কমাশিসা : গত ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট ইনস্টিটিউটে কবি ও সঙ্গীত শিল্পী মুহিব খান তার দল ন্যাশনাল মুভমেন্টের ১৬ দফা ঘোষণা করেছেন। স্বাধীনতা, সুশাসন, উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও গণঅধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উন্নত, আধুনিক, ন্যায়তান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে দলটির।
কওমি মাদরাসায় দাওরায়ে হাদিস শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক কবি মুহিব খান। লেখালেখি, সাংবাদিকতা ও ইসলামি সঙ্গীত তার কর্ম। লাল সাগরের ঢেউ লিখে প্রকাশ করেছেন কাব্য প্রতিভা। কুরআনের পূর্ণাঙ্গ কাব্যানুবাদ তার উল্লেখযোগ্য কাজের একটি। গানে গানে তৈরি করেছেন অগণিত ভক্ত। খ্যাতি অর্জন করেছেন দেশের বাইরেও। চলতি বছর থেকে তিনি ন্যাশনাল মুভমেন্ট নামের একটি আন্দোলনের সূচনা করেছেন।
ন্যাশনাল মুভমেন্ট নামের আন্দোলনটির আনুষ্ঠানিকভাবে ১৬টি দফা পেশ করেছেন গেল শুক্রবার। এ ১৬ দফায় রয়েছে ৬৪ টি প্রস্তাবনা। জনমনে বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। কী আছে মুহিব খানের এ ১৬ দফায়। আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য ১৬ দফার বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
দফা-১ বাংলাদেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যাবস্থা ও অগ্রণী পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ক): বিদেশী সেনা কর্তৃক সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা ও নির্যাতন বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ও কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হবে। শতভাগ নিরাপত্তা, পর্যাপ্ত নিরিক্ষণ-ব্যবস্থা এবং জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার পূর্ণ নিশ্চয়তা ছাড়া দেশের ভেতরে বা সীমানায় বিদেশকে কোনো প্রকার ট্রানজিট সুবিধা দেয়া যাবে না।
প্রস্তাবনা-(খ): সীমান্তরক্ষী ও সামরিক বাহিনীকে নিবিড় দেশাত্মবোধ ধার্মিকতা নৈতিকতা ও সাহসিকতায় উন্নীত এবং আধুনিক অস্ত্র ও কৌশলে অত্যন্ত শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। নিয়মিত সামরিক মহড়ায় সক্রীয় রাখতে হবে এবং অনিবার্য জাতীয় প্রয়োজন ছাড়া দেশের সাধারণ কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা যাবে না। ‘পারতপক্ষে যুদ্ধ নয়, আক্রান্ত হলে ছাড় নয় ’ এ তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(গ): ১৮ থেকে ৩০ বছরের সকল বাংলাদেশী সুস্থ সক্ষম তরুণ নাগরিকের জন্য সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যায় ও ব্যাবস্থাপনায় সাধারণ সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহন বাধ্যতামূলক করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ঘ): প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সঠিক তালিকাভূক্ত করে বিশেষ মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি- জাতি ও প্রজন্মের সামনে শহীদ পরিবারগুলোকে সঠিকভাবে নির্ণীত ও সম্মানিত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধকালে সারাদেশে শহীদ ও গুম হয়ে যাওয়া মানুষদের পুঙ্খানুপুঙ্খ সুস্পষ্ট তালিকা তৈরী ও প্রকাশ করতে হবে।
স্বাধীনতাবিরোধী ব্যাক্তি গোষ্ঠী শক্তি এবং বিদেশী শক্তির আজ্ঞাবহ দেশবিরোধী দালাল চক্রকে চিহ্ণিত উন্মোচিত ও নির্মূল করতে হবে। সুনির্দিষ্ট সুস্পষ্ট অকাট্য প্রমাণ সহকারে দেশী বিদেশী সকল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ন্যায়সংগত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী আগ্রাসী দেশসমূহের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও কৌশলী অনুপ্রবেশ কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে।
দফা-২ জনগণের ধর্মীয়-বিশ্বাস, জাতীয়-চেতনা ও সামাজিক-মূল্যবোধের সঙ্গে পূর্ণ সামঞ্জস্য রেখে সংবিধান, আইন ও বিচারব্যাবস্থা পূণ:মূল্যায়ণ করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ক): মানুষের জীবনের সর্বোচ্চ পালণীয় ও চূড়ান্ত অলংঘণীয় বিশ্বাস আইন ও বিধান হল তার ধর্ম। কাজেই জনগণের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকারকে সংবিধানের সর্বত্র সুস্পস্টভাবে সবিস্তারে সুরক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত রাখতে হবে এবং জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস চেতনা মূল্যবোধ আইন ও বিধিবিধানের সঙ্গে পূর্ণ সাংঘর্ষিক বা আংশিক অসামঞ্জস্যপূর্ণ বা দ্বান্দ্বিক ও অস্পষ্ট সকল শব্দ বাক্যাংশ বাক্য বক্তব্য ও বিষয় সংবিধান থেকে বাতিল বা সংশোধন বা পূণর্বিন্যাস করতে হবে।
এছাড়াও উদ্দেশ্যগত দ্বন্দ্ব ও সংশয়পূর্ণ অন্যান্য সকল শব্দ বাক্যাংশ বাক্য বক্তব্য ও বিষয়েরও সঠিক ব্যাখ্যা উল্লেখ বা ভাষাগত সংশোধন ও পরিবর্তন করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(খ): জনগণের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখতে দেশে সাধারণ আইন বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও আদালতের নিকট কোনো ফরিয়াদী যে কোনো বিষয়ে তার নিজস্ব ধর্মীয় বিধানানুযায়ী ন্যায়বিচার প্রার্থী হলে তাকে তা প্রদানের আইনি সুযোগ রাখতে হবে।
প্রস্তাবনা-(গ): সকল প্রকার বিচার বৈষম্য দূর করত: সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং মামলার গুরুত্ব ও বিচারপ্রার্থীর অসহাযত্ব বিবেচনায় বিশেষ ব্যবস্থায় বিচারপ্রক্রিয়া তরান্বিতকরণ ও চূড়ান্ত রায় দ্রুত বাস্তবায়নের কার্যকরী বিধান রাখতে হবে।
বিচারিক ও উচ্চ আদালতে অনাকাঙ্খিত মামলাজট লাঘব করতে ও মানুষের দোরগোড়ে আইনি সেবা পৌছে দিতে সরাসরি বিচারপতি নিয়োগের মাধ্যমে দেশের প্রতি উপজেলায় স্যোশাল কোর্ট’ (সামাজিক আদালত) ও প্রতি ইউনিয়নে ‘মেডিয়শেন কোর্ট’ (শালিসি আদালত) প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কতিপয় গুরুতর অপরাধ ব্যাতিত অন্যসব সাধারণ মামলা কিছু মেডিয়েশন কোর্টে (শালিসি আদালত) এবং কিছু আপিল সাপেক্ষে স্যোশাল কোর্টেই (সামাজিক আদালত) নিস্পত্তি করতে হবে।
সেইসাথে অসংখ্য মিথ্যা মামলার চাপ প্রশমনে- আদালত কর্তৃক প্রমাণিত মিথ্যা, সাজানো বা উদ্দেশ্য ও হয়রানিমূলক মামলার বাদী সাক্ষী ও সহযোগীদেরকে অানীত অভিযোগের হুবহু শাস্তি প্রদানের বিধান করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি কেবল রাষ্ট্র ও সরকারবাদী মামলার সাজা ব্যতিত অন্যান্য মামলার সাজা সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষের ক্ষতিপূরণপ্রাপ্তি/সন্তুষ্টি/অনুমতি ছাড়া ক্ষমা করার ক্ষমতা রাখবেন না।
