কমাশিসা ডেস্ক ।।
১৯৭১ সালের পূর্ববর্তী সময়ে ‘অনাদায়ি ফেলে যাওয়া সম্পদের’ আর্থিক মূল্য বাবদ বাংলাদেশের কাছে প্রায় ৬৯১ কোটি টাকা ( ৯২১ কোটি পাকিস্তানি রূপি) পাওনা দাবি করে তা ফেরত চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।
দেশটির প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান (এসবিপি) হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে মোট ১১৪৫ কোটি টাকা (১৫২৫ কোটি রুপি) পাওনা আছে পাকিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশের কাছে পাবে ৬৯১ কোটি টাকা আর ভারতের কাছে পাবে ৪৫০ কোটি টাকা (৬০০ কোটি রুপি)। ভারতের কাছে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগের অর্থনৈতিক লেনদেনকে ভিত্তিতে উল্লেখিত পরিমান টাকা দাবি করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের দাবি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জমি, ভবন, আসবাবপত্র, অফিসের ব্যবহার্য নানা দ্রব্য, যানবাহন, সরকারি বন্ড, ঋণ, বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণের এখন আর্থিক মূল্য দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশি টাকায় ৬৯১ কোটি টাকা।
সম্প্রতি পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সকল বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অর্থের পরিমাণ নির্ধারণের তথ্য প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেওয়ার পর স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান (এসবিপি) প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এবং চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এসব সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করেছে।
ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, মুদ্রা ছাপানোর জন্য পাকিস্তান ভারতকে দেনা পরিশোধ করলেও ভারত সাত দশকেও তা করেনি বলে অভিযোগ পাকিস্তানের। আর এ খাতে ভারতের দেনা ধরা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা (৪০০ কোটি পাকিস্তানি রুপি)।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, নতুন করে হিসাব করলে পাওনা টাকার পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। তবে কোনো সম্পদ কিংবা পাওনা যদি বিনিময় কেন্দ্রিক হয়, তারও বিস্তারিত বিবরণ হাজির করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের কাছ থেকে পাওনা টাকা ফেরত পেতে পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ উত্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিশ্চিত করেছে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের মূল প্রতিবেদন: India, Bangladesh owe Pakistan Rs15.25 billion