বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৫:১৩
Home / আকাবির-আসলাফ / শায়খে বালিদারী ও জামেয়া দিনারপুর

শায়খে বালিদারী ও জামেয়া দিনারপুর

আকাবির আসলাফ ৩৮

ফারহান আরিফ :

যে সমস্ত মনীষীর নাম শুনলে আজো মানুষ চোখের অশ্রু ঝড়ায়, তাঁদের পুণ্য কর্মগুলো শ্রদ্ধা ও ভক্তির সাথে স্মরণ করে, তারা মরেও আজ সবার কাছে চিরঅমর। যাদের জন্ম হয়েছে মানুষকে আলো দেখাতে, হাত ধরে বিপদগামী মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দিতে। তেমনি এক মহামনীষীর কথা আজো দেশের মানুষ অত্যন্ত শ্রদ্ধার ও ভক্তির সাথে স্মরণ করে। যার সুকর্ম, হাজারো স্মৃতি আজো মানুষের কাছে বেঁচে থাকার নিয়ামতের পিয়ালা। একজন নিখুঁত ও খাটি ওলি হিসেবে দেশের মানুষ যাকে ভালবাসত তিনি হলেন মরহুম মাওলানা শায়েখ আব্দুল হাই শায়খে বালিদারি রহ.।

বাংলাদেশের বিখ্যাত হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী দিনারপুর অঞ্চলে ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে এক মহেন্দ্রক্ষণে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে নিয়ে পড়াশোনার প্রতিটি স্থর ছিল ঈর্ষা করার মত। একজন মেধাবী তালিবুল ইলম হিসেবে তিনি ছিলেন অনন্য ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী। প্রতিটি উস্তাদের কাছে তিনি ছিলেন নজরবন্দি ও অফুরন্ত স্নেহের পাত্র।
ইলমে ওহির জ্ঞান হাসিলের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি পড়াশোনা করেছেন অত্যন্ত মনযোগী হয়ে। আল্লাহ তা’আলাকে সন্তুষ্ট করতে ইলিম হাসিলের উদ্দেশ্য বাল্যকাল থেকেই লক্ষণীয় ছিল।

সর্বশেষ সিলেটের প্রাচীনতম -সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ইলিম অর্জনের জন্য গমন করেন সুদূড় ভারতের বিখ্যাত মাদ্রাসা শাহারানপুরে। সেখানে জগতবিখ্যাত আলেম ও পণ্ডিতদের কাছ থেকে ইসলামি ইলিম শাস্ত্রের বড় বড় কিতাবাদী অত্যন্ত মনযোগ ও দক্ষতার সাথে শেষ করেন। সেখানে তিনি হাদীস, তাফসীর, ফেক্বাহ, মানতিক, উসুলে ফেক্বাহ ও বিভিন্ন বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিতাবাদী অধ্যায়নকরত দাওরায়ে হাদীসে ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।

এখানকার উল্লেখযোগ্য উস্তাদগণের মধ্যে বুখারী শরীফের অন্যতম ভাষ্যকার আল্লামা জাকারিয়া সাহারনপুরী অন্যতম। দাওরায়ে হাদীসে ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ইলমে হাদিসে আরও অধিক পরিতৃপ্তি লাভের জন্য মুসলিম মিল্লাতের প্রাণকেন্দ্র ইলমে দ্বীনের শ্রেষ্ঠ মশালবাহী বিশ্বের অন্যতম বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দে উলমুল কুরআন ওয়াল হাদীস ও আধ্যাত্মিক তথা সুলুক শাস্ত্রে জ্ঞান অর্জনের জন্য সর্বপ্রথম শায়খুল আরব ওয়াল আজম আল্লামা সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন। দারুল উলুম দেওবন্দে ১ বছর ইলমে হাদীসের সর্বোচ্চ কিতাবাদী- বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিজি শরীফ, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাযাহ, তাহাবী, মুয়াত্তা ইমাম মালিক ও মুয়াত্তা ইমাম মুহাম্মদসহ অন্যান্য কিতাবাদী কৃতিত্বের সাথে অধ্যয়ন করেন।