প্রস্তাবনা-(ঘ): বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলকে আন্ত:বিচার-বিভাগীয় প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা অর্পণ করতে হবে এবং আদালতের নির্দেশ তামিল ও পরোয়ানা বাস্তবায়নের জন্য বিচার-বিভাগের অধীনে স্বতন্ত্র পুলিশ ডিপার্টমেন্ট চালু করতে হবে।
বিচারক ও আইনজীবিদের সর্বোচ্চ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেইসাথে পেশাগত কাজে তাদের অসততা, প্রতারণা, দুর্নীতি ও অন্যায়ের জন্য সাধারণ অপরাধীর দ্বিগুণ জেল-জরিমানা ও দ্রুতবিচারে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তিবিধান করতে হবে।
দফা-৩ জনগণের জীবন, সম্পদ, সম্মানের পূর্ণ-নিরাপত্তা ও সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ সক্রীয়তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ক): আইন-শৃঙ্থলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উন্নত জীবনমান উপযোগী বেতন ভাতা ও সুবিধাদি প্রদানের পাশাপাশি বিশেষ মেধা নিষ্ঠা ও সাহসিকতার জন্য নগদ মূল্যবান পুরস্কার ও পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। দায়িত্বপালনরত অবস্থায় মৃত্যু হলে তার পরিবারের আর্থিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠার পূর্ণ দায়িত্ব রাষ্টীয়ভাবে গ্রহন করতে হবে এবং কর্তব্যে অবহেলা, অসততা, প্রতারণা ও গুরুতর অন্যায়ের জন্য সাধারণ অপরাধীর দ্বিগুণ জেল জরিমানা ও দ্রুতবিচারে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বিধান করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(খ): আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে পরিক্ষামূলক নিয়োগপ্রাপ্তির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যুনতম স্নাতক নির্ধারণসহ পারিবারিক সততার ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে। পরিক্ষামূলক নিয়োগের ৫ বছর পর নিয়োগ চূড়ান্ত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(গ): আইন-শৃঙ্থলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত অস্ত্র প্রশিক্ষণ পরিবহন ফাড়ি এবং নিরবিচ্ছিন্ন তথ্য ও টহলের মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিককে দিবারাতি সমভাবে তার আবাসস্থল চলাচল ও কর্মস্থলে শতভাগ নিরাপত্তা দিতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ঘ): সামাজিক অন্যায়-অবক্ষয় নিরসন ও মানুষের দোরগোড়ে নিরাপত্তাসেবা পৌছে দিতে স্যোশাল পুলিস ও কমিউনিটি পুলিস প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দফা-৪ জনগণের ধর্ম-বিধান ও কাঙ্খিত জীবনমান উপযোগী অর্থ ও ব্যাংকিং ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে হবে এবং জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষি শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতকে সমগুরুত্ব ও পৃষ্ঠপোষকতায় সমন্বিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ক): জনগণের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখতে দেশে সাধারণ অর্থ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও কোনো নাগরিক তার নিজস্ব ধর্মীয় বিধানানুযায়ী যাবতীয় অর্থ বাণিজ্য ও লেনদেন পরিচালনায় ইচ্ছুক হলে তাকে সেই সুযোগ প্রদানের পূর্ণ-ব্যবস্থা রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকসমুহে রাখতে হবে।
প্রস্তাবনা-(খ): রাষ্ট্র কর্তৃক নাগরিকের সার্বিক সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর, নাগরিকের বিভিন্ন সম্পদ ও অর্থকরি খাতের উপর রাষ্ট্র-আরোপিত করের পরিমাণ যথাসম্ভব কম নির্ধারণ করে করদাতার পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্য ও কৌশলকে প্রাধান্য দিতে হবে।
প্রস্তাবনা-(গ): রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে বিপুলসংখ্যক নিম্ন ও মধ্যবিত্ত নাগরিককে ব্যাপকহারে সুদমুক্ত ও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষুদ্র-কৃষি, ক্ষুদ্র-শিল্প ও ক্ষুদ্র-বাণজ্যি রিন প্রদানের মাধ্যমে দেশের সমস্ত ভুমি-জলাভূমি ও সৃষ্টিশীল উপাদানকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় উৱপাদন ও রপ্তানি বৃ্দ্ধি করতে হবে এবং যথাসম্ভব বিদেশী পণ্য আমদানি কমিয়ে দেশীয় ক্ষুদ্র মাঝারি বৃহত শিল্পের প্রভূত উন্নয়ন ও পর্যাপ্ত উৱপাদন ঘটিয়ে নাগরিকের উপর দেশীয় পণ্য ক্রয় ও ব্যাবহার আবশ্যিক করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ঘ): সম্পূর্ণ পৃথক পরিকল্পিত কৃষিভূমি ও শিল্পাঞ্চল নির্ধারণসহ নিরাপদ বাণিজ্য-ব্যাবস্থা, জনশক্তি ও পর্যটন সম্প্রসারণের মাধ্যমে সুসমন্বিত বহুমুখী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। কোন বিশেষ একটি খাতের উপর পুর্ণভাবে অর্থনৈতিক নির্ভরশীল হওয়া যাবে না।
দফা-৫ জনগণের ধর্মীয়-বিশ্বাস জাতীয়-চেতনা ও সামাজিক-মূল্যবোধের সঙ্গে পূর্ণ সামঞ্জস্য রেখে বিশ্বমানের কল্যাণমুখি শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি বিনোদন ও জাতীয় চরিত্র বিনির্মাণ করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ক): জনগণের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখতে রাষ্ট্রীয় শিক্ষাব্যবস্থায় ন্যুনতম মাধ্যমিকশ্রেণী পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষা ও পর্যাপ্ত নৈতিক জ্ঞানলাভ নিশ্চিত করতে হবে এবং আগ্রহীদের উচ্চতর ধর্মীয় শিক্ষা ও গবেষণারও সুযোগ রাখতে হবে।
বেকার উচ্চশিক্ষিতের চাপ কমাতে প্রায় শতভাগ নকলমুক্তভাবে, সর্বোচ্চ মেধা যাচাই উপযোগী প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে, পাস নাম্বার ৫০ নির্ধারণ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পরিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এসব পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারা শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে নিজের ও দেশের কল্যাণে অন্যান্য পেশাগত দক্ষতায গড়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে হবে।
