কমাশিসা ডেস্ক: ৫০ বছর বয়সি পিতা মুহাম্মদ আখলাক্বকে সাম্প্রদায়ীক হিন্দু সন্ত্রাসিরা ঘর থেকে ধরে এনে গরু গোশত খাওয়ার মিথ্যা অপরাধে ঘটনা স্থলেই হত্যা করেছে। মারাত্মক আহত করেছে ২২ বছর বয়সি তার পুত্র সন্তানকে। দিল্লির অদূরে উত্তর প্রদেশের দাদরি এলাকায় গত সোমবার রাতে কিছু হিন্দু জংগি যুবক পাশের আখড়া বা মন্দিরে গিয়ে এনাউন্স করে যে, অমুকের বাড়িতে গুমাংশ খাও হচ্ছে। সংগে সংগে প্রায় শতেক উত্তেজিত জনতা মুহাম্মদ আখলাকের বাড়ি এসে ঘেরাও করে। তাকে ও তার ছেলেকে ঘর থেকে ধরে এনে বাহিরে নিয়ে পিটাতে থাকে এক পর্যায়ে আখলাক ঘটনা স্থলেই প্রান হারান। ছেলেকে স্থানীয় হাসপাতালে মুমুর্ষাবস্থায় চিকিতসা চলছে। পুলিশ হামলাকারী ৬জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘরের ফ্রিজ থেকে গোশতের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মুহাম্মদ আখলাকের ১৮ বছরের মেয়ে জানান আমাদের ঘরে কোন গুমাংশ ছিলোনা। মিথ্যা প্রুফাগান্ডা রটিয়ে তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। আহত করা হয়েছে তার ভাইকে। ভারতে উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসিরা মুদির আগমনের পর বেপরুয়া হয়ে উঠেছে। কোন মুসলমানকে হত্যা করতে কিংবা ঘর বাড়ি জালিয়ে দিতে তাদের দলিল প্রমাণের প্রয়োজন পড়েনা। যখন তখন তারা মুসলমানদের উপর হামলে পড়ে। সরকার কোন সঠিক বিচার করেনা এই সব অপরাধের। মাত্র কিছুদিন আগে আসাম রাজ্যে এক দিন-মজুর যুবককে পুলিশের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে অতি নির্মম ভাবে পিটিয়ে হিন্দু সন্ত্রাসিরা তাকে হত্যা করে। অভিযোগ ছিলো সে নাকি এক হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। পরে পুলিশের তদন্তে বেরুয় ঘটনা পুরোপুরি মিথ্যা বানোয়াট। এভাবে দিনদিন ভারতে মানবাধিকারের অবস্থা করুন হয়ে দাড়িয়েছে। হিন্দু জংগিরা যে কোন ছুতুয় চায় মুসলমানদের রক্তপাত। পরিস্থিতি খুবই নাজুক।
সুত্র:jandkheadlines.com