এখানকার উল্লেখযোগ্য উস্তাদগণ হলেন, হযরত মাদানী রহ., আল্লামা ইজাজ আলী শায়খুল আদব রহ., আল্লামা ইব্রাহীম বালীয়াভী রহ.। সহপাঠীদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় মসজিদের সাবেক খতিব আল্লামা উবায়দুল হক্ব রহ. বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে উচ্চশিক্ষা লাভের পর আল্লামা শামসুল হক ফরিদপরী রহ. এর প্রতিষ্ঠিত গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় শিক্ষকতার জন্য ডাক আসে। এখানে অত্যন্ত সুনামের সাথে দুই বছর যাবৎ অধ্যাপনা করেন। পরে সেখান থেকে বরিশাল সাতকানিয়া মাদ্রাসায় আরও এক বছর দারস দেন।
এরপর হবিগঞ্জ জেলা নবীগঞ্জ থানার ইমামবাড়ি টাইটেল মাদ্রাসায় ইলমে ওহির জ্ঞান বিকিরণে নিজেকে ব্যাপৃত করে রাখেন। মরহুম শায়খে বালিদারি দারস ও তাদরীসের পাশাপাশি দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে দ্বীন ও ইসলামের সুমহান আদর্শ প্রচার করতে বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ নসিহতে যেতেন। বছরের বেশির ভাগ সময় হযরত ওয়াজ নসিহত করার জন্য বিভিন্ন স্থানে সফরে থাকতেন।
একবার মৌলভীবাজার এক মাদ্রাসার বার্ষিক সম্মেলনে একত্রিত হন হযরত শায়খে বাঘা রহ., শায়খে রায়পুরী, রহ., হযরত শায়খে বরুনী রহ.। হযরতত্রয় শায়খে বালিদারিকে বারবার তাগিদ দিচ্ছিলেন, তিনির জন্মভূমি দিনারপুরে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার জন্য। কিন্তু হযরত সাহস পাচ্ছিলেন না। একদিকে জাতি ইসলামি শিক্ষাবিমুখ অন্যদিকে সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে শিরিক বিদাতসহ নানা সমস্যায় আক্রান্ত। এই মুহূর্তে এলাকায় একটি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা জরুরী হয়ে গেছে বলে মনে করেছিলেন।
মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে কিভাবে চালাবেন, কোথায় করবেন, কে স্থান দিবে; এই ধরনের চিন্তা ভাবনা মাথায় নিয়ে হযরত সাহস করতে পারছিলেন না। একদিকে প্রয়োজনীয়তার কথা ভাবছেন অন্যদিকে সাহস সঞ্চয় করার চিন্তা ভাবনা করছেন।

হযরত শায়খে বালিদারি একদিন রাতে স্বপ্নে  দেখলেন, হযরত হুসাইন আহমদ মাদানি রহ.কে। তিনির সাথে রয়েছেন হযরত শায়খে বাঘা রহ. ও হযরত শায়খে রায়পুরি রহ.সহ বাংলাদেশের তৎকালীন শীর্ষস্থানীয় বুজুর্গানে দ্বীন, যারা বর্তমানে জামেআর চতুর্সীমা হাত ও লাঠি দিয়ে দেখাচ্ছেন এবং শায়খে বালিদারিকে এখানেই মাদ্রাসা করার নির্দেশ দিচ্ছেন। এদিন রাতেই ঘুম থেকে উঠে চিন্তায় পড়ে গেলেন। বার বার স্বপ্নে দেখা তাদের দৃশ্যগুলো চোখে সামনে ভাসছে।
সেই স্বপ্ন দেখার পর আর স্থির হয়ে থাকতে পারেন নি। ব্যাকুল হয়ে গেলেন এইভভূমিতে মাদ্রাসা করার জন্য। সকালবেলা দৌড়াদৌড়ি ছুটাছুটি করতে লাগলেন ভুমি মালিকদের কাছে। আশানুরূপ সাড়া না পেলেও হযরত হাল ছাড়েন নি। মাদানির নির্দেশমত এখানেই প্রতিষ্ঠান করার জন্য নিজেও স্থির করলেন।

