অনলাইন ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসঊদ বলেছেন, সন্ত্রাসীর কোনো ধর্ম বা জাতি নেই, তার পরিচয় সে শুধুই সন্ত্রাসী।যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বুধবার এক মুক্ত আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাওলানা মাসঊদ বলেন, কোনো ধর্মই সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থাকে সমর্থন করে না। ইসলামও জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। এটি শান্তি, ন্যায় ও সহনশীলতার ধর্ম।
“আমি সারা জীবন ইসলামের খেদমত করেছি। কিন্তু বেদনাহত হই, যখন দেখি ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার ঘটনা ঘটছে।”
সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবেলায় জাতিসংঘের ভূমিকা আরও বিস্তৃত করারও আহ্বান জানান বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশ, নরওয়ে ও জর্ডানের উদ্যোগে জাতিসংঘের কাউন্টার টেরোরিজম ইমপ্লিমেন্টেশন টাস্কফোর্সের এই আলোচনায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বক্তব্য রাখেন।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকার সফলভাবে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ দমন করেছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গি-সন্ত্রাসীগোষ্ঠী যেন বাংলাদেশে ঘাঁটি গাড়তে না পারে তা নিশ্চিত করতেও প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
বাংলাদেশের ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ সন্ত্রাস ও মৌলবাদের পরিপন্থি বলে মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, “আলেম-ওলামাসহ সব স্তরের মানুষ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে।
“মৌলবাদ ও সহিংস চরমপন্থার বিস্তার রোধে তৃণমূল পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নকেও সরকার আরও শক্তিশালী করেছে।”
মুক্ত আলোচনায় নরওয়ের উপ-মন্ত্রী লায়লা বুখারি, জাতিসংঘে জর্ডানের স্থায়ী প্রতিনিধি সীমা সামি বাউজ, জাতিসংঘের কাউন্টার টেরোরিজম ইমপ্লিমেন্টেশন টাস্ক ফোর্সের (সিটিআইটিএফ) পরিচালক জাহাঙ্গীর খান ও নরওয়ের চলচ্চিত্রকার দিয়া খান অংশ নেন।
অনুষ্ঠান শেষে মাওলানা মাসঊদ বাংলাদেশের লাখো আলেমের স্বাক্ষর করা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী ফতওয়া নরওয়ের উপ-মন্ত্রী লায়লা বুখারির কাছে হস্তান্তর করেন। সূত্র. বিডি নিউজ।
.
ইআম