শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ৮:২৫
Home / কওমি অঙ্গন / একজন সা’দ দেওবন্দের সন্তান সন্তানের প্রতি দারুল উলুমের সতর্কবার্তা টার্গেট যখন তাবলিগ এবং দারুল উলুম দেওবন্দ।

একজন সা’দ দেওবন্দের সন্তান সন্তানের প্রতি দারুল উলুমের সতর্কবার্তা টার্গেট যখন তাবলিগ এবং দারুল উলুম দেওবন্দ।

রশীদ জামীল :

 

ঘটনাঃ এক

মাদরাসা মসজিদে তাবলিগ জামাত এসছে। আমির সাহেব মাদরাসার মুহতামিমকে বললেন, ‘হযরত, নামাজের পরে যদি দুইটা মিনিট আমাদের কথা বলতে দিতেন!

মুহতামিম সাহেব  রাজি হলেন। বললেন আচ্ছা। কিন্তু মনে রাখবেন। দুই মিনিট। এর বেশি না। ছাত্রদের দুপুরের খাবার সময় এটা।

 

নামাজের পর সাথীভাই একজন তয়াহরিমা বেঁধে দাঁড়িয়ে বললেন, ”আপনারা সবাই আলেম-উলামা। আপনাদের সামনে বয়ানের জন্য দণ্ডায়মান হওয়াই আমার মত নালায়েকের জন্য বেয়াদবি। আমি বয়ানের ইরাদায় দণ্ডায়মান হই নাই। আমি আপনাদেরকে একটা খুশখবরি দেওয়ার জন্য দাঁড়ায়েছি। আর তাহা হইল, সারা দুনিয়ায় দাওয়াতের মেহনত দিন দুগুনি রাত চৌগুনি বাড়তেছে। আর সবচেয়ে খুশির খবর হইল,  আলহামদুলিল্লাহ, দারুল উলুম দেওবন্দেও এখন দ্বীনের মেহনত চালু হয়ে গেছে!!

——————————–

ঘটনাঃ দুই

দাওরায়ে হাদিস মাদরাসা। হাজারোর্ধ ছাত্র। তাবলিগওলা কেউ গিয়ে চিল্লার দাওয়াত দেবে, সেই সুযোগ নাই। একদিন জুহরের আগে কয়েকজন তাবলিগওলা গিয়ে হাজির হলেন। নামাজের পরে চার/পাঁচ মিনিট কথা বলতে দিতে মুহতামিমকে রাজি করিয়ে ফেলেন তাঁরা। ডজনখানেক মুহাদ্দিসসহ শত শত ছাত্র উপস্থিতিতে জুহরের নামাজের পর নায়েবে আমির টাইপ এক সাথী দাঁড়িয়ে বললেন, ‘আল্লাহপাক দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য দুনিয়াতে এক লাখ চব্বিশ হাজার ‘বেমাসুম’ আম্বিয়া পাঠিয়েছেন—

— উপস্থিত সবাই একে অন্যে মুখ চাওয়া চাওয়ি হচ্ছে! আমির সাব সাথেসাথেই সাথীকে বসিয়ে দিয়ে নিজে উঠে দাঁড়ালেন। বললেন, দুই মিনিটে আমি একটা গল্প বলতে চাই।

এক ট্রাক ড্রাইভার যাত্রাপথে ক্লান্ত হয়ে অনভিজ্ঞ হেলপারের হাতে স্টিয়ারিং দিয়ে সে ঘুমিয়ে পড়ল। কিছু দূর যাওয়ার পরেই এক্সিডেন্ট হল।  আচ্ছা, আমি আপনাদের জিজ্ঞেস করি, এই এক্সিডেন্টের জন্য দায়ী কে? হেলপার না ড্রাইভার?

সবাই বললেন, ড্রাইভার।

জ্বি, আপনারা ঠিকই বলেছেন। অনভিজ্ঞ হেলপারের হাতে সে কেনো স্টিয়ারিং দেবে। ঠিক একই কায়দায় কিছুক্ষণ আগে এখানেও একটি দুর্ঘটনা ঘটল।  বেমাসুম আম্বিয়া !! দ্বীনের কাজের ড্রাউভিং করার কথা ছিল উলামায়ে কেরামের। কিন্তু উলামায়ে কেরাম অনভিজ্ঞ হেলপারদের হাতে স্টিয়ারিং ছেড়ে দিয়েছেন বলেই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে!! এ জন্য দায়ী কে?

