মুহাম্মদ নাজমুল ইসলাম ::
বরকতময় এই পাঁচটি জায়গাকে একত্রে বলা হয় মাওয়াজি’য়ে খামছা। দেশে শুধু জায়গাগুলোর কথা শুনতাম আর আফসোস করতাম, হ্যায়…! আমার কি এসমস্ত জায়গার যিয়ারাত নসীব হবে? আমি কি এসমস্ত জায়গায় চিরশায়িত আকাবিরদের ফয়েজ লাভে ধন্য হবো? না, মাওলা আমায় মাহরুম করেন নি। আর করার ইচ্ছাও করেন নি….!
ঈদুল আযহার পরদিন। বন্ধুবর সাথী শামিম, আব্দুল হাকিম, হাফিজ আলী ও আমি এ বরকতময় সফরের উদ্দেশ্যে দারুল উলূম থেকে বের হলাম। অবশ্যই এর আগে প্রত্যেকেই নিজেদের তালীমি মুরুব্বী হজরাতদের সঙ্গে কেমনে, কীভাবে সফর করবো মশওয়ারা করে নিলাম।
সফরে তারতীব হলো এভাবে, প্রথমেই আমরা হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মাক্কী রাহ. এর পীর এমনকি আমাদের সকল আকাবীরদের পীর নূর মুহাম্মদ মিয়াজী ঝিঞ্জানাভি রাহ. এর মাক্ববারায় যাবো। সেখান থেকে ফেরার পথে ঐতিহাসিক শামেলি ময়দান, থানাভবন ও নানুতা যিয়ারত করে নেবো। যাক সে অনুযায়ীই সফর সম্পন্ন হলো।
এবার বলি আমাদের অনুভূতিঘেরা স্বপ্নপুরী জায়গাগুলো বিবরণ।
ঝিঞ্জানা। মনে হলো মিশকে আম্বর পুরোহিত একটি গ্রাম। মুসলমান সংখ্যায় প্রায় ৭০% এর বসবাস। মাশাআল্লাহ! প্রায় অধিকাংশ লোকেরই মাথায়ই দেখলাম টুপি। চলার পথে অনন্য এক ভালোলাগা ছিলো সবার মুখে মুখে সালামের ধ্বনি শুনে। গ্রামে প্রবেশ করেই পাড়ার মসজিদে (সালাতুয যুহর) নামাজটা আমরা আদায় করে নিলাম। তারপর মাক্ববারার সন্ধানে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। মসজিদ থেকে একটু সামনে এগুনোর পরই এক বৃদ্ধ আমাদের দেখে উচ্চস্বরে সালাম দিলেন। আমরা কাফেলার সবাই সালামের উত্তর দিয়ে উনার হালপুরসি করলাম।
তারপর আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম,
“হাজি হাম দারুল উলূম সে আয়া নূর মুহাম্মদ ঝিঞ্জানাভী কা ক্ববর কিদর হে”। মুরব্বী ঠিক ঠিক রাস্তা বলে দিলেন; কিন্তু আমরা আগে বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে মাক্ববারা অতিক্রম করে কিছুটা দূরে চলে গেলাম। যাকগে, শেষতক এক দেওবন্দি আক্বিদার মাদরাসার হাওয়ালা হলাম। কিন্তু আমরা যাকে তা’খির করার ইচ্ছা করছিলাম তা যে তাক্বদিম হয়ে গেলো তা তখনইই বুঝতে পারলাম যখন মাদরাসার ভিতরে প্রবেশ করলাম। ঘটনাক্রমে এটাই ছিলো হযরতের প্রতিষ্ঠিত একমাত্র মাদরাসা। মাদরাসায় ঢুকে আমরা এক উস্তাদের স্মরণাপন্ন হলাম। আলহামদুলিল্লাহ্!