প্রস্তাবনা-(খ): ধর্মাবমাননা, অশ্লীলতা ও সাম্প্রদায়িক দুরভিসন্ধিমুক্ত বিশ্বমানসম্পন্ন সার্বজনীন আধুনিক জাতীয় পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করাসহ শিক্ষার্থীদের মানসম্মত থাকা খাওযা, নির্মল বিনোদন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস অপরাজনীতি বন্ধসহ চরিত্রহীনতা ও অনৈতিক-অসামাজিক চর্চা-বিস্তারে সহায়ক সহশিক্ষা বন্ধ করে ছাত্র-ছাত্রীদের পৃথক নিরাপদ স্বাধীন শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। প্রাথমিক, নারী ও গণশিক্ষার উপর বিশষে গুরুত্বারোপ করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(গ): পবিত্র নির্মল ও আত্মমর্যাদাশীল জাতীয় চরিত্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে ও নতুন প্রজন্মের নৈতিক অবক্ষয় ও চারিত্রিক অধ:পতন রোধে দেশের শিল্প সাহিত্য সমাজ সংস্কৃতি বিনোদন ও গণমাধ্যমের সকল শাখায় সকল প্রকার অসভ্যতা নগ্নতা যৌনতা ও অশ্লীলতা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে চরম শাস্তিমূলক আইন প্রনয়ন করতে হবে।
সার্বজনীন জাতীয় উৱসবসমূহ-সহ দেশীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক আয়োজনসমূহকে বিজাতীয় সংস্কৃতি ও সাম্প্রদায়িক দুরভসিন্ধিমুক্ত করতে হবে। দেশীয় উৱসব আয়োজনে বিদেশি শিল্পীদেরকে প্রাধান্য দেয়া যাবে না। দেশীয় প্রেক্ষাগৃহে বিদেশি চলচ্চিত্র ও দেশীয় টিভি চ্যানেলে বিদেশি নাটক সিরিয়াল অনুষ্ঠান প্রচার করা যাবে না। অশ্লীল, আপত্তিকর, চরিত্রবিধ্বংসী সকল বিদেশি টিভি চ্যানেল, ওয়েবসাইট, নাইট ক্লাব, বার ও ক্যাসিনো বন্ধ ও নিষিদ্ধ করে দিতে হবে।
বিদেশী ভাষার আগ্রাসন ও ভাষাবিকৃতি হতে বাংলাভাষাকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও কঠোর শাস্তিবিধান রেখে ‘রাষ্ট্রভাষা সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ঘ): বিদেশী খেলাধূলার চেয়ে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলার চর্চাকে প্রাধান্য দিতে হবে। তারুণ্যের মূল্যবান সময় শক্তি ও কর্মোদ্যম ক্ষয়কারী, ধর্মীয় অনুশাসন বিঘ্নীতকারী ও নৈতিক চরিত্রবিনষ্টকারী সকল অশ্লীল ও অপ্রয়োজনীয় খেলা নিষিদ্ধ করতে হবে।
দফা-৬ নারী, শিশু, প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের তুলনামূলক সুবিধা, আজীবন নিরাপত্তা, মৌলিক স্বাধীনতা ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ক): নারীদের সম্মানজনক ভরণ-পোষণের দায়িত্ব বিয়ের আগে পিতার/আপন বড়ভাইদের/ আপন চাচাদের/ আপন মামাদের, বিয়ের পর স্বামীর ও স্বামীর মৃত্যু বা অবসরের পর পুত্রদের/ আপন বড়ভাইদের/ আপন ভতিজাদের/ আপন ভাগিনাদের উপর অলঙ্ঘনীয়ভাবে আবশ্যিক করতে হবে। সকলের অবর্তমানে বা আইনসম্মত যৌক্তিক অপারগতায় সরকারকেই পূর্ণদায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
নারীর ধর্মীয় অনুশাসন, সামাজিক মূল্যবোধ ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্টের সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল সরকারি বেসরকারি সকল উন্নত কর্ম পেশা ও পদবীতে নারীদেরকে শিক্ষা ও যোগ্যতাভিত্তিক সম্মানজনক নিযোগপ্রাপ্তির সুযোগ দিতে হবে। সংরক্ষিত কোটা বা ছাড় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নারীকে করুণা ও উপহাসের পাত্রে পরিণত করা যাবে না।
শিক্ষার্থী ও কর্মজীবি নারীদের বাসস্থান থেকে শিক্ষাঙ্গন বা কর্মস্থল পর্যন্ত উত্যক্তকরণ অসম্মান ও হয়রানীর সম্ভাবনা থেকে মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পাড়া-মহল্লায় কমিউনিটি পুলিস, রাজপথে নারী চালক হেলপার ও কন্ডাক্টার পরিচালিত বিশেষ মহিলা বাস, শিক্ষাঙ্গনে (হাইস্কুল থেকে ভার্সিটি পর্যন্ত) মেয়েদের জন্য নারী/প্রবীণ শিক্ষক ও ছেলে-মেয়েদের পৃথক টাইমে পৃথক ব্যাচে ক্লাস এবং নারীপ্রধান অফিস কারখানায় নারী সুপারভাইজার, ম্যানেজার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারি নিয়োগ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
মেয়েদের বিয়ের ন্যুনতম বয়স ১৬ বছর (এবং ছেলেদের ২০ বছর) নির্ধারণ করতে হবে। এর আগে বিয়ে দিতে চাইলে প্রস্তাবিত মেডিয়েশন কোর্ট (সালিশি আদালত) থেকে উপযুক্ত কারণ ও প্রয়োজন প্রমাণ করে আইনী অনুমোদন গ্রহনের বিধান রাখতে হবে।
প্রস্তাবনা-(খ): ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ভরণ-পোষণ ও শিক্ষা-তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পিতার/ আপন বড়ভাইদের/ আপন চাচাদের/ আপন মামাদের উপর অলঙ্ঘনীয়ভাবে আবশ্যক করতে হবে। সকলের অবর্তমানে বা আইনসম্মত যৌক্তিক অপারগতায় সরকারকেই পূর্ণদায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ অবৈতনিক এবং সরকারি চিকিৱসাসেবা ও বিনোদনব্যবস্থা সম্পূর্ণ ফ্রি করতে হবে। ১৮ বছরের আগে ঝুকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(গ): প্রবীণদের সম্মানজনক ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পুত্রদের/ আপন নাতিদের/ আপন ভাতিজাদের/ আপন ভাগিনাদের উপর অলঙ্ঘনীয়ভাবে আবশ্যক করতে হবে। সকলের অবর্তমানে বা আইনসম্মত যৌক্তিক অপারগতায় সরকারকেই পূর্ণদায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। কোনো পারিবারিক দায়িত্বশীল বর্তমান থাকা অবস্থায় প্রবীণদের কোনোক্রমেই বৃদ্ধাশ্রমে স্থানান্তর করা যাবে না এবং ৬০ ঊর্ধ্ব প্রবীণদের সরকারি চিকিৱসা সেবা সম্পূর্ণ ফ্রি করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ঘ): মানসিক ও শারিরিক প্রতবিন্ধীদের পারিবারিক নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করত: যথাসম্ভব সুস্থ শিক্ষিত ও কর্মক্ষম করে তোলার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। পূর্ণ অক্ষমদের সম্মানজনক সরকারী ভাতা প্রদান বা পূণর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
হিজড়া সম্প্রদায়ের নাগরিক ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন ও সামাজিক মূল্যবোধ অনুসরণে উৱসাহিত ও অভ্যস্ত করে তুলে স্বাভাবিক সম্মানজনক জীবন ও সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে।
দফা-৭ প্রবাসী কল্যাণ, যুব উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি উৱপাদন, বেকারত্ব নিরসন, নি:স্ব ও ভবঘুরে পূণর্বাসন, দারিদ্র দূরীকরণ ও প্রাকৃতকি দুর্যোগ ব্যাস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ক): শক্তিশালী বিদেশনীতি, দূতাবাসের আন্তরিক সক্রীয়তা ও বিশেষ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকায় গতি-সঞ্চারক প্রবাসীদের সুযোগ সুবিধা মর্যাদা এবং ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক নিরাপত্তা বিদেশে ও দেশে নিশ্চিত করতে হবে।
