আওয়ার ইসলাম: চলতি মাসের শুরুতে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদের নতুন বোর্ড গঠনের খবর চাউর হয়েছিল। এ বিষয়ে আওয়ার ইসলাম নিউজও করেছিল। তখন মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ আওয়ার ইসলামকে বলেছিলেন খুব শিগগির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে বোর্ডের কার্যক্রম শুরু হবে। কিন্তু বেশ কিছু যাওয়ার পর কোনো ঘোষণা বা বিবৃতি ছাড়াই ৬ মাস আগেই পরীক্ষার সময় নির্ধারণের বিবৃতি পাঠানো হয়েছে গণমাধ্যমে।
বোর্ডের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মাসউদুল কাদির স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৫ অক্টোবর ২০১৬ বুধবার আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে চেয়ারম্যান ও মুফতি মুহাম্মদ আলীকে মহাসচিব করে গঠিত জাতীয় বেফাকুল মাদারিসের কেন্দ্রীয় বাৎসরিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় বেফাকুল মাদারিসের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি ইবরাহীম শিলাস্থানী জানান, আগামী ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ইংরেজীর রোজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যেই পরীক্ষা পরিচালনার জন্য জরুরি কাগজপত্র মাদরাসাগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।
৩০ অক্টোবর ১৯ রবিবার বোর্ডের কার্যালয় রাজধানীর আফতাবনগরে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাসংক্রান্ত পরামর্শসভায় মুফতি শিলাস্থানী এসব কথা বলেন।
পরামর্শসভায় বক্তারা বলেন, জাতীয় বেফাকুল মাদারিস দারুল উলূম দেওবন্দ ও আকাবীরে দেওবন্দের চিন্তা ও চেতনার উপর প্রতিষ্ঠিত একটি জাতীয় শিক্ষা বোর্ড। ইনশাআল্লাহ কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা আর পথ হারাবে না। আকাবীরে দেওবন্দের নিবিড় তত্ত্বাবধানে এই বোর্ড পরিচালিত হবে।
বোর্ডের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের আগেরই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার প্রসঙ্গে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ একটি অনলাইন মিডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই বোর্ডের কাজ চলছে। অনেকেই পরীক্ষার জন্য যোগাযোগ করছেন, এজন্য পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো মাদরাসা সব সময় আমার সঙ্গে ছিল। আমার নিজের মাদ্রাসাগুলো আবার আমার ছাত্র বা যারা আমার সঙ্গে কাজ তাদের মাদরাসা মিলিয়ে হাজারের উপরেমাদরাসা আছে। তারা মনে করছে, আমাদের সংগঠিত হওয়া উচিত। বেফাকের দাবি তাদের অধীনে আছে পাঁচ হাজার মাদরাসা আছে। এর বাইরেও দেশে বিশ হাজারের বেশি কওমি মাদরাসা আছে। বাকি মাদরাসাগুলো কোথায় যাবে। বাকি মাদরাসাগুলোকে একত্রিত করার উদ্যোগ এটি। বিশেষ করে যারা সনদের স্বীকৃতি পক্ষে তারা একটি প্লাটফর্ম মাত্র।’