মাওলানা আনোয়ার শাহ’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন বেফাকের প্রতিনিধিগণ। গত ১৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বেফাকের ওলামা সম্মেলনে কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ার মুহতামিম মাওলানা আনোয়ার শাহ’র সঙ্গে কিছু ব্যক্তির অসৌজন্যমূলক আচরণে পরিস্থিতি খার্রাপ হতে থাকে। দ্রুত বিষয়টি নিরসন করতে ঢাকার প্রতিনিধিগণ কিশোরগঞ্জে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগে বেফাকের এক ঘরোয়া বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জানা যায় বেফাকের ৫ সসদ্যের প্রতিনিধি দল আগামীকাল কিশোরগঞ্জ যাবেন।
৫ সদস্যের প্রতিনিধির মধ্যে রয়েছেন, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বার জাহানাবাদী, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মুফতি ফয়জুল্লাহ ও মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী।
মালিবাগে বেফাকের এই ঘরোয়া বৈঠকে কওমি স্বীকৃতি নিয়ে চলমান দূরত্ব ও মতানৈক্য দূর করতে নানারকম আলোচনা হয়। একই সঙ্গে বৃহত্তর ময়মনসিংহ কওমি মাদরাসাসমুহের বোর্ড তানযীম এর সভাপতি মাওলানা আনোয়ার শাহ’র সঙ্গে যে মনোমলিন্য হয়েছে তা নিরসনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সিন্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে ১৭ অক্টোবরে ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আলেমগণ। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠক শেষ হয় ১ টায়। বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুল জব্বার জাহানাবাদী, মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মুফতি মিজানুর রহমান সাইদ, মাওলানা আবদুল হামিদ (মধুপুরের পীর), মাওলানা আবুল ফাতাহ ইয়াহইয়া, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল্লাম মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী ও মুফতি নূরুল আমিন।