যুব উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি উৱপাদন ও বেকারত্ব নিরসনে জেলা ও থানা পর্যায়ে বিপুল যুবশক্তিকে ধার্মিকতা, দেশপ্রেম ও নীতি-আদর্শে উদ্বুদ্ধকরণসহ কৃষি শিল্প কারিগরি ও অনলাইন প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশে ও বিদেশে প্রচলিত সম্ভাব্য সকল আয়করী কর্ম পেশা ও উদ্যোগের জন্য উদ্যমী ও পারদর্শি করে তুলতে হবে।
দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে অদম্য জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।
সেইসাথে সরকারি ও বেসরকারিভাবে দেশের সকল ভূমি-জলাভূমি ও সৃষ্টিশীল উপাদান কাজে লাগিয়ে জাতীয় চাহিদাপূরণ ও ব্যাপক রপ্তানীযোগ্য পণ্য উৱপাদনের নানামুখী খাত আবিস্কার করে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে এবং ‘দেশ ও মানুষের জন্য ছোট বড় সব কাজই সম্মানজনক’- এই মন্ত্রে শিক্ষিত অশিক্ষিত সকল বেকারদের নির্দ্বিধায় কর্মোদ্যমী হতে উৱসাহিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(খ): সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রকৃত নি:স্ব ও ভবঘুরেদের অন্তর্বর্তিকালীন পূণর্বাসনের ব্যবস্থা করে মানসিকভাবে আশাবাদী ও শারিরিকভাবে কর্মমুখী করে তুলতে হবে। ভিক্ষাবৃত্তি চৌর্যবৃত্তি ও পতিতাবৃত্তিকে ক্রমান্বয়ে নিরুৱসাহিত নিষিদ্ধ ও নির্মূল করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(গ): দারিদ্র বিমোচনে নি:শর্ত বিদেশি অনুদানের পাশাপাশি সরকারের কঠোর ব্যবস্থাপনায় দেশের বিপুলসংখ্যক ধনাঢ্য ও বিত্তবানদের সঠিক যাকাত সংগ্রহ ও উপযুক্ত খাতে বিতরণের মাধ্যমে দেশের সকল দরিদ্রদেরকে গভীর নিরিক্ষণে রেখে পর্যায়ক্রমে স্বনির্ভর ও সক্ষম করে তুলতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ঘ): প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় শারিরিকভাবে সক্ষম নাগরিকদেরকে অগ্নিকাণ্ড, ভূমিকম্প, ঝড়-জলোচ্ছাস, বন্যা, পাহাড় ও ভূমিধ্বসের পূর্বলক্ষণ ও বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের ব্যাপারে পূর্ণ সচেতন ও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তাৱক্ষণিক ও জরুরি করণীয় সম্পর্কে বাস্তব প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। সারাদেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে পর্যাপ্ত অত্যাধুনিক উদ্ধারসামগ্রী ও উন্নত প্রশিক্ষিত কর্মীতে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি আপদকালীন জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র ও পর্যাপ্ত ত্রাণ-ব্যবস্থা প্রস্তুত ও মজুদ রাখতে হবে।
দফা-৮ জাতীয় মেধার যথাযথ মূল্যায়ণ এবং জাতীয় সম্পদের নিরাপদ উন্নয়ন আহরণ সংরক্ষণ ও সর্বাধিক জাতীয় স্বার্থানুকূল ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ক): কৃষিবিজ্ঞান, শিল্পবিজ্ঞান, কারিগরি ও প্রযুক্তিবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, চিকিৱসাবিজ্ঞান, সামরিকবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান পরমাণুবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষ পরিক্ষা বা দক্ষতায় উত্তীর্ণ মেধাবীদেরকে বিশেষ সম্মানজনক পারিশ্রমিক সাপেক্ষে সম্পূর্ণ সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় সার্বক্ষণিক গবেষণা ও উদ্ভাবনে নিয়োজিত রাখতে হবে।
বিশ্বমানের উচ্চতর গবেষণা প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা ও ডিগ্রি অর্জনের প্রয়োজন ব্যাতিত তাদের বিদেশী বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান বা গবেষণাগারে স্থাযী নিযোগ গ্রহন নিষিদ্ধ করতে হবে।
জাতীয় সম্মাননা, পদক ও পুরস্কার প্রদানে অন্যান্য প্রচলিত বিষয়ের সঙ্গে ধর্মীয় গবেষক, চিন্তাবিদ ও শিল্পী-সাহিত্যিকদেরকেও যথাযোগ্য মূল্যায়ণ করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(খ): জাতীয় মেধা ও সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশকে বিপুল উদ্ভাবন ও উৱপাদনসমৃদ্ধ করে তুলতে হবে। নাগরিকদের জন্য দেশীয় পণ্য ক্রয় ও ব্যবহার আবশ্যিক করে জাতীয় চাহিদা শতভাগ পূরণের মাধ্যমে দেশের অর্থ দেশেই সংরক্ষণ করতে হবে এবং উদ্বৃত পণ্য ব্যাপক রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(গ): প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদের নির্ভুল অবস্থান ও পরিমাণ নির্ণয় করে সুদূরপ্রসারি জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার অনুকুলে পরিবেশদূষণমুক্ত ভাবে এর উৱপাদন ও সম্প্রসারণের সাথে আহরণ ও উত্তোলন প্রক্রিয়াকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। এক্ষেত্রে দেশীয় মেধা ও জনশক্তির সর্বোচ্চ ব্যাবহার আগে নিশ্চিত করার পর নিজস্ব পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ও স্বার্থ বজায় রেখে একান্ত প্রয়োজনীয় বিদেশী সহযোগিতা গ্রহন করা যেতে পারে।
প্রস্তাবনা-(ঘ): পাহাড় সাগর দ্বীপ নদী ও বনসমূহকে অবিকৃতরুপে সংরক্ষণ করে অর্থকরী প্রাকৃতিক ব্যাবহারের পাশাপাশি বিশ্বমানসম্মত অশ্লীলতামুক্ত সহজগম্য অধুনিক ও নিরাপদ পর্যটনব্যবস্থা তৈরি করতে হবে এবং ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি ও স্থাপনাকেন্দ্রিক পর্যটন এলাকাসমূহ চিহ্ণিত ও উন্নত করে দেশি-বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করে বিপুল পর্যটন আয় নিশ্চিত করতে হবে।
দফা-৯ দুর্নীতি সন্ত্রাস ও গরুতর অপরাধ নির্মূলে সর্বাধিক কঠোরতর অাইন এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তি বিধান নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ক): হত্যা গুম ও ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ধার্য করতে হবে এবং অঙ্গহানি অস্ত্রাঘাত ও পাশবিক শারিরিক নির্যাতনের শাস্তি একমাত্র সমপ্রত্যাঘাত ধার্য করতে হবে। তবে কেবল বাদীপক্ষ শর্তহীন বা শর্তসাপেক্ষ আপোষ মিমাংসা বা ক্ষমা বা জেল-জরিমানায় শাস্তি পরিবর্তন বা শাস্তি হ্রাসের অধিকার রাখবেন।