দুই মিনিটের গল্পে উস্তাদ-ছাত্রের প্রায় ত্রিশ জনের গ্রুপ চিল্লার জন্য তৈরি হয়ে গেলেন।

 

মোর‌্যাল অব দ্যা ঘটনাদ্বয়ঃ

ছাগলমার্কা তাবলিগি হলে তাদের কাছে দারুল উলুম দেওবন্দেও দ্বীনের কাজ শুরু হয়। আর পরিপক্ষ তাবলিগি হলে দুই মিনিটের গল্পে উলামায়ে কেরামের জামাত তৈরি হয়ে যায়।

 

মাওলানা সা’দ ইস্যু

!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

তাবলিগের অন্যতম মুরব্বি মাওলানা সা’দ সাহেবের সুনির্দিষ্ট কিছু কথাবার্তা পছন্দ হয়নি দেওবন্দের। আর দেওবন্দ নামক ইন্সটিটিউট সত্য বলে এবং নির্দ্বিধায়ই বলে। দেওবন্দ যখন বলে, আপন-পর দেখে না।  মুসলিহত খুঁজে না। সত্যের শরীরে মুসলিহতের চাদর জড়িয়ে মিনমিন করা দেওবন্দের কালচারে নাই। এ জন্য দেওবন্দ অনন্য উচ্চতায়।

 

সাম্প্রতিক সময়ে সা’দ সাহেবের ব্যাপারে দেওবন্দের সতর্কবার্তা  বাজারজাত করে পানি ঘোলা করছে একটি বিশেষ প্রজাতি। অনেকদিন হল গলা তাদের শুকিয়ে আছে। গলা ভেজানো দরকার। আর  বিশেষ প্রজাতি পানি ঘোলা করেই খায়; জানা কথাই তো।

 

লম্প এবং ঝম্প

!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

দেওবন্দি চেতনার ভারে ন্যূজ হয়ে যেয়ে কেউ কেউ বলছেন, ‘দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে মাওলানা সা’দকে গোমরাহ ফতওয়া দেওয়া হয়েছে। অথচ আমরা দেখলাম দেওবন্দ থেকে বলা হয়েছে, ‘মাওলানা সা’দ’র চিন্তাধারা গোমরাহির দিকে ধাবমান’। গোমরাহির দিকে ধাবমান আর গোমরাহ, একই ব্যাপার? কোন ইশকুল পাশ গবেষক আমরা?

 

অতি আবেগি কিছু তাবলিগওলা ভাইবন্ধু না বুঝেই লাফ দিচ্ছেন। এদের একটা বড় অংশ মুরব্বি ছাড়া আর কোনো ভাষা মানতেই রাজি না। অবশ্য বুঝে করা তাবলিগওলারা শান্ত। তাঁরা জানেন বড়দের মধ্যকার ইলমি ব্যাপার-সেপার বড়দের দ্বারাই মীমাংসিত হবে। এখানে মাথা ঢুকিয়ে লাভ নেই।

 

প্রকৃত চেতনাধারীরা দেওবন্দি এবং আসল তাবলিগিরা আছেন নীরব পর্যবেক্ষণে। তাঁরা জানেন ফতওয়া দিয়েছে দেওবন্দ। মাওলানা সা’দও দেওবন্দের রূহানি সন্তান। প্রচলিত তাবলিগের সূচনাকারী মাওলানা ইলিয়াসও দেওবন্দের প্রডাক্ট। তারমানে, তাবলিগ দেওবন্দেরই একটি প্রশাখা। সুতরাং যা হবার তাই হোক। তাদের দ্বারাই হোক।

 

ঘটনা-সংক্ষেপ

!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

বিশ্ব তাবলিগ জামাতের অন্যতম মুরব্বি মাওলানা সা’দ-এর কিছু বক্তব্যের জবাবে দারুল উলুম দেওবন্দ’র ইফতা বিভাগ থেকে একটি লিখিত বক্তব্য ইস্যু হয়। সেটি প্রকাশ করার আগেই মাওলানা সা’দ-এর পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল দেওবন্দ গিয়ে জানান, সা’দ সাহেব তাঁর অভিযুক্ত বক্তব্য ফিরিয়ে নিতে রাজি আছেন। দেওবন্দ খুশি হয়। দেওবন্দের প্রকাশিতব্য সিদ্ধান্তটি প্রকাশ না করে সেটার একটা কপি দেয়াহয় মাওলানা সা’দ-এর জন্য। সা’দ সাহেব সেটার জবাব দেন। জবাবটি দেওবন্দওলাদের মনঃপুত হয়নি। পালটা চিঠিতে তাঁকে তার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা লিখে জানাতে পরামর্শ দেওয়া হয়।

 

মাওলানা সা’দের প্রাথমিক জবাব সন্তুষজনক ছিল না। তিনি তাঁর চিঠির শেষের দিকে গিয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁর যে সকল বক্তব্যকে ঘিরে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, মানুষ যাতে বিভ্রান্ত না হয়, সে লক্ষে আগামীতে তিনি সেগুলোর ব্যাখ্যা তুলে ধরবেন।

