অলড্রিনের চাঁদে যাওয়ার ঘটনাটি ছিল একটি সিনেমা। হলিউডে মার্কিন সিনেমার পরিচালকেরা এমন রহস্যময়, ভয়ংকর,অবিশ্বাস্য সব ফিল্ম খুব সহজেই তৈরি করতে পারেন। চাঁদে যাওয়ার এ ঘটনাটি এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যেভাবে সাজানো হয় সিনেমার স্ক্রিপ্ট।
কেউ কেউ এই পরিচালকের নাম ও বলে দিয়েছেন যে, সে হলো এই মিথ্যা নাটকের বিখ্যাত পরিচালক মার্কিন ফিল্ম নির্মাতা স্ট্যানলি কুবরিক। এটাও দুর্গম মরুঅঞ্চলে শুটিং করা একটা সিনেমা, যেখানে কেউ সহজে যেতে পারেনা। ছবিগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড লক্ষ্য করে দেখুন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে পুরো মুভি একই শুটিং স্পটে করা। এক সেকেন্ডের জন্য যদি আমাকে কেউ এটা বিশ্বাস করাতে চান তাহলে আমার প্রশ্ন ১৯৬৯ সালে যদি তারা চাঁদে মানুষ সহ নভোযান পাঠাতে পারে তাহলে এই সুদীর্ঘ ৫০ বছর অতিক্রম হয়ে গেল, এখনতো তারা সবদিক দিয়ে প্রযুক্তিবলে আগের চেয়ে বহুগুণ এগিয়ে এত বছরেও তারা কেনো দ্বিতীয়বার চাঁদে মানুষ পাঠাতে পারেনি? এই প্রশ্নের জবাব আমেরিকা বা নাসা আদৌ দিতে পারেনি, বরংচ এ বিষয়টা তারা সর্বক্ষণ এড়িয়ে চলে।
ছবিতে লক্ষ্য করুন,চাঁদে বাতাস নেই, অক্সিজেন ছাড়া সেখানে স্বাভাবিক ভাবে থাকা অসম্ভব। অথচ দেখেন পতাকাটি বাতাসে পতপত করে উড়ছে। সেখানে বাতাস গেলো কেমনে?? পৃথিবী থেকে আমরা রাতের আকাশে অসংখ্য তারকা বা নক্ষত্ররাজি দেখতে পাই। চাঁদের দেশ থেকে সেগুলো আরো উজ্জল ও স্পষ্ট ভাবে দেখার কথা। অথচ তাদের উঠানো ছবিতে আকাশে একটি তারকাও দেখা যাচ্ছেনা কেনো?? ছবিতে দেখা যায়, নভোচারীরা যেখানে নভোযান অবতরণ করেছেন, সেখানে পাশাপাশি বস্তুগুলোর ছাযা পরস্পরকে ছেদ করছে। একেক বস্তুর ছায়া একেক রকম দেখাচ্ছে, একেক ছায়া একেক দিকে গেছে। আমরা জানি চাঁদে আলোর উৎস যদি সুর্য হয় তাহলে প্রতিটি বস্তুর ছায়া সমান্তরাল হওয়ার কথা, অসমান্তরাল হলো কেনো??? অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, শুটিং করার সময় কৃত্রিম আলো সেখানে ব্যবহার করা হয়নি?
চাঁদে অভিযানের ঐতিহাসিক টেলিমেট্রি ডাটা যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটা খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তারা বলছে এটা নাকি হারিয়ে গেছে। এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস তাদের হাত থেকে গায়েব হলো কেমনে?? মডিউলটি যেখানে অবতরণ করে সেখানে বড় গর্ত হওয়ার কথা, ছবিতে কোনো গর্ত দেখা যাচ্ছেনা কেনো?? মডিউলের গায়ে ধুলোবালি লেগে থাকার কথা।
১৯৭৪ কালে বিল কেসিং নামক এক আমেরিকান “We never went to the moon” আমরা কখনো চাঁদে যাইনি নামে একটি বই লিখেন। ‘আমেরিকার ৩০ বিলিয়ন ডলারের জোচ্চুরি’ শিরোনামে একটি লেখায় সমস্থ মিথ্যাচার তুলে ধরেন তিনি। এছাড়াও আরো অনেক অমিমাংসিত প্রশ্ন রয়েছে যেগুলোর কেনো জবাবই তারা দিতে পারেনি।
গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন নবনিযুক্ত বিজ্ঞান উপদেষ্টা ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডেভিড গেলার্নটার কে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে,আমরা কি ২০৩০ সালের মধ্যে নভোচারীদের মঙ্গলে পাঠাতে পারব? বিন্দুমাত্র কালক্ষেপণ না করে অধ্যাপক ডেভিড বলেন, আমরা এখনো চাঁদে ও মানুষ পাঠাতে পারিনি, তাহলে মঙ্গলে কিভাবে ই বা ত্রিশের মধ্যে মানুষ পাঠাব?
দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে আমেরিকা পৃথিবী বাসীকে চন্দ্র বিজয়ের মিথ্যা বুলি শুনিয়ে বোকা বানাচ্ছিল। ধাপ্পা দিয়েছিল তারা বিশ্ববাসীকে, কোথায় তাদের সত্যতা??
কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে করতে পারেন, জবাব দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।