প্রস্তাবনা-(খ): স্বশস্ত্র-সন্ত্রাস, ব্ল্যাকমেইলিং, লুটপাট, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, চাদাবাজি, দখলবাজি, অপহরণ, অশ্লীলতা-বিস্তার, মাদক-বাণিজ্য, ভেজাল খাদ্য ও নকল ঔষধ বাণিজ্য, মানবপাচার ইত্যাদির শাস্তি অপরাধের তীব্রতা ক্ষতি ও সংশোধনহীনতা বিচারে জেল-জরিমানা, অঙ্গচ্ছেদ ও মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত ধার্য করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(গ): নীতিগত দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যাবহার, ঘুষ, আর্থিক অনিয়ম, অর্থ তথ্য পণ্য ও প্রাণী পাচার, চোরাচালান, কালোবাজারি, মজুতদারি, ভণ্ড পীর-ফকিরী জ্যোতিষী কবিরাজিসহ সব ধরণের বৈশ্বাসিক ও আর্থিক প্রতারণা ইত্যাদির শাস্তি অপরাধের তীব্রতা ক্ষতি ও সংশোধনহীনতা বিচারে সমক্ষতিপূরণ, আর্থিক জরিমানা, চাকুরিচ্যুতি, সম্পদ বাজেয়াপ্ত, সামাজিক বয়কটসহ ন্যূনতম ৫ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং চূড়ান্ত গুরুতর বিচারে অঙ্গচ্ছেদ ও মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত ধার্য করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ঘ): নাগরিকের জীবন সম্মান ও সম্পদঘাতী এবং মানবতা সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধের বিচার ও শাস্তিবিধানে দ্রুততা স্বচ্ছতা ও পক্ষপাতহীনতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
দফা-১০ সকল নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিরাপত্তা ও ন্যায্য অধিকার সংরক্ষণ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় যথাযথ আইনী ব্যবস্থা ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ক): সকল ধর্মের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা এবং যৌক্তিক ও অসাংঘর্ষিক ন্যায্য অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে এবং বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে পারষ্পরিক নিশ্ছিদ্র মানবিক প্রীতি, সামাজিক সৌহার্দ্য, জাতীয় সংহতি ও ধর্মীয় সহিষ্ঞুতাবোধ সৃষ্টি ও রক্ষায় সুচিন্তিত সুবিন্যস্ত কার্যকর নীতিমালাসমৃদ্ধ ‘সর্বধর্ম সহিষ্ঞুতা আইন’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(খ): ধর্মপ্রচারের জন্য বিভিন্ন ধর্মতত্ত্বের তুলনামূলক বিশ্লেষণ, গঠনমূলক পর্যালোচনা ও যৌক্তিক বিতর্কের বাইরে- প্রকাশ্য উস্কানিমূলক স্বধর্ম অবমাননা বা পরধর্ম নিন্দার দৃষ্টান্তমূলক কঠোর ও দ্রুততর শাস্তিবিধান নিশ্চিত করতে হবে।
দেশি বিদেশি এনজিওসমুহের সেবা ও অনুদানের বিনিময়ে ধর্মান্তরিতকরণের কৌশলী মিশন নিষিদ্ধ করতে হবে।
রাষ্ট্রীয় নির্দেশ অথবা জাতীয় বা রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক কর্মসূচীর নামে নিজ ধর্ম-বিধানের বিপরীত কোনো রীতি-রেওয়াজ, প্রথা বা কুসংস্কার পালনে নাগরিককে বাধ্য করা যাবে না এবং অপারগতা প্রকাশে দায়ী বা দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না।
প্রস্তাবনা-(গ): দেশের সকল শিক্ষাঙ্গণ, কর্মস্থল, ব্যবসা-বিনোদন ও পর্যটনকেন্দ্রসহ যানবাহন ও চলাচলের সকল পথে নাগরিকের অনিবার্য ধর্মীয় অনুশাসন ও বিধান পালনের বিরতি ও ব্যবস্থাপনা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় শিক্ষাব্যবস্থার মূলধারায় সকল নাগরিকের নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষা লাভের সুযোগ ও ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ঘ): ধর্মবিকৃতিকারী, ধর্মবিদ্বেষী, ধর্মদ্রোহী ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী দেশী বিদেশী চক্রান্ত হতে দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকের প্রাণের ধর্ম ও সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত রাষ্ট্রধর্মের বিশ্বাস চেতনা মূল্যবোধ ও বিধি-বিধানের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জেল-জরিমানার পাশাপাশি সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রেখে ‘রাষ্ট্রধর্ম সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
দফা-১১ জনগণের মৌলিক অধিকার সহজীকরণ এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ ও অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ক): সারাদেশের শহর গ্রামের সকল নাগরিকের প্রতিটি বৈধ আবাসস্থলে যথাসম্ভব ন্যূনতম মূল্যে নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিরাপদ পানি, বিদ্যুত, জ্বালানি গ্যাস ও ইন্টারনেট তথ্যসেবা সরবরাহ করতে হবে এবং নিরাপদ সড়ক ও উন্নত যাতায়াতব্যাবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(খ): নিম্ন ও মধ্য আয়ের পরিবারসমূহের উচ্চশিক্ষা ও উচ্চচিকিৱসার ৫০ ভাগ ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং যৌক্তিক বাড়িভাড়া আইনের কঠোর তদারকি করে সুলভ আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(গ): উৱপাদন বৃদ্ধি, মধ্যস্বত্বভোগী নিয়ন্ত্রণ ও বাজার তদারকির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য, যানবাহনের ভাড়া, প্রাইভেট চিকিৱসকদের ভিজিট ও ঔষধের মূল্য, সরকারকর্তৃক যথাসম্ভব ন্যূনতম হারে ধার্য ও কঠোর তদারকি করতে হবে এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ নির্ভেজাল খাদ্য ও ঔষুধের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ঘ): নাগরিকের জীবন সম্পদ সম্মানের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও তড়িত স্বাস্থ্যসেবা পাড়া মহল্লা অলি গলি পর্যন্ত নিশ্চিত করতে হবে।
দফা-১২ জনগণের মানবাধিকার, রাজনৈতিক অধিকার এবং নিয়মতান্ত্রিক মত-প্রকাশের নিরাপদ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ক): ধর্ম-বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠি, শ্রেণী-পেশা, শিক্ষিত-অশিক্ষত ও ধনী-গরীব নির্বিশেষে একান্তই মানুষ হিসেবে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানসিক শারিরিক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক অধিকারসমূহ রক্ষা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো বিভেদ-বৈষম্য তৈরি করা যাবে না।
