শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সন্ধ্যা ৬:৫৪
Home / কওমি অঙ্গন / প্রসঙ্গঃ পাঁচটি আলোচ্য বিষয়, একটি মেসেজ ও আমার বক্তব্য

প্রসঙ্গঃ পাঁচটি আলোচ্য বিষয়, একটি মেসেজ ও আমার বক্তব্য

সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ ::

%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%9fদুদিন আগে মাওলানা হাসান মুহাম্মদ জামীল ভাইর ফেসবুক আইডি থেকে আমার কাছে একটি মেসেজ আসে, এতে আজ শনিবার ঢাকাতে তরুণ আলেমদের একটি বৈঠকের কথা জানিয়ে মেহমান হিসেবে দাওয়াত দেয়া হয় এবং বৈঠকে নিম্নের পাঁচটি আলোচ্য বিষয় উল্লেখ করা হয়

এক) কওমী মাদরাসা শিক্ষার সরকারী স্বীকৃতি বিষয়ে বক্তব্য ও অবস্থান পরিস্কার তুলে ধরা৷
দুই) কওমী মাদরাসার স্বকীয়তা ও স্বাধীনতার ব্যখ্যা আলোচনা৷
তিন) কওমী মাদরাসা শিক্ষানীতি ও কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া বিশ্লেষণ৷
চার) মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ে তরুণ প্রজন্মের আপত্তিকর বক্তব্য বিষয়ে নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ গ্রহণ প্রসঙ্গ৷
পাঁচ) বড়দের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ বিষয়ে মতবিনিময়।

ম্যসেজের সর্বশেষে যাদের নাম লিখা।

মাআসসালাম
কওমী মাদরাসা স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষে-
মাওলানা মামুনুল হক
মাওলানা হাসান জামীল
মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান

বিষয়টি চেতনায়ে কওমি মাদরাসা ফেসবুক গ্রুপ থেকে আবিস্কৃত। আমাকে দাওয়াতও করা হয়েছে ফেসবুকেই। বিষয়টি যেহেতো অপেন, সিক্রেট নয়। আর অনুষ্ঠানটি এখন ফেসবুকে লাইভ চলছে। তাই ফেসবুকে আমিও শেয়ার করছি।

প্রথমেই বলে নেই উক্ত বৈঠককে প্রথমে আমি সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে আজ বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারছি না বলে দুঃখিত। আজকের বৈঠকে উপস্থিত হলে পাঁচটি পয়েন্টের উপর আমার বক্তব্য যা হত, তা নিম্নে তুলে ধরলাম।

আমি প্রথমেই তরুণদের এক প্লাটফর্মে বসে কথা বলার আইডিয়াকে স্বাগত জানাই। আমারা বারবার এক টেবিলে বসা প্রযোজন। যত ভিন্নমত হোক, রাজনৈতিক ভিন্নধারা হোক, আমাদের শেকড় এক, মন্জিল এক, লক্ষ্য এক, উদ্দেশ্য, আর্দশ এক। চেতনা এক। কেউ কারো প্রতিপক্ষ নন; বরং পরস্পরে চিন্তার দিক দিয়ে সমমনা। সবাই কওমির স্বার্থে কাজ করছেন। কথা বলছেন। কেবল দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতায় পরস্পরের মাঝে কিছু দুরত্ব রয়েছে। এ নিয়ে পারস্পারিক মতবিনিময় আমাদের কাছে নিয়ে আসতে পারে। সেদিক দিয়ে তরুণদের এক টেবিলে বসার আয়োজন সাধুবাদ পাবার যোগ্য।

তবে আজকের বিষয়বস্তু নিয়ে আমার কথা আছে। এসব বিষয়াবলী নিয়ে শুধু তরুণরা কথা বলার পক্ষে আমি একমত নই। যারা স্বীকৃতি নিয়ে কাজ করছেন তাদের কাছে হাজিরা দিয়ে বিষয়গুলো আগে পরিস্কারভাবে বুঝে নেয়া প্রযোজন বলে মনে করি। আমি যতটুকু বুঝেছি তা হল-

