যুক্তরাস্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিয়াল ব্রেকফাস্টে আমান্ত্রণ পেয়েছেন এক লাখ আলিম, মুফতি ও ইমামের স্বাক্ষরসম্বলিত বিশ্বশান্তির ফাতওয়াদানকারী আলেমেদ্বীন, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার গ্র্যান্ড ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।
সম্প্রতি ঘরোয়া এক বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশের বর্ষীয়ান এই আলেম।
বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা, বাংলাদেশ জাতীয় দ্বীনী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডসহ অন্যান্য আলেমেদ্বীনের সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশের আলেমদের পক্ষ থেকে বিশ্বশান্তির বার্তা নিয়ে তিনি আমেরিকার এই আয়োজনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
আলেমদের সঙ্গে মতবিনিময়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, এ জাতীয় অনুষ্ঠানে আমি অংশগ্রহণ করলে সবসময় ইস্তেগফারের হালতে থাকি। আল্লাহর কাছে এই আশা করতে থাকি যে, যাতে আমার স্বল্প ঈমানের নূরের তাজাল্লি ওইসব মানুষদের হৃদয়ে আল্লাহপাাক বিচ্ছুরিত করে দেন। আল্লাহ তাআলা যেনো আমাকে পাপপঙ্কিলতামুক্ত রাখেন।
জানা যায়, আল্লামা মাসউদের তত্ত্বাবধানে এক লাখ আলেম, মুফতি ও ইমামের স্বাক্ষরসম্বলিত বিশ্বশান্তির ফাতওয়া প্রকাশের পর সমগ্র বিশ্বেই এর আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বিশ্বের খ্যাতনামা সব গণমাধ্যমে স্টোরি প্রকাশ করে। ফলে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদুতগণ, শান্তিবাদি মানুষেরা আল্লামা মাসউদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকে। সেসব দেশে সফরেরও আমন্ত্রণ পান। সে ধারাবাহিকতা থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিয়াল ব্রেকফাস্টে আমান্ত্রণ পেয়েছেন বাংলাদেশের গর্ব বর্ষীয়ান এই আলেম।
উল্লেখ্য, এক লাখ আলেম, মুফতি ও ইমামের স্বাক্ষরসম্বলিত বিশ্বশান্তির ফাতওয়া প্রকাশের সময় আল্লামা মাস্ঊদ বলেছিলেন, বিশ্বশান্তির এই ফাতওয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, ওআইসি ও জাতিসংঘে উপস্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এই শান্তির বার্তা। এ ছাড়াও আমেরিকার বাংলাদেশস্থ রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটসহ অসংখ্য গুণী মানুষের হাতে এই ফাতওয়া তুলে দেওয়া হয়েছে।
বাঙালনামার সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।