অনেক চড়াই উৎরাই বাধা-বিপত্তি আর্থিক সমস্যাসহ সবকিছু কাটিয়ে কিছুদিন পর থেকে এই ভুমিতেই স্বপ্নের মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হতে লাগল। ১৯৫৪ সালে ঐতিহ্যবাহী দিনারপুর অঞ্চলে জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া যাত্রা শুরু করে। বৃহত্তর সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার একটি শ্রেষ্ঠ ও সুপরিচিত মাদ্রাসা এটি। লেখা ড়ার দিক দিয়ে এই মাদ্রাসাটি নিজের গৌরব স্বাতন্ত্র বজায় রেখে দীর্ঘদিন যাবৎ ইলমে ওহির নূর বিকিরণ করে শত শত আলেম উলামা মুফতি মুহাদ্দিস মুফাসসিররের জন্ম দিয়েছে এই মাদ্রাসা।

নবীগঞ্জ উপজেলার এশিয়ান হাইওয়ের পাশাপাশি দিনারপুর দেবপাড়া বাজারে এটি অবস্থিত। বর্তমানে এই মাদরাসাটি নূরানী (নার্সারি) বিভাগ থেকে নিয়ে হিফজ বিভাগসহ ছানাবিয়া ৩য় বর্ষ (মিশকাত) পর্যন্ত রয়েছে। চার একর জায়গা নিয়ে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে কয়েকটি বিশাল বিশাল ভবনে বর্তমানে শিক্ষাদান চলে আসছে। কিছুদিন আগে মাদ্রাসার পশ্চিম পার্শে নিজস্ব জায়গায় রাজকীয় ডিজাইনে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। আধুনিক সাজে সুন্দর এই মসজিদটির নাম রাখা হয়েছে জামিউল বিসরিছ্ছানি।
বর্তমানে এই মাদ্রাসায় প্রায় ৬০০ জন ছাত্র-ছাত্রী, মোট ৩৫ জন শিক্ষক ও দুইজন কর্মচারী নিয়ে মাদ্রাসা পরিচালিত হচ্ছে।
শায়খে বালিদারির ছাহেবজাদা বর্তমান সিলেট দরগাহ হযরত শাহজালাল জামে মসহিদের খতিব হাফেজ মাওলানা আসজদ আহমদ এই মাদ্রাসার মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন শায়খের ওফাতের পর থেকে। হযরত শায়খে বালিদারি ছিলেন আল্লাহ প্রদত্ত নবীজীর রেখে যাওয়া দ্বীনের একনিষ্ঠ দায়ী ও শ্রেষ্ঠ প্রচারক।

বিশাল মাদ্রাসা পরিচালনার পাশাপাশি দেশবিদেশে সুললিত কণ্ঠে ওয়াজ-নসিহত মানুষদেরকে সঠিক পথের দিকে পরিচালনা করতেন অষ্টপ্রহর। সমাজের যাবতীয় কুসংস্কার, শিরিক-বিদাত, স্বঘোষিত মাজার পুজারি ও ভণ্ডপিরদের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বলিষ্ট সিংহপুরুষ ও আপোষহীন মরদেমুজাহিদ। যে কোন বাজারে গমন করলে ভয়ে মানুষরা তর তর করে কাঁপত, টেপ রেডিও ও টেলিভিশন বন্ধ করে লুকিয়ে রাখতে বাধ্য হত। ইসলামের আদর্শ দিয়ে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন সমাজ গঠনে সদা স্বপ্ন দেখতেন শায়খে বালিদারি। এজন্য সমাজের উঁচু নিচু সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আপন ভাইদের মত উঠাবসা করতেন। সবাইকে সুনজরে দেখার পাশাপাশি পারিবারিকভাবেও খোঁজখবর নিতে কখনো ভুলতেন না। সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে তিনি ছিলেন অমূল্য সম্পদ ও শ্রদ্ধার পাত্র। দেশ বিদেশের সব মানুষ অন্তর থেকে তাঁকে মুহাব্বাত করতেন। নিজ ঘর থেকে বাহির হলে রাস্থায় মানুষদের কে সালাম কালাম, মুসাফা মুয়ানাকা যাবতীয় খুজ খবর নিতে এখানেই ঘণ্টা দুইঘণ্টা সময় চলে যেত। মোটকথা যুগশ্রেষ্ঠ ওলি ও দ্বীনের খাটি দাঈ হিসেবে শায়খে বালিদারি ছিলেন সর্বদিক দিয়ে অগ্রগণ্য সুপরিচিত মুখ। তিনির রেখে যাওয়া হাজার হাজার ভক্তকুল হাজার হাজার ছাত্র শিক্ষক গুণগ্রাহী আত্বিয়স্বজন  আজো শ্রদ্ধা ও ভক্তির সাথে ওলিকে স্মরণ করে।