আলোচ্য বিষয় এক:
কওমি মাদরাসা সরকারি সনদের স্বীকৃতি বিষয়ে অবস্থান পরিস্কার করা।

সনদের স্বীকৃতি নিয়ে অবস্থান পরিস্কার করা কাদের প্রয়োজন? তরুণ আলেমদের না কর্ণধারদের? বর্তমানে একদল স্বীকৃতি চান অন্যরা আরো ৭ দফা আদায় করে স্বীকৃতি চান। মূলতঃ সবাই স্বীকৃতি চান। এখন অবস্থান আমরা তরুণরা পরিস্কার করার চেয়ে বড় বিষয় হল, বড়রা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা পরিস্কার করা উচিত। আমাদের অবস্থান পরিস্কার। আমরা তিনটি দাবী করছি।
(১) কওমি কর্ণধারদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে।
(২) কওমির স্বকীয়তা বজায় রেখে।
(৩) দ্রুত কওমি সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়ন।

কিন্তু এখন দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে অবস্থান তুলে ধরা হচ্ছে। বড়দের এক টেবিল বসা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ সাহেবের সাথে বসার মধ্যদিয়ে সে ঐক্য প্রক্রিয়া একধাপ এগিয়েছে। বাকি বড়রা চেষ্টা করছেন। আল্লামা আহমদ শফি ও আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ সাহেব এক টেবিলে বসলেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। সে ঐক্য প্রক্রিয়া যেহেতু চলছে, সে পর্যন্ত আমাদের তরুণদের চুপ থাকা উচিত।

আলোচ্য বিষয় দুই:
কওমি মাদরাসা স্বাধীনতা স্বকীয়তার ব্যাখ্যা আলোচনা।

কওমি মাদরাসা জনগণের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ স্বাধীন সংঘবদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠন। এখানে সরকারি নিয়ন্ত্রণ বা খবরদারি চলে না। সরকারি কোন সহযোগিতা নেয়া হয় না। যদিও ইদানীং প্রায় মাদরাসাই স্থানীয় এমপির নানান বরাদ্ধ গ্রহণ করে থাকে।

আমি মনে করি, কওমি মাদরাসার স্বাধীনতার যে স্বকীয়তা আছে তা বহাল রেখে আমাদের পক্ষ থেকে শর্ত সাপেক্ষ স্বীকৃতি আনতে কোন বাধা নেই। এতে করে স্বাধীনতা হনন ও স্বকীয়তা বিনষ্ট নয়; বরং আমাদের শর্তমত সংসদে বিল পাশ হয়ে আইন প্রণয়ন হলে কওমি মাদরাসা স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা রক্ষায় আরো বেশি সুরক্ষা হবে।

আলোচ্য বিষয় তিন:
কওমী মাদরাসা শিক্ষানীতি ও কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া বিশ্লেষণ।

গত ১৫ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে একটি খসড়া আইন প্রকাশ করেছেন উপ-কমিটির হযরতরা। যা পরবর্তীতে সংসদে বিল পাশ হবে এবং এর আগে কওমি সংশ্লিষ্টদের মতামত চেয়েছেন। এতে আমাদের কোন আপত্তি বা বক্তব্য থাকলে তাদের মেইল নাম্বারে দেয়ার অনুরোধ করেছেন। তারা বসে হয়তো জমা দেয়ার আগে তা প্রয়োজনে সংযোগ করতে পারবেন। এর চেয়ে বড় স্বচ্ছতা ও সুযোগ তারা আমাদের কী দিতে পারেন? আমার জানা নেই।

কওমি অঙ্গনের যারাই স্বীকৃতির বিরোধিতা করছেন তারা কওমি ধারার স্বকীয়তা রক্ষার অজুহাতকে নিজেদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। স্বকীয়তা রক্ষার জন্য মাদরাসা পরিচালনার অবাধ স্বাধীনতা তারা দাবি করছেন। তারা কওমি মহলকে এ কথা বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, কমিশনের খসড়া আইন মতে ‘কওমি শিক্ষা কর্তৃপক্ষ’ গঠিত হলে সরকার নিজের মর্জিমতো রাজনৈতিক স্বার্থে চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ দেবে, অব্যাহতি দেবে। এতে কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা নষ্ট হবে। কওমি মাদরাসাগুলো দলীয় সরকারের স্বেচ্ছাচারী হাতের ক্রীড়নকে পরিণত হবে। অথচ প্রকাশিত খসড়া আইন পড়লে দেখা যায়, বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীত; বরং এ আইন সংসদে পাস হলে সরকার কওমি মাদরাসার ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এ আইন কওমি মাদরাসার স্বকীয়তাকে মজবুত সুরক্ষা দেবে। সরকার গঠিত কমিশনের প্রণীত খসড়া আইন পড়লে মনে হয়, কওমি মাদরাসাগুলো যা চেয়েছে এখানে তার চেয়েও অনেক বেশি দেওয়া আছে। আইনে এত সহজ করে কথাগুলো উল্লেখ থাকার পরও আজকের বৈঠকে আয়োজকদেরই কেউ কেউ সরকারি নিয়ন্ত্রণের ও সরকারি হস্তক্ষেপের আতঙ্ক এবং নানান বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।