 

কী বলেছেন মাওলানা সা’দ

!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

এটা এখানে আলোচনায় আসা জরুরি না। তিনি যেভাবে যা বলেছেন, সেভাবে কথাগুলো বলা সঠিক কিনা, এটাই দেওবন্দের ফতওয়ার মূল বিষয়। দেওবন্দের সিনিয়ার উলামা সেগুলো যাচাই-বাছাই করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বা নিচ্ছেন। এগুলো নিয়ে আমাদের অতিপণ্ডিতি অবস্থান এবং ফেইসবুকিয় গবেষণা হুজুগি আবেগের আত্মঘাতী প্রকাশ ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। লোকজন হাসছে। নিজেরা হাসির পাত্র হচ্ছি।

 

বিভ্রান্তির নিরসনে দেওবন্দ

!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

দারুল উলুমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ‘জরুরি ওয়াজাহাত’ নামে আপলোডকৃত এক পাতার বক্তব্যে বলা আছে,

 

======= ”জনাব মাওলানা সা’দ সাহেব কান্দলবির কিছু ভুল চিন্তাধারা এবং আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে দারুল উলুমের সিনিয়ার আসাতিজা এবং মুফতিগণ একটি ঐকবদ্ধ অবস্থানপত্রে স্বাক্ষর করে ফেলার পর জানা যায় মাওলানা সা’দ এর পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল দারুল উলুম আসতে চায়।

প্রতিনিধিদল আসে এবং তাঁরা জা্নায়, মাওলানা সা’দ তাঁর অভিযুক্ত কথাগুলো ফিরিয়ে নিতে রাজি আছেন। যার প্রেক্ষিতে দেওবন্দের স্তিরিকৃত সিদ্ধান্তের একটি কপি প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে মাওলানা সা’দ সাহেবকে পাঠিয়ে দেয়াহয়। উনার কাছ থেকে একটি জবাব আসে। কিন্তু জবাবটি দারুল উলুম দেওবন্দকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। কেনো পারেনি, সেটাও লিখিত ব্যাখ্যা আকারে সা’দ সাহেবের কাছে পাঠিয়ে দেয়াহয়।”======

 

লক্ষ্যণীয় যে, দেওবন্দ থেকে যথারীতি একটি ফতওয়া ইস্যু করার পরও পরিভাষাগত কোমলতা অবলম্ভন করে ‘ফতওয়ায় দস্তখত করার পর’ না বলে, ‘সর্বসম্মত অবস্থান ঠিক করার পর’ বলা হয়েছে।  ‘জরুরি ওয়াজাহাত’ শিরোনামে প্রকাশিত গেজেটের দুই স্থানে দু’টি শব্দ দ্বারা ব্যাপারটি তুলে ধরা হয়েছে।

এক, মত্তফক্বা মওক্বফ বা সর্বসম্মত অবস্থান।

দুই, তাহরির বা লেখা

এ থেকেই কি বোঝা যায় না দারুল উলুম দেওবন্দের মানসিকতায় এগ্রোসিভনেস ছিল না। ঐদার্যের পথেই আগাচ্ছিলো।

 

তবে কেনো দেওবন্দের ওয়েবসাইট সেগুলো প্রকাশ করল?

!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

প্রশ্ন ওটা স্বাভাবিক, জনসাধারণের জন্যই যদি না হবে, তবে কেনো দেওবন্দের ওয়েবসাইট এসব প্রচার করল। ওয়েবসাইট কি শুধু উলামায়ে কেরাম দেখেন? পাবলিক দেখে না?

জবাব দেয়া আছে দারুল উলুমের ওয়েবসাইটেই।  ৪ ডিসেম্বর ২০১৬ স্বাক্ষরিত  ‘জরুরি ওয়াজাহাত’ শিরোনামে প্রকাশিত দেওবন্দের সেই গেজেটের নিচে দুই লাইনের একটি নোটে বলা আছে,

 

======= ঐ লেখা লেখা (এখানেও ‘ফতওয়া’ বলা হয়নি। ‘লেখা’ বলা হচ্ছে) উলামায়ে কেরাম ও বিশেষ ব্যক্তিবর্গের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে এটি স্যুশাল মিডিয়ায় প্রচার হয়ে গেছে। লোকজন বিভ্রান্ত হচ্ছে। তাই দেওবন্দের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তুলে ধরাহল।

 

