আহমাদ আব্দুল কাইয়ূম::
“হাটহাজারী মাদ্রাসার ‘বায়তুল কারীম মাসজিদে’ উলামা ও ত্বালাবাদের কান্নার রোল”
আজকে আছরের পর গাজিপুর থেকে “গাজি আল মাহমুদ” সহ আরো সাতজন আলেম আসলেন
শায়খ “আহমেদ শফী” সাহেবের সাথে দেখা করতে।
শায়খ সাথে দেখা করার জন্য তাদেরকে পাঠিয়েছেন,
আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী দা.বা.।
শায়খের সাথে দেখা করে গাজি আল মাহমুদ কেঁদে-কেঁদে দু’বছর আগের একটি ঘটনা বললেন। শায়খ কাঁদলেন। মাজলিসের সবাই কাঁদলো।
দু’বছর আগের ঘটনা কট্টরপন্থী আহলে হাদীসরা গাজিপুরের স্থানীয় একটি মাসজিদের
টাইলসে লিখিত কালিমমার প্রথম অংশ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ রেখে
কালিমার শেষ অংশ ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ লিখিত টাইলস দেয়াল থেকে তুলে ফেলে,
এবং মাসজিদের অন্যান্য স্থানে ‘আল্লাহ’ শব্দের সাথে ‘মুহাম্মাদ’ লিখিত টাইলসগুলোও তুলে ফেলে।
গাজি আল মাহমুদ এর প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করলে কট্টরপন্থী আহলে হাদীস রা
তাঁর মাদরাসা ভেঙে ফেলে তাঁকে ধরে এমনভাবে মারে যে, যার কারণে তাঁর উভয় হাত ও পায়ের হাড্ডিগুলো তিন জায়গায় ভেঙ্গে যায়।
উভয় হাত-পা চামড়ার সাথে ঝুলন্ত রয়। ডাক্তারগণ তাঁকে প্রায় মৃত ঘোষণা করেন।
রাতে গাজি আল মাহমুদ স্বপ্নে দেখেন,
একটি আলোর মধ্য থেকে
“রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম” বের হয়ে এসে তাঁর সমস্ত শরীরে হাত বুলিয়ে বলেন,
‘তুমি মুহাম্মাদের দ্বীনের হেফাজত করতে থাক,
আল্লাহ তা’আলা তোমাকে নুসরত করবেন’।
এর পর তাঁর ঘুম ভেঙ্গে যায়।
তিনি লাফ দিয়ে উঠে দেখেন, তাঁর সমস্ত শরীর সুস্থ হয়ে গেছে।
ডাক্তারগণ সহ হাসপাতালের অন্যান্য রোগিরা তাঁকে ধরে কাঁদা শুরু করেন।
-এই ঘটনার পর যারা তাঁকে পিঠিয়েছিল, সবার প্যারালাইজড হয়ে যায়।
এবং গত দুই বছরে তিনি বিভিন্ন জায়গায় একুশটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
তাঁরা শায়খকে বললেন,
হযরত আমাদের একটু নসিহত করুন।
শায়খ কেঁদে-কেঁদে বললেন,
‘আমি আর কী নসিহত করবো।
আল্লাহ তা’আলা উনাকে তাকওয়ার ফল দিয়েছেন।
আপনারা যদি এভাবে তাকওয়া রাখেন,
আল্লাহ তা’আলা আপনাদেরকেও তাকওয়ার ফল দিবেন’।
অতঃপর মাদ্রাসার সমস্ত ত্বালিবানদের সম্মুখে তাঁকে তাঁর ঘটনা বলতে দেয়া হয়।
সমস্ত ছাত্ররা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন,
বাবুনগরী সাহেবও নসিহত পেশ করেন
আর আহলে হাদিছ সহ সমসত বাতিল ফিরক্বা থেকে বেঁচে থাকার
এবং এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহবান জানান।