মাসুম আহমাদ::
এক-সপ্তাহ পূর্বেও জানা ছিলো না, শায়খুল হাদীস মাওলানা নুরুদ্দীন আহমদ গহরপুরী রহ. –এর প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী জামেয়া গহরপুর সিলেটের ৬০ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে ৬ষ্ঠ পাগড়ি প্রদান, কওমী গ্রাজুয়েশন, ১০ সালা দস্তারবন্দী মাহফিলে যাওয়া হবে কি হবে না! কিন্তু সিলেটে থাকার সুবাধে মাহফিলে যাওয়ার সুযোগ হয়।
জামেয়া গহরপুরের আয়োজনে স্বকীয়তা ছিলো। ছিলো ভিন্নতা। নতুনত্বের আবেশ ছিলো। সন্ধ্যার পর মাহফিলে গিয়ে রাত ১২ টার দিকে ফিরে এসেছিলাম। ফলে পুরো পরিবেশকে দেখার সুযোগ হয়নি। তবে যেটুকু দেখেছি, তাতে মুগ্ধ না হয়ে পারিনি।
জামেয়ার পার্শ্ববর্তী গ্রামে আমার ভাতিজির বিয়ে হয়েছে। ফলে কিছুক্ষণ মাহফিলে অবস্থান করে আত্মীয়তার হক্ব আদায়ের নিমিত্তে ভাতিজীর বাড়িতে চলে যাই। সেখানে দেখা সাক্ষাত, খাওয়া দাওয়া শেষে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম।
দুপুরে জেনেছিলাম, সায়্যিদ আরশাদ মাদানী হাফিজাহুল্লাহ ঢাকা থেকে গাড়িতে সরাসরি গহরপুরে আসবেন। শায়খের সফরসঙ্গী বড় ভাই গহরপুরে পৌঁছার পূর্বক্ষণে ফোন দিয়ে বলেন, আমরা কাছাকাছি চলে এসেছি। ফলে আবার মাহফিলে চলে আসি। তখন মুহতারাম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া ভাই –সহ ঢাকার উলামায়ে কেরামের সাথে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়। পরদিন দূরের সফর। তাই আরও কিছুক্ষণ অবস্থান শেষে শহর পানে রওয়ানা দেই।
মাহফিলে যাওয়ার সময় ইচ্ছে ছিলো, পরিচিত অনেকের সাথে সাক্ষাত হবে। এই ইচ্ছা আলহামদুলিল্লাহ্ অনেকটা পূরণ হয়।
জামেয়ার মুহতারাম শায়খুল হাদিস মাওলানা আব্দুস সত্তার দা. বা. (হেমুর হুজুর) –এর সাথে সাক্ষাত করে দুআ গ্রহণের সুযোগ হয়।
মুহতারাম কুতায়বা আহসান দা. বা. –এর সাথে সাক্ষাত এবং তাঁকে কেন্দ্র করে চা চক্র বেশ উপভোগ্য ছিলো। চা চক্রে আবু সাঈদ উমর চাচা, হাম্মাদ তাহমীম, নাতি আদিব আহমদ, সহপাঠী হুমায়দী হুসাইন, জাকির হুসাইন, সাদিকুর রহমানসহ আরও অনেকেই ছিলেন।
মাহফিলে সাক্ষাত হয় মুহতারাম আব্দুর রহমান কফিল ভাই -এর সাথে। অনেকদিন পুর আবু সালেহ ফাহিম ভাই’র সাথে সাক্ষাত ও আলাপচারিতার সুযোগ হয়। দয়ামির জামেয়ার মাশকুর ভাই, সামী ভাই, নাযিম সাহেব হুজুরের সাথেও সাক্ষাত হয়। অনেক ব্যস্ততার মাঝেও মীম সুফিয়ান ভাই –এর সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়। একনজর কথা হয় এহসান বিন সিদ্দিক এর সাথেও।
জাহিদ মুয়াজ্জম ভাই, হুসাইন আহমদ ফাহিম ভাই –এর সাক্ষাতের ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু নেটওয়ার্ক –এর জটিলতায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তবে সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ্য সময়ই কাটিয়েছি।
এতো বড় আয়োজন সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সহজ নয়। মুহতামিম সাহেব, আসাতিযায়ে কেরাম ও তোলাবায়ে এযামের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই আয়োজন পূর্ণতা পেয়েছে। আল্লাহ্ তায়ালা সবাইকে উত্তম বদলা দান করুন। জামেয়া গহরপুর আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে যাক, এই প্রত্যাশা।