আলোচ্য বিষয় তিন:
কওমী মাদরাসা শিক্ষানীতি ও কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া বিশ্লেষণ।

গত ১৫ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে একটি খসড়া আইন প্রকাশ করেছেন উপ কমিটির হযরতরা,যা পরবতির্তে সংসদে বিল পাশ হবে এবং এর আগে কওমি সংশ্লিষ্টদের মতামত চেয়েছেন। এতে আমাদের কোন আপত্তিকর বক্তব্য থাকলে তাদের মেইল নাম্বারে দেয়ার অনুরোধ করেছেন। তারা বসে হয়তো জমা দেয়ার আগে তা প্রযোজনে সংযোগ করতে পারবেন। এর চেয়ে বড় সচ্চতা ও সুযোগ তারা আমাদের কি দিতে পারেন।? আমার জানা নেই। কওমি অঙ্গনের যারাই স্বীকৃতির বিরোধিতা করছেন তারা কওমি ধারার স্বকীয়তা রক্ষার অজুহাতকে নিজেদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। স্বকীয়তা রক্ষার জন্য মাদ্রাসা পরিচালনার অবাধ স্বাধীনতা তারা দাবি করছেন। তারা কওমি মহলকে এ কথা বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, কমিশনের খসড়া আইন মতে ‘কওমি শিক্ষা কর্তৃপক্ষ’ গঠিত হলে সরকার নিজের মর্জিমতো রাজনৈতিক স্বার্থে চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ দেবে, অব্যাহতি দেবে। এতে কওমি মাদ্রাসার স্বকীয়তা নষ্ট হবে। কওমি মাদ্রাসাগুলো দলীয় সরকারে স্বেচ্ছাচারী হাতের ক্রীড়নকে পরিণত হবে। অথচ প্রকাশিত খসড়া আইন পড়লে দেখা যায়, বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীত। বরং এ আইন সংসদে পাস হলে সরকার কওমি মাদ্রাসার ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এ আইন কওমি মাদ্রাসার স্বকীয়তাকে মজবুত সুরক্ষা দেবে।

শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদানের উদ্দেশ্যে ওই খসড়া আইনের ৩(১) উপধারায় বলা হয়েছে ‘বাংলাদেশ কওমি শিক্ষা কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়েছে।

৩(২) উপধারায় বলা হয়েছে, ‘কর্তৃপক্ষ একটি স্বাধীন ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে।’ এ উপধারা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এ কর্তৃপক্ষ সরকারের অধীন আজ্ঞাবহ কোনো সংস্থা হবে না; বরং এ আইন তাকে আপন কাজে, আপন পরিধির ভেতর সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিচ্ছে। এমনকি ওই আইনের ৫ ও ৬ নম্বর ধারা থেকে পরিষ্কার বুঝে আসে কর্তৃপক্ষ গঠনে বা বিলুপ্তিতে বা কাউকে অব্যাহতি প্রদানে সরকারের কোনো হাত থাকবে না। কেননা, ওই খসড়া আইনের বক্তব্য মতে কর্তৃপক্ষের মোট সদস্য হবে ১৬ জন। তার মধ্যে ৫টি কওমি বোর্ডের প্রধানরা পদাধিকারবলে কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন। একজন সদস্য হবেন মহিলা মাদরাসাগুলোর প্রতিনিধি। কর্তৃপক্ষের সচিব নিয়োগ দেবে কর্তৃপক্ষ নিজেই। চেয়ারম্যান এবং অবশিষ্ট ৮ জন সদস্য সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। কিন্তু এ আইন বলবৎ থাকা অবস্থায় সরকার নিয়োগ দিলেও নিয়োগের পাত্র সরকার মনোনীত করতে পারবে না। ব্যক্তি বাছাইয়ে সরকারের কোনো হাত থাকবে না।কেননা, ওই আইনের ৬(১) উপধারাতে বলা হয়েছে, ‘চেয়ারম্যান এবং ৫(খ)-এ উল্লেখিত সদস্যগণ অনুমোদিত বোর্ডসমূহের সুপারিশেরআলোকে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন।’