দারুল উলুমের ওয়েবসাইটে ব্যাখ্যাসহ সবগুলো চিঠি এবং সিদ্ধান্তপত্রটি আপলোড করে রাখা আছে। এখানে আছে, দেওবন্দের সিদ্ধান্ত, মাওলানা সা’দ জবাবী চিঠি, জবাবের উপর দেওবন্দের অসন্তুষনামা এবং জরুরি ওয়াজাহাত নামে দেওবন্দের সারসংক্ষেপ বক্তব্য। তারমানে, দেওবন্দ সেগুলো প্রচার করেনি। প্রচারের পর ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে মাত্র। আমাদের  জন্য ভালো হয় পণ্ডিতিমূলক গবেষণা বন্ধ করলে।

 

রকমারি অপরচার

!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

অপপ্রচারের জন্য ফেইসবুকেরচে’ ভাল আর কোনো বিকল্প নাই। আগে উলটা-পাল্টা নিউজ করা অনেক ঝামেলার ছিল। এভিডেন্স ছাড়া কোনো নিউজ পত্রিকাওলারা প্রকাশ করত না। কারণ, তাদের জবাবদিহিতা আছে। ইচ্ছামত কিছু প্রচার করতে চাইলে অনেক পয়সা খরচ করে বিজ্ঞাপন আকারে দিতে হত।

আজকাল ফেইসবুকের কল্যানে, একেতো মাগনা, তার উপর আবার জবাবদিহিও করতে হয় না বলে লাইনে লাইনে লেখক আর কাতারে কাতারে গবেষকদের যেমন খুশি গবেষণা উদগিরণের মহড়া চলছে! অনলাইনের খোলা পাতাটি এখন বিশাল একটা বমিকেন্দ্র।

পেটে সমস্যা?

বদহজম?

বমি করা দরকার?

চলে আসা হল ফেইসবুকে!!!

 

মাওলানা সা’দ কান্দোলবি এবং দারুল উলুম দেওবন্দকে ঘিরে যে পর্যায়ের ইচড়ে পাকা গবেষণা দেখলাম এই ক’দিনে, নোবেল কমিটি যদি ‘ইসলামী গবেষণা’ নামে কোনো ক্যাটাররি লঞ্চ করত, তাহলে এই ক’দিনের গবেষকদের ঠেলায় এই ক্যাটাগরিতে লোক বাছাইয়ে রীতিমত বিপদে পড়ে যেত তারা! কাকে ছাড়ে কাকে রাখে!

 

-সা’দ সাহেব গোমরাহ হয়ে গেছেন। দেওবন্দ ফতওয়া দিয়েছে!

-দেওবন্দ তাবলিগের বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়েছে।

-মাওলানা সা’দ উনার বক্তব্য ফিরিয়ে নিয়েছেন!

-সা’দ সাহেব রুজু করার পরও দেওবন্দ ফতওয়াটা দিলো কেমনে!

-তিন মাস আগে সা’দ  নিজামুদ্দিন থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

-তাকে ঘিরে তাবলিগের ভেতরেই কথা হচ্ছিলো ধীর্ঘদিন থেকে।

——————— এগুলো সবই ফেইসবুকিয় গবেষণা!! এগুলো দেখে দেখে অনেকেই ভেবে পাচ্ছে না গবেষণা আর গবেটষণায় ব্যবধান কত!!

 

মাওলানা সা’দ আর তাবলিগ কি সমার্থক?

!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

কিছু নাবালেগ তাবলিগওলাদের কথাবার্তার ধরণ থেকে বোঝা যাচ্ছে দেওবন্দ বুঝি তাবলিগের বিরুদ্ধেই ফতওয়া দিয়েছে! অথচ; ব্যাপারটি আদৌ তা নয়। বরং দেওবন্দ থেকে বলা হয়েছে, দারুল উলুম দেওনব্দের আকাবির কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত তাবলিগের এই মুবারাক কাজকে ভুল নযরিয়া ও চিন্তাধারা থেকে বাঁচানোর জন্যই এই পদক্ষেপ। দোয়া করা হয় আল্লাহপাক যেনো তাবলিগ জামাতকে হেফাজত করেন।

 

সর্বশেষঃ

লেখাটি মাত্রই লিখে শেষ করেছি। তখনই জানলাম গতকাল মাওলানা সা’দ কান্দোলবি চূড়ান্তভাবে উনার সকল অভিযুক্ত বক্তব্য ফিরিয়ে নেয়ার কথা দেওবন্দকে জানিয়েছেন। দেওবন্দ এবারে আশ্বস্থ হয়েছে। চলুন আমরা এবার থামি। গবেষণার ঝাপিগুলো এবার বন্ধ করি। তাবলিগ, মাওলানা সা’দ এবং দেওবন্দ ইস্যুটি নিয়ে জল ঘোলা করার  ইতি টানি।  অনেক তো হল। আর কত!!

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...