আমরা দারুল উলূমের ছাত্র শোনার পর তিনি ভীষণ খুশি হলেন। কিছুসময় বিশ্রাম করার আবদার করলেন। সময় স্বল্পতার দরুণ বিশ্রামে অপারগতা পেশ করলাম। তারপর তিনি তাঁর এক ছাত্রকে আমাদের রাহবর হিসেবে কবর পর্যন্ত সঙ্গে দিলেন।
আমরা এই তালিব ভাইকে সাথে নিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার পায়ে হেঁটে সফর করে কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছলাম। গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকেই দেখতে পেলাম একটি কবর, যা দেখতে প্রায় আমাদের ‘শাহজালাল এর মাজারে মতো কিছু ভণ্ডদের কবলে জর্জরিত। কিছুটা খারাপ লাগলো। মনে হলো এটাই হয়তো হজরতের মাক্ববারা। কিন্তু বিষয়টি তখনি পরিস্কার হলো যখনই সামনে বেড়ে দেখতে পেলাম ফটকে লেখা, ইয়ে “মাক্ববারায়ে সায়্যিদ মাহমুদ সারওয়াযি” (অবশ্যই তিনিও নূর মুহাম্মদ মিয়াজি রাহ.’র মুরিদ)।
যাক, কিছুটা এদিক সেদিক তাকানোর পর মসজিদের সেহেনের পাশেই হঠাৎ একটা সাদামাটা মাক্ববারা আমার চোখে পড়লো। সঙ্গে সঙ্গেই আমার ইয়াক্বিন হয়ে গেলো এটাই মিয়াজি রাহ.’র কবর হবে। আলহামদুলিল্লাহ্! ধারণা এমনই হলো। কবরের নিকটবর্তী হতেই ঝকঝকে দুটি ফটক চোখে পড়লো। আহ! কতইনা সুন্দর। মনে হলো স্বর্ণঘেরা বাগানে আলোকরশ্মি জ্বলছে। আর তা তো হবার ই কথা। সেখানে যে আশিকের (হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজীরে মাক্কি রাহ.) হাতে মা’শুকের (নূর মুহাম্মদ মিয়াজি রাহ.’র উদ্দেশ্যে) বিরহগাথা ছন্দের ঝঙ্কার ঝনঝন করছে তা কার না ভালো লাগে। তৃপ্তির সাথে উভয়ের কবর যিয়ারত করে একটু সময় মৃদু বাযুতে ঘুরাফেরা করে ঝিঞ্জানাকে বিদায় জানিয়ে শামেলির পথে যাত্রা করলাম।
ঝিঞ্জানা থেকে আমরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলে চললাম ঐতিহাসিক শামেলী’র (ময়দানের) পথে। উক্ত স্থানটি এক পলক অবলোকন করার জন্য আসলে সবার চেয়ে আমার মনটা ছিলো ছটফটে। ঐতিহাসিক এ ভূমিতে বিচরণের আদম্য স্পৃহা ছিলো আমার একটু বেশি।আর হবেই বা না কেন? ইতিহাসের পাতা যে রঙ্গিন হয়ে আছে সেখানের তরতাজা শহিদী রক্তে…!
(বলছিলাম সেদিনের কথা, যেদিন হিন্দুস্তানের ভূমি থেকে ব্যবসার নামে ভূমি দখলদারি গাদ্দার বৃটিশদের হটিয়ে দিতে একঝাঁক বুজুর্গ মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ঘাঁটি বেধেছিলেন এই ভূমিতেই। মনের বাসনা ছিলো হিন্দুস্তানের আদমিদের একরাশ ভালোবাসার বন্ধন ফিরিয়ে আনা। নিজেদের আযাদ করা। হারানো সম্পদ এবং বৈরী নির্যাতন থেকে নিজেদের মুক্ত করে হারানো স্বাধীনতা ফিরে পাওয়া। আকাবীরদের মিশনকে বাস্তবায়ন করে হিন্দুস্তানের ভূমিকে আযাদ করা। তা-ই-করতে এই ময়দানেই মুখোমুখি হলেন ইংরেজ বাহিনীর। শুরু হলো তুমুল সংঘর্ষ। বুলেটের আঘাতে দেহ থেকে টপ করে উড়াল দিয়ে অন্য যোদ্ধাদের শোক সাগরে ভাসিয়ে নিমিশেই চলে গেলো দুই মনীষীর পবিত্র প্রাণ। শামেলীর মাটি হলো রক্তে রঙ্গিন। অন্যান্য যোদ্ধারা এবার ফিরে পেলেন নতুন এক স্পৃহা। যুদ্ধ তীব্র থেকে তীব্র হয়ে উঠলো। দুটি তাজা প্রাণের বিনিময়ে ফাতাহ হলো শামেলী। ইতিহাসের খাতায় রক্ত অশ্রু দিয়ে লিখা হলো সেই দুই শহিদান আল্লামা যামিন শহিদ ও আল্লামা আব্দুল্লাহ তানভী রাহ.’র পবিত্র নামদ্বয়।)
কাফেলার সবাই বাস থেকে শামেলী স্টেশনে নামলাম। এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করলাম শামেলী ময়দানের অবস্থান। না, এবার আর তেমন কষ্ট করতে হলো না। সামনে পেলাম চলন্ত এক ছোট্ট তালিব ভাইকে। জিজ্ঞেস করলাম, “এই ছোটা! শামেলী ময়দান পাহচানতে হো?
বলল, কৌন্সি ময়দান? জিসকে সাথ হিন্দুস্তান কি আযাদী কা তাহরিক মুতা’আল্লিক হে আওর জিসকি বারে মে হাম কিতাব মে পড়হা অহ…?
