নিজস্ব প্রতিবেদক :: গতকাল ১৭ অক্টোবর সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সস্টিটিউটে আয়োজিত কওমি শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষা সেমিনারে মাননীয় ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে কওমি মাদরাসার ছাত্র না হলেও কওমি মাদরাসাকে ভালবাসি। তিনি বলেন, আমি মাওলানা ফরিদউদ্দীন মাসউদ এর সাথে সম্পর্ক রাখি। সে হিসেবে তিনি যখনই আমাকে ডাকেন তখনই ছুটে আসি। ভবিষ্যতে যদি কখনো আমাকে বলেন, দাওয়াত দিতে হবে না। আমি নিজেই চলে আসবো।
কওমি মাদরাসার শিক্ষাসনদ : গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক সেমিনারে মাননীয় ধর্মমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ইকরা বাংলাদেশের পরিচালক মাওলানা ফরিদউদ্দীন মাসউদ বলেন, বাংলাদেশে আমরা স্বীকৃতির জন্য দাবি করছি বিষয়টি একটি লজ্জাকর। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে স্বীকৃতি নিতে চাই তবে আমাকে সভাপতি বলে নিতে হবে এমন নয়। যদি আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব বলেন, ফরিদ তোর কারণে আজ স্বীকৃতি নিতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তাহলে আমি সেখান থেকে ফিরে আসবো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, মানুষ হত্যা নাকি জান্নাতে যাওয়ার মাধ্যম। ইসলামের নামে এসব প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলে। তখনই কিন্তু আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে কওমি মাদরাসা স্বীকৃতি দেয়ার চিন্তা করি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিষয়টি নায়ে আলাপ আলোচনা করি।
তিনি বলেন, এটা আমরা দিতে চেয়েছিলাম গত কেবিনেটে। তখন কিছু ভুল বুঝাবুঝির কারণে হয়নি। এখন আবার সবাই একমত হয়েছেন। তবে কেনো যেনো মনে হয়, আমরা হয়তো সবার মনের সাথে মিশতে পারিনি। তাই হয়তো এখনো কিছু জটিলতা রয়ে গেছে। তাই হয়তো হবে হবে করে হচ্ছে না। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি। তিনিও স্বীকৃতি দেয়ার চেষ্টা করছেন। আমি মনে করি, আপনারা দেশের জন্য, মানুষের জন্য লেখাপড়া করছেন। আর আপনাদের স্বীকৃতি হবে না বিষয়টি মোটেও হতে পারে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশেষত আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপরে আল্লাহর খাছ রহমত রয়েছে। কারণ ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গিয়েছেন। যার কারণেই হয়তো আজ তার হাতে বাংলাদেশ। আপনারা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেদিন আমার সামনেই বলেছিলেন, আপনারা একত্রিত হয়ে আসুন। তাড়াতাড়ি বিষয়টি সামনে আনুন। আমি যথাসম্ভব সবাইকে স্বীকৃতি দিতে চাই সরকারি মান দিতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের আমাদের সন্তান যারা কওমি মাদরাসায় পড়াশুনায় করছেন আপনারা যেনো, দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারেন। সেজন্য আপনারা শুরু করুন। সবাই যে আসবে এমন কখা নয়। তাই আপনারা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বসুন এবং এগিয়ে আসুন। ইনশাআল্লাহ প্রধানমন্ত্রী যেটা চান সেটা হবেই।
মাওলানা শাহ তৈয়্যব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা আরিফ উদ্দীন মারুফ, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা মুহাম্মদ আলী প্রমুখ।