বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সভাপতি ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন দক্ষিণবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া গওহরডাঙ্গার মুহতামিম মুফতী রুহুল আমিন।
১০ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১২টায় হাটহাজারী মাদরাসা মহাপরিচালকের কার্যালয়ে তারা সাক্ষাতে মিলিত হন। এ সাক্ষাৎটি ছিল কোন ধরনের পূর্বযোগাযোগ ছাড়াই। বিষয়টি মিডিয়াকে নিশ্চিত করেছেন আল্লামা শফীর প্রেসসচিব মাওলানা মুনির আহমদ।
আহমদ শফীকে উদ্দেশ্য করে রূহুল আমীন বলেন, হুজুর! আমি আপনার শাগরেদ, আপনি আমার উস্তাদ। উস্তাদের কাছে শাগরেদ আসতে আগে খবর দেয়া লাগে না। আগে বলে আসার জরুরত হয় না। তাই আমি ফোন দিয়ে বা খবর দিয়ে আসিনি। চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টে নেমে কারো সঙ্গে কথা না বলে সোজা হুজুরের কামরায় চলে আসলাম।
এ সময় বেফাক সভাপতির সঙ্গে রূহুল আমীনের কওমী সনদের স্বীকৃতি বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। এক পর্যায়ে মুফতী রূহুল আমীন আল্লামা শফীকে ১৭ সদস্যের কওমী কমিশনের বৈঠক আহ্বানের অনুরোধ জানান। জবাবে বেফাক সভাপতি বলেন, গত ১২ অক্টোবর বেফাকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রথমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১০ সদস্যের বেফাক প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করবে এবং তার হাতে আমার চিঠি হস্তান্তর করবেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে চিঠি দেয়ার পর সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে ১৭ সদস্যের কমিশনের বিষয়ে অবস্থান তুলে ধরা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সময় চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো তারা কিছু জানাননি।
এ সময় মুফতী রূহুল আমীন বেফাকের বাইরে পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে আহমদ শফীকে অনুরোধ করেন। আল্লামা শফী বলেন, কওমী সনদের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কয়েকজনে মিলে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সিদ্ধান্ত না নিয়ে উপজেলা-জেলা পর্যায় থেকে সব স্তরের কওমী মাদরাসা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এবং আলেমদের স্পষ্ট মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, যাছাই-বাছাই, চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং ঐকমত্যে পৌঁছা ছাড়া সনদের বিষয়ে তাড়াহুড়ো সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই। কারণ, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন ইসলামের প্রতিকূলে। আর যেকোন ভুল সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের মুসলমান, আলেমসমাজ ও ইসলামী শিক্ষার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে, দায়িত্বশীলদের এটা মাথায় রাখতে হবে।