হে। য়ে হে। আচ্চা তোড়া আগে বাড়হো ইনশাআল্লাহ জরুর মিল জায়েগা…।
যাক, আমরা তার বাতলে দেওয়া রাস্তায় চলতে না চলতেই কাঙ্খিত জায়গা পেয়েই গেলাম। নয়নাভিরাম অবলোকনে আত্মার প্রশান্তি বাড়তেই লাগলো। কিন্তু অপরদিকে অজরা অশ্রু কপালে জমাট বাধতেই লাগলো। নিজেকে আটকাতে না পেরে সবসময় দেখে দেখে এই চেতনায় নিজেকে গড়ার জন্য ক্লিক ক্লিক করে দু চারটা পিকচার তুলে ফেললাম। কিছুক্ষণ হাটলাম, দেখলাম আর ইতিহাসে পাতায় অঙ্কুরিত দ ‘চারটা লাইন আবছা আবছা মাথায় উপস্থিত করলাম।
দেখলাম দুঃজনক হলেও সত্য, আজ আর সেই বিশাল শামেলী ময়দান বাকি নেই। কিছুটা হিন্দুবাদিরা দখল করে মন্দির বানিয়ে রাখছে। কিছুটা জঙ্গল। আর কিছুটায় আল্লামা যামিন শহিদ রাহ.-এর নামে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর সেখানের ইলমের আলোকরশ্মি চারি তরফ ঝলমল করে রাখছে।
আসর ছুঁই ছুই ময়দান থেকে বেরুলাম। এবার যাবার পালা এখানেই শাহাদাত বরণকারী দুই বুজুর্গ’র মাকবারা যিয়ারত করা। তবে তাদের মাকবারা কিন্তু এখানে না। দাফন করা হয়েছে থানাভবনে আল্লামা আশরাফ আলী থানভী রাহ’র এর মাকবারার নিকটবর্তী এক কবরস্থানে। তাই এবার আমরা সোজা চললাম থানাভবনের দিকে।
সারি সারি আখ (ইক্কু) বাগানের ভিতর দিয়ে বাস আমাদের নিয়ে চলল। ঘণ্টাখানেকের ভিতরেই পৌঁছে গেলাম থানাভবনে। গাড়ি থেকে নেমেই দেখতে পেলাম একটি ফটকে বড় করে লেখা “শারি’য়ে হাকিমুল উম্মত”।
ব্যস, এ পথ ধরেই সামনে এগুতে থাকলাম। কিছু পথ এগুতেই সাক্ষাৎ হলো এক বৃদ্ধ চাচ্চুর সাথে। খানকা কোথায় জানতে চাইলে হাসিমাখা মুখে চাচ্চু বললেন, ‘সিদা রাস্তা সে চলো ইয়ে কবি মত চুড়ো’।
আমরা চলতে থাকলাম। শেষতক হাকীমুল উম্মত হজরত আশরাফ আলী থানভী রাহ.র খানকায় (খানকায়ে ইমদাদিয়া) পৌঁছালাম। পৌঁছেই প্রথমেই আসরের সালাত আদায় করে নিলাম। যেহেতু জামাত মিস হয়ে গেলো তাই আমাদের প্রত্যেকেই যে যার মতো ইনফেরাদি নামাজ শুরু করলো। আমি আর মসজিদে না পড়ে দুরু দুরু বক্ষ নিয়ে ‘খুলওয়াত গাহে হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মাক্কি’ রাহ. (যে ছোট্ট কামরায় তিনি এবং পরবর্তীতে থানভী রাহ.ইবাদত করতেন) এ ঢুকে আদবের সাথে আসরের নামাজ আদায় করে নিলাম এবং কিছুক্ষণ মাওলার দরবারে রুনাজারী করলাম। তারপর সেখান থেকে বের হয়ে চোখ পড়লো বারান্দার চতুঃপার্শ্বে। দেখলাম, তাতে অনেক ফেস্টুন লাগানো। তাই মিস করলাম না, ক্লিক ক্লিক করে সেখানে লাগানো হজরতদের মুখনিঃসৃত কিছু বাণীর পিকচার উঠালাম। দেখলাম আরো অনেক কিছুই যেমন:
আল্লামা যামিন শাহিদ রাহ.’র ইবাদতখানা;
আল্লামা ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মাক্কী রাহ.’র ইবাদত খানা (আকারে এতোই ছোট্ট দেখলে অবাক হওয়া ছাড়া উপায় নেই)
আল্লামা আশরাফ আলী থানভী রশ.র বিশাল তাসনিফ (রচনা) গাহ।