প্রস্তাবনা-(খ): স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগ, নিজস্ব রাজনৈতিক চিন্তা চেতনা ও দর্শনের অনুকুলে পছন্দের নেতৃত্ব বা দলকে সমর্থন, দল গঠন, জনমত তৈরি ও অবাধ গণসংযোগ, নিয়মতান্ত্রিক মিছিল সমাবেশ ও কর্মসূচি পালন, সরকারের ভুল-ভ্রান্তি দুর্নীতি বা অন্যায় কর্মকাণ্ডের সমালোচনা-প্রতিবাদ-প্রতিরোধ ও গণআন্দোলনসহ নাগরিকের সকল প্রকার রাজনৈতিক অধিকার নিরাপদ ও নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(গ): ধর্ম সমাজ রাষ্ট্র ও ন্যায়-নীতির পক্ষে মিছিল সমাবেশ বক্তৃতা বিবৃতি লেখালেখি ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে যে কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক ভিন্নমত প্রকাশের নিরাপদ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ঘ): পত্র-পত্রিকা রেডিও-টিভি অনলাইন ও সামাজিক গণমাধ্যমগুলোকে সত্য ও বাস্তব সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশের পূর্ণ সুযোগ দিতে হবে এবং সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের উন্নত জীবনমান উপযোগী বেতন ভাতাসহ পেশাগত দায়িত্ব পালনে সর্বত্র বিশেষ সম্মানজনক সুবিধা ও বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং পেশাগত কর্তব্যে অবহেলা, অসততা, প্রতারণা ও গুরুতর অন্যায়ের জন্য সাধারণ অপরাধীর দ্বিগুণ জেল জরিমানা ও দ্রুত বিচারে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বিধান করতে হবে।
দফা-১৩ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনায় সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থ, মর্যাদা ও ভাবমূর্তি সংরক্ষণমূলক সুদৃঢ় ও সুকৌশলী নীতি গ্রহন করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ক): ‘সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক, পারতপক্ষে বৈরিতা নয়’ তত্ত্বের পাশাপাশি ‘সবাই সবার বন্ধু, কেউ কারো প্রভু নয়’, ‘বিদেশের পরামর্শ বিবেচ্য, নির্দেশ নয়’ এবং ‘বিদেশীদের জ্ঞান ও প্রযুক্তি গ্রহনীয়, বিশ্বাস ও সংস্কৃতি নয়’ তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশের সাভাবিক পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করতে হবে এবং দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অযাচিত হস্তক্ষেপ প্রতিহত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(খ): সীমান্ত-প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক, আপোষহীন সম্মানজনক, শান্তিপূর্ণ ও কৌশলী সুসম্পর্ক রক্ষা করতে হবে এবং বিশ্বের সামরিক পরাশক্তিগুলোর রাজনৈতিক বলয় বিভাজন এড়িয়ে অর্থনৈতিক পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে তুলণামূলক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। সেইসঙ্গে দেশের বিপুল সংখ্যাঘরিষ্ঠ নাগরিকের ধর্মের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ দেশসমূহের সঙ্গে বিশেষ হ্রদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কের সর্বোচ্চ সুফল নিশ্চতভাবে অর্জন করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(গ): নিজেদের স্বার্থ জড়িত নয়- এমন কোনো বিদেশী আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যথাসম্ভব নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে বিবাদমান দেশসমূহের মধ্যে ন্যায়সংগত মিমাংসা ও সমাধানে ভূমিকা রেখে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যথাসাধ্য অবদান রেখে বিশ্বসভায় দেশের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে তুলতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ঘ): বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের অধিকারবঞ্চিত, শোষিত, পীড়িত, লাঞ্ছিত, নির্যাতিত, নিষ্পেষিত মানুষের ন্যায়সঙ্গত স্বাধিকার ও মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান ঘোষণা করতে হবে এবং সম্ভাব্য সার্বিক সহযোগিতাসহ আন্তর্জাতিক চাপ ও জনমত গঠনে অবদান রাখতে হবে।
দফা-১৪ ক্ষমতা ও সম্পদ বিকেন্দ্রীকরণসহ সুদূরপ্রসারী অধুনিক রাজধানী ও নগর-পরিকল্পনা প্রণয়ন, বিজ্ঞানসম্মত সাশ্রয়ী ও সুবিধাজন দিবারাতি কর্মঘণ্টা বিন্যাস এবং আর্থ-সামাজিক-অবকাঠামোগত উন্নয়নে গ্রাম ও শহরের সুসমন্বয় ও যৌক্তিক সামঞ্জস্যবিধান নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ক): রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি, প্রশাসনিক বৈষম্য, উন্নয়ণের তারতম্য, জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে শিথিলতাসহ নির্বাহী ও বিচারিক জট এড়াতে এবং বিপুল ঘন-জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ে সহজে ও সমহারে রাষ্ট্রীয় সেবা পৌছে দিতে বাংলাদেশকে ৬৪ জেলা থেকে ৪টি করে জেলার সমন্বয়ে মোট ১৬টি বিভাগ এবং ৪টি করে বিভাগের সমন্বয়ে মোট ৪টি প্রদেশে বিন্যস্ত করে প্রাদেশিক সরকার ও বিভাগীয় প্রশাসনের আদলে রাষ্ট্রের নির্বাহী ও প্রশাসনিক ক্ষমতাকে বিভাজিত ও বিস্তৃত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(খ): বৃহত বাণিজ্যের পূজিবাদী আগ্রাসন থেকে মাঝারি ও ক্ষুদ্র বাণিজ্যসমূহকে সম্পূর্ণ মুক্ত রেখে এবং অবাধ সম্পদ অর্জন ও কুক্ষিগতকরণ রোধে কঠোর শর্ত ও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে- সম্পদ অর্জন ও সংরক্ষণের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা মুষ্টিমেয় মানূষের হাত থেকে সকল নাগরিকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
প্রস্তাবনা-(গ): রাজধানির শিল্প-বাণিজ্য-অর্থনৈতিক-প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান ও সুবিধাসমূহকে প্রাদেশিক রাজধানী ও বিভাগীয় মহানগরীগুলোতে সমহারে সরিয়ে নিয়ে বা ছড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় রাজধানীকে ভয়াবহ জনঘনত্ব, যানজট, অপরিকল্পিত আবাসন ও নির্মাণ প্রবণতা, পরিবেশ দূষণ, নাগরিক অব্যবস্থাপনা ও অপরাধ বিস্তার থেকে বহুলাংশে মুক্ত করতে হবে।
রাজধানীকে বেষ্টন করে সমদূরত্বে ৮টি টার্মিনাল পয়েন্ট স্থাপন করে চক্রাকারে গভীর স্বচ্ছ ও অবৈধ দখলমুক্ত সুপরিকল্পিত নদীপথ, রেলপথ ও সড়কপথ নির্মাণের পাশাপাশি সারাদেশের সাথে সুপ্রশস্ত সুনিরাপদ সেতু ও ট্যানেলযুক্ত ৪টি প্রবেশ ও নির্গমণপথ তৈরি করতে হবে এবং সীমানাবৃত্তের বহিরাঞ্চল ঘিরে পরিকল্পিত আবাসিক শহর ও শিল্পনগরী গড়ে তুলতে হবে।
রাজধানীতে স্থায়ী বসবাস ও চলাচলের জন্য মাসিক উপার্জন ও পারিবারিক সদস্যসংখ্যা বিচারে সুনিয়ন্ত্রিত আবাসন ও প্রাইভেট যানবাহন ব্যবহারবিধি অরোপ করতে হবে। মাঠ, পার্ক, ফুটপাত ও খালগুলোকে অবৈধ দখলমুক্ত, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ করে তুলতে হবে।
