দারুল উলুম দেওবন্দ আমাদের আবেগ, আামাদের ভালোবাসা, আমাদের আদর্শ। দেওবন্দের অবদান আজ বিশ্বময়। সারাবিশ্বে দ্বীনের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে দারুল উলুম দেওবন্দ। কিন্তু এই দেওবন্দের অনেক অজানা কাহিনী আছে; যা শুনলে পাঠকমাত্রই আগ্রহী হয়ে ওঠবেন। সেইসব অজানা কাহিনী নিয়ে পাঠকদের সামনে নিয়মিত হাজির হচ্ছেন দেওবন্দের কৃতিছাত্র মুহাম্মাদ নাজমুল ইসলাম। ইনশাআল্লাহ আমরা তার “অজানা দেওবন্দ” ধারাবাহিক প্রকাশ করবো। সেই ধারাবাহিকতায় আজ প্রকাশিত হল ১ম, ২য় ও ৩য় পর্ব।
১. আসুন জেনে নেই যে সকল রাষ্ট্রের ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যাপিঠ মাদরে ইলমী “দারুল উলূম দেওবন্দ”র শিক্ষা ও সনদ লাভে ধন্য হয়েছে এবং আজও হচ্ছে……
ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রী
(সুত্র:ইখলাস কা তাজমাহাল দারুল উলূম দেওবন্দ।পৃষ্ঠা -৩১)
২. নিম্নোক্ত গুণসমন্বিত বৈশিষ্টে’র নাম হলো আমাদে প্রাণের স্পন্দন মাদরে ইলমী “দারুল উলূম দেওবন্দ”(ইউপি, ভারত)
♦ বিশ্বাসে→ইসলাম।
♦ ফিরকাতান→আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত।
♦ মাযহাব→হানাফী।
♦ মাশরাব→সুফী।
♦ কালাম→আশ’আরী ও মাতুরিদী।
♦ সুলূক→চিশতী বরং জামিউস সালাসিল।
♦ চিন্তা চেতিনা→ওলিউল্লাহী।
♦ উসূল→ক্বাসেমী।
♦ ফুরূ→রশিদী।
♦ নিসবাতান→দেওবন্দী।
(সুত্র: তারজুমানে দেওবন্দ, ফেব্রুয়ারি ২০০১ খৃস্টাব্দ)
৩. দুধের গল্প:
এটা হলো, নওদারা। এই আঙিনাকে বলা হয় মুলস্রি। কেননা এখানে মুলস্রি নামক ফলের দুটো গাছ রয়েছে। যেটাই হলো এই নামকরণের একমাত্র কারণ। এখানেই শেষ না। এখানেই ছিলো একটি ঐতিহাসিক কূপ। যেটা নাকি এই নওদারা নির্মাণের সময় খনন করা হয়েছিলো। এ কূপেরও রয়েছে বিশাল এজ মাহাত্ম্য। অজানা এক কাহিনী। একবার শাহ রফিউদ্দীন রাহ. স্বপ্নে দেখলেন যে এই কূপ দুধে ভর্তি হয়ে গেছে। এবং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পেয়ালা দিয়ে উক্ত দুধ বণ্টন করছেন। কেহ বড় পাত্র দিয়ে দুধ নিচ্ছে। আর কেহ কেহ ছোট ছোট পাত্র দিয়ে দুধ নিচ্ছে।
ঘুম থেকে জাগার পর হজরত এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা করলেন এভাবে,
এখানে দুধ দারা উদ্দেশ্য হলো ইলম। সুতরাং কেয়ামত অবধি যারাই এখানে পড়তে আসবে প্রত্যেকেই নিজ নিজ মেহনতের উপর ইলম লাভে ধন্য হবে।
এই পাত্রের মতো।
কেউ কম কেউ বেশী।
(সুত্র:তারিখে দারুল উলূম খ.১পৃষ্ঠা.১৮৬)
লেখক : শিক্ষার্থী, দারুল উলুম দেওবন্দ