তারপর আমরা ধীরে ধীরে চললাম মাকবারা যিয়ারতের উদ্দেশ্যে। খানকা থেকে মাকবারা প্রায় ২কিলোমিটার দূরে। মহল্লার মেঠো পথ অতিক্রম করে প্রথমেই আমরা পৌঁছলাম থানভী রাহ.র মাকবারায়। এখানে প্রবেশ করে আরোই হতবিহ্বল হয়ে গেলাম..! আমার মনে হয় না যে অতীতে এতো বড় বুজুর্গদের এরকম সাদামাঠা কবর চোখে পড়ছে কি না…! তারপর আবার এতোই পরিষ্কার! দেখলেই মনে হয় হজরতের তবীয়ত কেমন ছিলো। খানকা থেকে নিয়ে হজরতের যে স্মৃতিই দেখলাম, সবই একদম গোছালো ও পরিষ্কার। কিছুক্ষণ ইসালে সওয়াব করে সামনে এগুলাম সেই….দুই বীর শহীদানের (আল্লামা যামিন শহিদ ও আল্লামা আআব্দুল্লাহ থানভী রাহ.)’র কবর যিয়ারতের উদ্দেশে।বরই গাছের ঝোপঝাড় বিশিষ্ট একটি কবরস্থান। অনেক চমৎকার। যতোই কাছে যেতে থাকলাম নিজের মাজে প্রশান্তির আমেজ অনুভব করলাম। ইতিহাসের পাতা থেকে সুগন্ধি নিতে লাগলাম। হযরতদ্বের মাকবারা তৃপ্তির সাথে যিয়ারত করে কাফেলার সকলেই শান্তিময় হাওয়া খেয়ে খেয়ে নানুতার দিকে মুখ করলাম।
মাগরিব থানাভবনেই আদায় করে নানুতার বাসে চড়ে বসলাম। গেন্ডারিয়ার ঝোপঝাড় ফাক করে বাস সামনে এগুতে থাকলো। প্রায় এক ঘণ্টা জার্নি করার পর বাস আমাদের নানুতা স্টেশনে নামালো। নেমেই আমরা এক ব্যবসায়ী ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম: “হাজি ইয়াকুব নানুতাভী কা মাকবারা কিদর হে?
ভদ্রলোক বললেন, “ইদরসে পাঁচ মিনিট চলো ইনশাআল্লাহ জরুর মিল যায়েগা। আগর তাকলীফ মাহসুস হো তো মেরে মোটর বাইক লেকর যানে কি ইজাযত হে…..! কইয়ি দিক্ক্বত নেহি!”
বললাম, “জাযাকাল্লাহ হাজি হামতো চার আদমি হে পায়দল যানা হি বেহতর হে।”
আমরা হাইওয়ের পাশ দিয়ে সামনে এগুতেই দেখলাম বিশাল বড় একটি সাইনবোর্ড। লেখা: “মাকবারায়ে হজরত ইয়াকূব নানুতভী”। (উল্লেখ্য যে, কাসিম নানুতভীর মাকবারা দেওবন্দেই “মাকবারায়ে কাসীমিতে”)। আমরা সালাম দিতে দিতে পেপে (উর্দু ভাষায় বলে পমিতা) গাছের ঝোপঝাড় ফাক করে করে হজরতের কবর তক পৌঁছালাম।
কিছুক্ষণ ইসালে সওয়াব করে ফিরে এলাম আবার নানুতা বাস স্ট্যান্ডে। কিন্তু এখানে এসে পড়লাম বিরাট এক বিফাকে। শুনলাম মাগরিব পর আর এখান থেকে দেওবন্দ কোন গাড়ি চলে না।
যদি দেওবন্দ যেতেই হয় তাহলে আগে যেতে হবে(প্রায় ৩২কিলোমিটার) সাহারানপুর।(আবার ওদিকে নানুতা থেকে দেওবন্দ ও হলো ৩২ কিলোমিটার) আর আর সেখান থেকে ট্রেনে করে দেওবন্দ আসতে হবে। হিসেবটা আমাদের জন্য কেমন যেন কঠিন হয়ে গেলো। কিছুক্ষণ নিজেদেরকে হতাশার চাদরে আবৃত মনে হলো।কি করি?
আমাদের এমন টেনশন ফিল করা দেখে এক ভদ্রলোক বললেন আপনারা দাড়ান! “কই না কই লরি (ট্রাক) মিল যায়েগা। বিষয়টি এমনই হলো। কিছুক্ষণ দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই বিশাল একটা মালবাহি লরি (ট্রাক) আসলো। উনি (ভদ্রলোক) নিজেই কথা বলে আমাদেরকে লরির কেবিনে উঠিয়ে দিলেন।
আমরা উনার শুকরিয়া আদায় করে দেওবন্দের পথে রওয়ানা হলাম।
আলহামদুলিল্লাহ শেষতক আল্লাহপাক মাদরে ইলমি পর্যন্ত পৌঁছিয়েই দিলেন।
মুহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, কমাশিসা- দারুল উলূম দেওবন্দ প্রতিনিধি
শিক্ষার্থী, তাকমীল ফিল হাদীস, দারুল উলূম দেওবন্দ, ইউ.পি, ভারত