আইনের আলোকে দেখা যাচ্ছে, চেয়ারম্যান কে হবেন, সদস্য কে কে হবেন তা সরকার নির্ধারণ করবে না। নির্ধারণ করবে কওমি মাদরাসাগুলোর আঞ্চলিক বোর্ডগুলো।যেগুলো গঠন ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে কওমি মাদরাসাগুলো।

আইনের ৬ নম্বর ধারাতে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অব্যাহতি প্রদানের যেসব নিয়ম বলা হয়েছে, তাতে সরকারের কোনো হাত রাখা হয়নি। বরং ৬(৪) উপধারাতে আছে- ‘চেয়ারম্যান অথবা কোন সদস্যের প্রতি কর্তৃপক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য অনাস্থা প্রকাশ করিলে সরকার তাহাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।’

এখানেও কাউকে বাদ দেওয়ার মূল চাবিকাঠি সরকারের হাতে রাখা হয়নি; বরং কওমিদের নিজেদের হাতেই রাখা হয়েছে। কোনো কারণে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে অথবা অপসারিত হলে কাউকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার ক্ষমতাও এ আইনে সরকারের হাতে দেওয়া হয়নি। ৬(৬) উপধারাতে আছে, ‘চেয়ারম্যান পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে তিনি তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের দুই- তৃতীয়াংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে মনোনীত কোন সিনিয়র সদস্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন।’

ওই আইনের, আলোকে প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, এসএসসি এবং এইচএসসি স্তরের তদারকি ও সনদ প্রদানের ক্ষমতা আঞ্চলিক কওমি বোর্ডগুলোর দায়িত্বে রাখা হয়েছে। স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর স্তরের তদারকি ও সনদ প্রদানের দায়িত্ব কওমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে।

সরকারগঠিত কমিশনের প্রণীত খসড়া আইন পড়লে মনে হয়, কওমি মাদরাসাগুলো যা চেয়েছে এখানে তার চেয়েও অনেক বেশি দেওয়া আছে। আইনে এত সহজ করে কথাগুলো উল্লেখ থাকার পরও আজকের বৈঠকে আয়োজকদেরই কেউ কেউ সরকারি নিয়ন্ত্রণের ও সরকারি হস্তক্ষেপের আতঙ্ক এবং নানান বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।

আলোচ্য বিষয় চার:
মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ে তরুণ প্রজন্মের আপত্তিকর বক্তব্য বিষয়ে নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ গ্রহণ প্রসঙ্গ।

এ বিষয়ে আমি বলব গ্রাম্য একটি প্রবাদ আছে, “ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না”। এই আলোচ্য বিষয়টি আজকের বৈঠকের আয়োজকদের পক্ষ থেকে এমনই। বিশেষ করে জনাব মামুনুল হক ও ওয়ালী উল্লাহ আরমান, আপনারা দুজন আজকের অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক। আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, আপনাদের আপত্তিকর বক্তব্য ও আবেগ কি নিয়ন্ত্রিত? এটা প্রমাণ করা যাবে? স্বীকৃতি ইস্যুর পর থেকে বাংলালিংক সিমের মত আপনাদের সকাল বিকাল নানা আবেগের সস্তা কথামালা ও ফেসবুক স্ট্যাটাস কতটুকু নিয়ন্ত্রিত? আগে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করুন। পরে তরুণদের নিয়ন্ত্রণের চিন্তা করুন।

আলোচ্য বিষয় পাঁচ:
বড়দের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ বিষয়ে মতবিনিময়।

বড়দের ঐক্যের কথা আমরা বার বার বলে আসছি, এখনো বলছি। সর্বশেষে আজকের হাউজের কাছে একটি প্রস্তাবই রাখছি, হাটহাজারীর হুজুর চিকিৎসা শেষে দেশে আসলে মাসউদ সাহেবকে দেখা করার সুযোগ করে দিন। তারপর দুজন মিলে সবাইকে নিয়ে যেটা বলবেন এদেশের সকল কওমি তরুন তা মেনে নিবে। এর বাহিরে বড়দের মাঝে ঐক্য প্রচেষ্টায় দ্বীতিয় কোন পথ আছে কি না আমার জানা নেই।

পরিশেষে আমার একটাই অনুরোধ, আজকের বৈঠক শেষে মিডিয়াতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর এমন কোন থিউরি ছড়াবেন না, যার দ্বারা সাধারণ কওমি তরুণরা বিভ্রান্তিত হয়।

জনাব হাসান জামীলের কাছে আমার বক্তব্যটি পৌছে দিয়েছি, আশা করি তিনি বৈঠকে তা পাঠ করবেন।

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...