তিনির রক্তে মাংসে গড়া জামেয়া আজো আমাদের কাছে শ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে। দ্বীনের সঠিক ইলিম আমল মানুষের অন্তরে পৌছে দিতে সর্বক্ষণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই জামেয়া।
হযরত শায়খে বালিদারির আকস্মিক মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারেনি। মৃত্যুর আগের দিনও নিজ মাদ্রাসায় এসে উস্তাদদেরকে নিয়ে বসেছেন, চা নাস্তা করেছেন খোশ মেজাজে। কেউ ভাবতে পারেনি আগামীকাল মাওলায়ে কারিমের ডাকে তাঁকে সাড়া দিতে হবে পরপারে।
মৃত্যুর আগেও মাদ্রাসার প্রতি তাঁর অগাদ ভালবাসা ছিল লক্ষণীয়। রাতে যখন তিনি অসুস্থ হন, পারিবারি ডাক্তার এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট বড় হাসপাতালে প্রেরণের জন্য অনরোধ করেন। সকালে যখন সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন, এমন সময় তিনির জামাতাকে বললেন মাদ্রাসার রশিদ বই সাথে নেওয়ার জন্য। সিলেট থেকে সুস্থ হয়ে আসার সময় তিনি নিজে চাঁদা কানেকশন করবেন। মৃত্যুর আগে তিনির এই প্রেম দেখে সবাই হতভাগ।
কিন্তু সিলেট আর যাওয়া হয়নি। দুনিয়াতে থেকে জীবনের শেষ চাঁদা কানেকশনও আর হয়নি। সিলেট হাসপাতালে যাওয়ার পথে মহান রবের সাথে সাক্ষাতের জন্য মুখ দিয়ে তিন বার আল্লাহ বলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০০১ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গবার সকাল ৯.৪০ মিনিটে হযরতের অফাত হয়।

মৃত্যুর সময় তিনির বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি দুই ছেলে চার মেয়ে ও হাজার হাজার ভক্ত, ছাত্র-শিক্ষক, আত্বীয় স্বজন রেখে মৃত্যুবরণ করেন। পা থেকে মাথা পর্যন্ত সুন্নতে নববীর পূর্ণ আদর্শ তিনির জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্র ও সময় ইসলামের সৌন্দর্য দিয়ে রাঙিয়ে ছিলেন।
এই ক্ষুদ্র পরিসরে শায়খে বালিদারির বর্ণাঢ্য জীবন লিপিবদ্ধ করা সম্ভব নয়। তিনির জীবনের প্রতিটি স্থর থেকে শিক্ষণীয় বহু জিনিষ রয়েছে আমাদের জন্য। ভবিষ্যতে সময় হলে ইনশাআল্লাহ শায়খে বালিদারির জীবনী দিয়ে গ্রন্থ করার ইচ্ছা আছে। আল্লাহপাক আমাদের তাওফিক দান করুন।

পরিশেষে বলতে চাই, হে আল্লাহ! আপনি মায়া করে আপনার বান্দাকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন (আমীন)

লেখকঃ ফারহান আরিফ।
কমাশিসা সিনিয়র প্রতিনিধি।
শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, এম.সি কলেজ সিলেট।

আরও পড়ুন : আকাবির আসলাফ ৩৭-মাওলানা আবদুর রহীম: চিন্তাবিদ ও রাজনীতিক

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...