রাজধানীসহ শহরগুলোর যানজট, কর্মজট ও বিদ্যুত অপচয় নিরসনসহ সীমিত যানবাহন, অবকাঠামো ও সীমিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে অধিক সফল জনসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি/বেসরকারি অফিস ও বিদ্যালয়সসমূহ ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা, আদালত ও ব্যাংকসমূহ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা, কল-কারখানাসমূহ সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা, ব্যবসা ও বিনোদনকেন্দ্রসমূহ দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা, ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানসমূহ এবং বিনোদনমূলক টিভি ও রেডিও প্রোগ্রামসমূহ দুপুর ২ টা থেকে সর্বোচ্চ রাত ১০ টা পর্যন্ত চালু করতে হবে। রাত ১০ টার পর থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত কেবল জরুরী সংবাদ চ্যানেলগুলো চালু থাকবে। শীত ও গ্রীষ্মে এ সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
প্রস্তাবনা-(ঘ): গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দারিদ্র ও শহরমুখী ঢল এড়াতে নাগরিক জীবনমান এবং আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ শহর ও গ্রামাঞ্চলে ভারসাম্যপূর্ণহারে বণ্টন করতে হবে। শহরগুলোকে পরিকল্পিত স্বাস্থ্যসম্মত আবাসন এবং শিক্ষা স্বাস্থ্য বাণিজ্য ও প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে ধরে নিয়ে চারপাশের শহরতলীকে শিল্পাঞ্চল ও দূরবর্তী গ্রামসমূহকে প্রাকৃতিক কৃষি অঞ্চল হিসেবে নির্ধারণ ও সংরক্ষণ করতে হবে।
দফা-১৫ সকল প্রকার অযৌক্তিক ও অনৈতিক শ্রেণীবৈষম্য দূর করতে হবে এবং কৃষক শ্রমিক চাকুরিজীবি ও পেশাজীবিদের ন্যায্য অধিকার ও যৌক্তিক চাহিদা পূরণে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে
প্রস্তাবনা-(ক): দেশের কৃষিজীবি বা কৃষকদের স্বার্থে সুদমুক্ত কৃষি সহায়তা, কৃষি ভর্তুকি, কৃষিঋণ ও কৃষিবিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষি সামগ্রী, সার ও সেচব্যবস্থা সহজলভ্য করতে হবে। উৱপাদিত ফসল বাজারজাতপ্রক্রিয়ায় সরকারী সহযোগিতায় মধ্যসত্তভোগীদের নিবৃত করে সরাসরি কৃষকের লাভবান হওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(খ): দেশের সরকারি/বেসরকারি শ্রমজীবি বা শ্রমিকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তা, যৌক্তিক কর্মঘন্টা, অনিবার্য ধর্মাচার পালনের বিরতি, কর্মকালীন মানসম্পন্ন খাবার সরবরাহ ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম, কর্মভেদে ছুটির দিনসহ দৈনিক ন্যুনতম সর্বমোট ৩০০ টাকা মজুরি, অতিরিক্ত শ্রম-ঘণ্টার জন্য দ্বিগুণহারে মজুরি, মাসের ৫ তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান, বেতনসহ প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যাক্তিগত ছুটি, বিশেষ উৱসব-উপলক্ষ্যসহ ১ বার বিয়ে ও ২ বার সন্তান গ্রহন বোনাস, নারী শ্রমিকদের পূর্ণবেতনসহ ৬ মাস আবশ্যিক ও প্রয়োজনে ৫০ ভাগ বেতনসহ আরও ৩ মাস অতিরিক্ত গর্ভকালীন ছুটি, আপদকালীন নি:শর্ত সহায়তা বা মাসিক বেতনের সর্বোচ্চ ১০ পার্সেন্ট কর্তনযোগ্য সুদমুক্ত রিন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(গ): দেশের সরকারি/বেসরকারি চাকুরীজীবিদের কর্মস্থলের নিরাপত্তা, যৌক্তিক কর্মঘন্টা, অনিবার্য ধর্মাচার পালনের বিরতি, কর্মকালীন মানসম্পন্ন খাবার সরবরাহ ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম, কর্মভেদে ছুটির দিনসহ দৈনিক ন্যুনতম সর্বমোট ৫০০ টাকা বেতন, অতিরিক্ত কর্মঘন্টার জন্য দ্বিগুণহারে বেতন, মাসের ৫ তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান, বেতনসহ প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যাক্তিগত ছুটি, বিশেষ উৱসব-উপলক্ষ্যসহ ১ বার বিয়ে ও ২ বার সন্তান গ্রহন বোনাস, নারীদের পূর্ণবেতনসহ ৬ মাস আবশ্যিক ও প্রয়োজনে ৫০ ভাগ বেতনসহ আরও ৩ মাস অতিরিক্ত গর্ভকালীন ছুটি, আপদকালীন মাসিক বেতনের সর্বোচ্চ ১০ পার্সেন্ট কর্তনযোগ্য সুদমুক্ত রিন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। নারী পুরুষ ও শিশু শ্রমিকদের মধ্যে বেতন বৈষম্য করা যাবে না।
প্রস্তাবনা-(ঘ): বিভিন্ন স্বাধীন কর্ম ও পেশাজীবিদের মানবিক ও পেশাগত ন্যায্য অধিকার ও সুবিধাদি পূর্ণরুপে প্রদান করতে হবে। বিশেষ করে দেশের মহান ধর্মগুরু ও শিক্ষক সমাজের সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মানজনক জীবনমান সুরক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করতে হবে।
দফা-১৬ নির্বাচন পদ্ধতি, সরকার কাঠামো, শাসন প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক আন্দোলনবিধি সংস্কার ও পূণর্গঠন করতে হবে।
প্রস্তাবনা-(ক): প্রত্যক্ষ গণভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে একটি নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অধুনাবিলুপ্ত সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সরকারি ও বিরোধি দলের বা জোটের প্রস্তাবে ৫ জন করে, অন্যান্য দলসমূহের প্রস্তাবে ২ জন করে এবং সংসদের বাইরের রাজনৈতিক নিবন্ধিত ইচ্ছুক দলসমুহের ১ জন করে প্রস্তাবিতদের মোট সংখ্যা থেকে লটারিতে মনোনীত আরও ৫ জন রাজনৈতিক/অরাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের সমন্বয়ে অন্তর্বর্তীকালীন/ নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে।
সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য অধুনাবিলুপ্ত সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সরকারি ও বিরোধি দলের বা জোটের প্রস্তাবে ৩ জন করে মোট ৬ জন অরাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ১ জনকে বাতিল করে বাকি ৫ জনের মধ্যে পূণরায় লটারির মাধ্যমে ১ জনকে প্রধান করে একটি স্বাধীন শক্তিশালী অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।
যে কোনো নির্বাচনের প্রার্থীতা লাভের জন্য আদালত কর্তৃক গুরুতর অপরাধের সাজাপ্রাপ্ত না হ্ওয়া ও ন্যুনতম স্নাতক পাস হওযা আবশ্যক করতে হবে।
দেশ ও জাতির সর্বাধিক কল্যাণের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ব্যক্তি বা দল নির্বাচনে যথাসম্ভভব উপযুক্ত ও নির্ভুল সিদ্ধান্ত পেতে নাগরিকের শিক্ষা, জ্ঞান ও সচেতনতার সঠিক মূল্যায়ণ নিশ্চিত করতে অশিক্ষিত বা প্রাথমিক শিক্ষা অনুত্তীর্ণদরে ভোটের মান ১ ভোট, প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের ভোটের মান ২ ভোট এবং স্নাতক উত্তীর্ণদের ভোটের মান ৩ ভোট গণনা করতে হবে।
নির্বাচনে সকল প্রার্থীকেই বয়কট করার জন্য ‘না’ ভোটের সুযোগ রাখতে হবে। ২ এর অধিক প্রার্থী হলে নির্বাচন ২ ধাপে করতে হবে। প্রথম ধাপে সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত ২ জনকে চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচিত করার পর দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ী নির্ধারণ করতে হবে। তবে ২য় ধাপে না ভোটের সংখ্যা বেশি হলে পূণরায় প্রার্থীতা ও নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
