খতিব তাজুল ইসলাম :
বর্তমান দুনিয়ায় ক্রুশেডের নেতৃত্ব দিচ্ছে আমেরিকা। সাথী হিসেবে কখনো রাশিয়া কখনো বৃটেন কখনো ইউরোপ, চিন, জাপান, ইসরােঈল আছে। তাছাড়া ইরান, বাশার, পারভেজ মুশাররফ, সিসিরাও সহযোগিতা করছে। পাশে আছে ভারত, বার্মাসহ মুসলিম বিদ্বেষী কিছু দেশ। মুসলমানদের নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর সময় কই! তাই আমাদের জাগতে হবে!
নিজেদের দেশ জাতি রক্ষা ও নারী-শিশুদের জীবন বাঁচাতে আপনাকে কৌশলী বিচক্ষণ চৌকস মেধাবী জ্ঞানী গুনী হতে হবে। ‘আল্লাহ হেফাজতের মালিক’ বলে যারা বণী ইসরাঈলের মত হাত-পা গুটিয়ে বসে বসে মুক্তির আশা করছে, কিংবা রকেটের জামানায় ঢাল তলোওয়ারের গুনাগুন নিয়ে ব্যস্ত তারা দেখুক বার্মার আরাকানের মুসলমানদের করুন পরিণতি। পাশে একটি মুসলিম দেশ থাকা সত্বেও তাদের জন্য আমরা কিছুই করতে পারলাম না।
আল্লাহ তাআলার স্পষ্ট ঘোষণা- ‘তিনি কোন জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন ততক্ষণ পর্যন্ত করবেন না যতক্ষণ না তারা পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।’
ক্রুশেডাররা উদ্যোগ নিয়েছে যেভাবে নেয়া উচিত। তাই তাদের পাশে আল্লাহর নুসরত আছে যদিও জাগতিক। এটাই আল্লাহর নেজাম। আখেরাতে কী হবে না হবে ওটাতো পরের বিষয়। কারণ তারা ঐক্যবদ্ধ, তারা গবেষণায় রত, তারা স্বজাতির কল্যাণ নিশ্চিত করেছে, তারা তাদের সংকল্পে অটল অবিচল।
এর বিপরীত মুসলমানদের দিকে লক্ষ করুন; সেখানে আফসোস ছাড়া কিছুই চোখে পড়ে না। আমাদের শিশুদের সেই অধিকার নেই যে অধিকার তাদের কুকুরদের জন্য রয়েছে! আমাদের নাগরিকদের সেই অধিকার নেই, যে অধিকার তারা তাদের গৃহপালিত পশুদের দিয়েছে!
‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে এক হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে শক্ত করে ধরো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যেওনা’। এই আয়াতে করীমার সবচেয়ে মজাক উড়ানো তামাশা অবহেলা উদাসীনতার নিকৃষ্ট উদাহরণ শুধু মুসলমানরাই পেশ করেছে অন্য কেউ নয়। আত্মঘাতী এই জাতির জন্য কেবলই দুঃখ আর দুঃখ !!!