মুহাম্মদ মহিউদ্দীন কাসেমী::
এ প্রশ্ন বারবার আমার মনে উকি দেয়। আরও আগে থেকে। লাখোলাখো মসজিদ মাদরাসা আমাদের সোনার বাংলাদেশে। পাড়ায় মহল্লায় অলিতে গলিতে ওয়াজমাহফিলের ধুম পড়ে। বলা হয় এ দেশে শতকরা ৯৫% মুসলিম। আলেম ওলামাদের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সব কর্মকাণ্ডে ইসলাম ও মুসলমানদের কোনো নিদর্শন নেই। নাস্তিক্য ও হিন্দুত্ববাদের জয়জয়কার। আইন-আদালত, সংসদ ও মন্ত্রিসভা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, রাজনীতি ও অর্থনীতি কোথাও মুসলমানিত্ব নেই। উল্টো ইসলাম ও ইসলামপন্থীদের ওপর খড়গ নেমে আসে বারবার। বুকে হাত দিয়ে বলুন, এ দেশে দাড়িবিহীন একজন লোক যতটুকু স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে, একজন দাড়িওয়ালা কি ততটুকু স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?!
দোষটা কাদের?
দোষটা ইসলামপন্থীদের।
ইসলামের নামে যারা আলখাল্লা লাগিয়ে ঘুরেন তাদের। দোষটা আমার, আমাদের।
আমরা মুক্তমঞ্চে ঘোষণা করি, আমরা ক্ষমতা চাই না; আপনারাই থাকুন। হযরত উসমানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাইলেও নবী সা. এর ভবিষৎবাণী হিসেবে সরেননি। চারজন মহান খলিফাই তো শাসক ও প্রশাসক ছিলেন। যুগের পর যুগ মুসলমানদের রাষ্ট্রে মুসলমানরাই ক্ষমতায় ছিলেন। ইসলামী ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রে ইসলামী ভাবধারা সবসময়ই কমবেশি ছিল। ভারতবর্ষে ইংরেজদের আসার আগপর্যন্ত তা-ই ছিল। কিন্তু এরপর পরিস্থিতি অনুকূল না থাকায় অনেককিছু সম্ভব হয়নি।
কিন্তু বাংলাদেশ তো মুসলমানদের দেশ। এখানে কেন ইসলাম উপেক্ষিত?
দায়টা নেবে কে?
আমরা হেদায়ায় আদাবুল কাজী বা বিচারকার্যের নিয়মকানুন পড়ি; কিন্তু বিচার করে আরেকজন?
স্বাধীনতার পর একটি শিক্ষাকমিশনেও কি কোনো আলেম ছিলেন?
পাঠ্যপুস্তকে নাস্তিক ও হিন্দু লেখকদের লেখার ছড়াছড়ি। আমাদের মাও. মুহিউদ্দীন খান রহ. কি এতটুকু যোগ্য হতে পারেন নি যে, তার কোনো লেখা বাংলাদেশের শিক্ষাপীঠে সিলেবাসভুক্ত হবে?
তাই মাঝেমাঝে মনে প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশ আসলে কাদের?
নিচের তালিকাটি মনোযোগহ পড়ার সনির্বন্ধ অনুরোধ রইল।