তবে কী ফিরে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের জন্য মালয়েশিয়ার পাঠানো ত্রাণবাহী জাহাজ ন্যটিক্যাল আলিয়া? ‘নিরাপত্তার’ কারণে বাংলাদেশের টেকনাফ বন্দরে নোঙর করার অনুমতি দেয়া হয় নি জাহাজটিকে।
মিয়ানমারের জন্য মালয়েশিয়ার ফুড ফ্লোটিলা প্রকল্পের প্রধান আবদুল আজিজ রহিম তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমি একটি ফ্যাক্স পেয়েছি। সেখানে বলা হয়েছে, কৌশলগত কারণে খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রীর বহর নটিক্যাল অ্যালিয়াকে টেকনাফে নোঙর ফেলার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। খবর যুগান্তরের।
আজিজ আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে যে আমাদের জাহাজ অনেক বড় হওয়ায় টেকনাফ বন্দরের জাহাজঘাটে এটি নোঙর করা সহজ হবে না। এ ছাড়া ওই ফ্যাক্সে নিরাপত্তার কারণটিও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ফুড ফ্লোটিলার বহরটি নোঙর করার জন্য বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৩টি বন্দরকে সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো হল : সেন্টমার্টিন, কুতুবদিয়া এবং চট্টগ্রাম বন্দর।
আজিজ বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সুপারিশকৃত ৩ বন্দরের কোনোটাতে জাহাজটি নোঙর করার অনুমতি নেই স্বেচ্ছাসেবী কর্মী বা মেডিকেল কর্মকর্তাদের।
তিনি বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে বলেন, আমি এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট নাজিব রাজাকের হস্তক্ষেপ আশা করছি। আমি মনে করি টেকনাফে জাহাজটি ভেড়ানোর গুরুত্ব সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারকে বোঝাতে সক্ষম হবেন তিনি।
মালয়েশিয়া থেকে খাবার ও ওষুধসহ অন্যান্য প্রায় ৫০০ টন প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে গত বৃহস্পতিবার যাত্রা শুরু করে নটিক্যাল অ্যালিয়া। মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারের নদীতে প্রবেশ করে জাহাজটি।