সরকার কর্তৃক প্রধান বিরোধী দলের ন্যায়সঙ্গত দাবী ও প্রস্তাবনা মেনে নেয়া ও শান্তিপূর্ণ আচরণ এবং প্রধান বিরোধীদল কর্তৃক সরকারের ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত ও কাজকে সমর্থন করা ও শান্তিপূর্ণ আচরণের জন্য উভয় পক্ষকেই নির্ধারিতহারে ইতিবাচক মান প্রদানের নিয়ম রাখতে হবে; যা নি্র্বাচন কমিশনের রেকর্ডভুক্ত থাকবে এবং পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে জনগনের ভোটের সঙ্গে বিশেষ ‘পজিটিভ পয়েন্ট’ হিসেবে যুক্ত হয়ে ফলাফল নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
সংসদে সরাসরি প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিতদের বাইরে আর কোনো সংরক্ষিত আসন রাখা যাবে না। নারী ও সংখ্যালঘুদের সংরক্ষিত আসন প্রদান করে করুণা ও উপহাসের পাত্রে পরিণত না করে প্রত্যক্ষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতার সম্মানজনক অধিকার ও সুযোগ দিতে হবে।
প্রস্তাবনা-(খ): সংসদের মেয়াদ ৬ বছর করতে হবে। মোট আসনের ৫০ ভাগের অধিক আসনপ্রাপ্ত দল পূর্ণমেয়াদী একক সরকার গঠন করতে পারবে। অন্যথায় ১ম বা ২য় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের যে কোনো একটি দল অন্যান্য দলের প্রয়োজনীয় সমর্থন নিয়ে ১ম ৪ বছর সরকার পরিচালনার সুযোগ পাবে এবং অপর দলটিও অন্যান্য দলের প্রয়োজনীয় সমর্থন নিয়ে শেষের ২ বছর সরকার পরিচালনার সুযোগ পাবে। ব্যার্থ হলে সংসদের মেয়াদ ৪ বছরেই সমাপ্ত হবে।
সাংসদগণ সংসদে আনীত কোনো বিলে নিজ নিজ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরেও সংসদের মেয়াদকালে মোট ১০ বার স্বাধীন মতামত দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তাদের মতামতকে শূণ্য ভোট বিবেচনা করা হবে। এ ভোট নিজ দল থেকে বিয়োগ হলেও অপর কোনো পক্ষের ভোটে যুক্ত হবে না এবং এ জন্যে তারা দলের বা সংসদের সদস্যপদ হারাবেন না। তবে ১০ বারের অধিক এমনটি ঘটলে তারা নিজেরাই দল ও সংসদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হবেন।
প্রত্যক্ষ গণভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। তিনি নিজ বিবেচনায় সংসদের যে কোনো সিদ্ধান্তে সরকারের বিপক্ষে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা রাখবেন এবং তার ভেটো সংসদে উক্ত সিদ্ধান্তের বিরোধীপক্ষের সঙ্গে সংসদের মোট সদস্যসংখ্যার আরো ৫ ভাগ সাংসদের ভোট আকারে যুক্ত ও পরিগণীত হবে। এছাড়াও সংবিধান সংশোধনসহ রাষ্ট্রের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো সিদ্বান্তের জন্য তিনি সংসদকে এড়িয়ে প্রত্যক্ষ গণভোট আয়োজনের ক্ষমতা রাখবেন।
প্রস্তাবনা-(গ): রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা, মৌলিক নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থ, খনিজ সম্পদ, আইন, বিচার, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রসহ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বসমূহ এককভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রেখে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, আবাসন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য প্রভৃতি বিষয়সমূহের দায়িত্ব আধা-স্বায়ত্বশাসিত প্রাদেশিক সরকারসমূহের অধিকারে ন্যাস্ত করে দিতে হবে। প্রাদেশিক সরকারসমূহ তাদের নিজ নিজ বিভাগ ও জেলাসমূহের স্থানীয় প্রশাসন, বাজেট, উন্নয়ন, প্রকল্প বাস্তবায়ন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও সার্বিক দেখভাল নিজেদের স্বাধীন পরিকল্পনা ও প্রয়োজন মতো করবে।
প্রস্তাবনা-(ঘ): সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার বেশি লাগাতার হরতাল, অবরোধ, ধর্মঘট, কর্মবিরতি এবং জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনা ঘিরে সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টার বেশি লাগাতার অবস্থান এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে জনগনকে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে কোনোরুপ সহিংস পিকেটিং, ভীতি প্রদর্শন বা জীবন সম্পদ সম্মানের ক্ষয়ক্ষতিসাধন কঠোর শাস্তিমূলক আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
কর্মসূচির নামে খাদ্য ও ঔষধের সরবরাহ, ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করা এবং চিকিৱসকদের কর্মবিরতি পালন অবৈধ ও নিষিদ্ধ করে কঠোর শাস্তিমূলক বিধান করতে হবে।
(এছাড়াও চিকিৱসকদের সামাজিক মর্যাদা, সার্বিক নিরাপত্তা ও পেশাগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করত: দায়িত্বে অবহেলা, দুর্নীতি, প্রতারণা ও গুরুতর অন্যায়ের জন্য সাধারণ অপরাধীর দ্বিগুণ জেল-জরিমানা ও দ্রুত বিচারে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বিধান করতে হবে।)
স্বতস্ফূর্ত নিয়মতান্ত্রিক সমাবেশ, বিক্ষোভ ও আন্দোলনরত জনতার উপর যে কোনো প্রকার প্রাণঘাতী, শারিরিক বা স্বাস্থ্য ও মানহানিকর পুলিশি আক্রমণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং আন্দোলনস্থলে পর্যাপ্ত নিরপিত্তা প্রহরা ও জরুরি স্বাস্থ্য সেবা প্রস্তুত রাখতে হবে।
শান্তিপূর্ণ মিছিল, মিটিং, সমাবেশ, দাবি, দাওয়া, নিন্দা, প্রতিবাদ ও সরকারবিরোধী বা সরকার পতনের নিয়মতান্ত্রিক স্বতস্ফূর্ত আন্দোলনসহ নাগরিকের রাজনৈতিক ও স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকারকে কোনোরুপ অসাংবিধানিক বা অমানবিক প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্থ বা স্তব্ধ করা যাবে না। যে কোনো পরিস্থিতিতে পক্ষের বা বিপক্ষের প্রতিটি মানুষের জীবন সম্পদ ও সম্মানের অক্ষুন্নতাকেই সর্বত্র ও সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ মানুষের কল্যাণের জন্যই আমাদের রাষ্ট্র, আমাদের রাজনীতি ও সকল নিয়মনীতি।
(নোট)* ন্যাশনাল মুভমেন্ট- উত্থাপিত এই ‘১৬ কোটির ১৬ দফা’ রাষ্ট্র ও নাগরিকের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় পরিকল্পনার প্রাথমিক খসড়া। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জনাব মুহিব খানের একক গবেষণায় প্রণীত এই খসড়াটি অসতর্কতামূলক ত্রুটি ও অসামঞ্জস্যতা নিরসন কিংবা অনিবার্য প্রেক্ষাপট, প্রয়োজন ও মতবিনিময় স্বাপেক্ষে মূল চিন্তার অনুকুলে গবেষক কর্তৃক একাধিকবার সংস্করণ ও পূণর্বিন্যাসযোগ্য।)
আওয়ার ইসলামের সৌজন্যে