শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সকাল ৭:৫৮
Home / সংবাদ / বিশ্বকে রোহিঙ্গা মুসলমানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান
পুরানা পল্টনস্থ মাওলানা আতহার আলী রহ. মিলনায়তনে নেজামে ইসলাম পার্টি আয়োজিত আলোচনাসভায় নেতৃবৃন্দ

বিশ্বকে রোহিঙ্গা মুসলমানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান

কমাশিসা : ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেছেন, জাতিসংঘসহ মুক্ত বিশ্ব ও মানবাধিকারের প্রবক্তাদের নীরবতায় মিয়ানমার আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বর্বরোচিত হামলা অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত হচ্ছে। বৃটেনের অবৈধ সমর্থনে বেআইনীভাবে দখলিকৃত আরাকানের ওপর মিয়ানমারের আগ্রাসী তৎপরতাকে কিছু কিছু দেশ সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছে। ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির লালনভূমি রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমারের নির্মম অত্যাচার অব্যাহত হত্যাযজ্ঞ থেকে মুসলিমবিশ্বকে শিক্ষা নেয়া উচিৎ।

কেননা, এ ধরনের আগ্রাসন থেকে কোন মুসলিম দেশই রেহাই পাবে না। সকল ন্যায়-নীতি, জাতিসংঘ সনদ জলাঞ্জলী দিয়ে মিয়ানমার নারকীয় আচরণে লিপ্ত রয়েছে। বাঁচতে হলে ইসলামী উম্মাহকে শীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। তিনি আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর অব্যাহত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে মিয়ানমারের সাথে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যসহ সকল প্রকার সম্পর্কচ্ছেদের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে জাতিসংঘ, ওআইসি, ন্যাম, আরবলীগসহ শান্তিকামী বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ মাওলানা আতহার আলী রহ. মিলনায়তনে নেজামে ইসলাম পার্টি আয়োজিত ‘আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধনযজ্ঞ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের কর্তব্য’ শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে বক্তব রাখেন মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন, মাওলানা একেএম আশরাফুল হক, সৈয়দ মুহাম্মদ আহসান, মাওলানা মমিনুল ইসলাম, মাওলানা কামাল উদ্দিন শিহাব কাসেমী, মুহাম্মদ নুরুজ্জামান প্রমুখ।

আইওজে চেয়ারম্যান বলেন, এককালের স্বাধীন-সার্বভৌম ২০ হাজার বর্গমাইল এলাকা বিশিষ্ট আরাকান প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বসবাস বেশি। তাদের পূর্ব পুরুষরা হচ্ছে আরব, তাম্বুকিয়াস, তুর্কি, ইরানি, পাঠান, কামানচিস, মোঘল, বাঙালি এবং ইন্দো-মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভুৎ কিছু জনগোষ্ঠী। তারা ৬ষ্ট শতাব্দি থেকে আরাকানসহ মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করতে থাকে। ২,৬১,৯৭০ বর্গমাইল এলাকা বিশিষ্ট মিয়ানমারের লোকসংখ্যা ৫২ মিলিয়ন। মুসলমানরা মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার এক ষষ্টমাংশ। মুসলমানদের সংখ্যা ৭-১০ মিলিয়ন। মিয়ানমারে মুসলমান, স্যান, চিন, কারেন, রাখাইন ও বারমনসহ ১৪০টি জাতিগত গোষ্ঠি রয়েছে। তবে মিয়ানমারে মুসলমানরা দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠী। ৬ষ্ঠ শতাব্দি থেকে মুসলিম জনগণ মিয়ানমারের শহর-বন্দর-গ্রামে বসবাস করে আসছেন।

মাওলানা নেজামী আরো বলেন, মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশে আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের চিরন্তন ঘোষণার তোয়াক্কা না করে মুসলমানদের ওপর রাজনৈতিক, অর্থনেতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয়ভাবে নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হচ্ছে। তারা গণহত্যা ও দাঙ্গার শিকার। শত শত মুসলমানের প্রাণহানি ঘটছে। মসজিদ-মাদরাসা এবং সহায় সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। আরাকানে মুসলমানদের জুমার নামায আদায়ে বাধা দেয়া হচ্ছে। তাই আজ মিয়ানমারে মুসলমানরা চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনি মুসলমানদের রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার জন্যে বিশ্বের স্বাধীনতাকামী ও শান্তিকামী মানুষ এবং মুসলিমবিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান।

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়’ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি: এফবিআই

কমাশিসা ডেস্ক:: ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়’ নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে ...